।। প্রথম কলকাতা ।।
Garuda Purana : হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন মৃত্যু মানেই সেখানে শেষ নয় । মৃত্যুর পরেও আমাদের আত্মার অস্তিত্ব থাকে । হিন্দু ধর্মে জন্ম মৃত্যুর এই চক্রাকার ঘূর্ণনকে নিয়ে একাধিক কথা প্রচলিত রয়েছে । এই বিষয়গুলিকে নিয়ে একটি সম্পূর্ণ পুরাণ রয়েছে। সাধারণত হিন্দু ধর্মে কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলে তাঁর বাড়িতে গরুড় পুরাণ (Garuda Puran) পাঠ করার রীতি থাকে। হিন্দু ধর্মে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ১৮ টি পুরাণের মধ্যে একটি হল গরুড় পুরাণ। আর এই পুরাণের অধিষ্ঠাতা ভগবান বিষ্ণু (Vishnu) । এই পুরাণের মধ্যেই পাপ পুণ্য নরক স্বর্গ মৃত্যু জন্ম সবকিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
লোকমুখে প্রচারিত কথা অনুযায়ী , জীবিত থাকাকালীন কোন ব্যক্তি যদি ভালো কাজ করেন তাহলে মৃত্যুর পর তিনি পুণ্য লাভ করার আশা রাখতে পারেন। কিন্তু জীবিত দশায় যদি তিনি শুধুমাত্র খারাপ কাজ করে থাকেন তাহলে কখনই মৃত্যুর পর পুণ্য লাভ করা সম্ভব নয় । বরং পাপের ভাগীদার তিনি । এদিকে গরুড় পুরাণ বলছে অন্য কথা। কোন ব্যক্তি মরার আগে যদি মৃত্যুর সংকেত পেয়ে থাকেন তাহলে তার পক্ষে কি নিজের মৃত্যু আটকানো সম্ভব ? এই সম্ভব এবং অসম্ভব প্রশ্নের উত্তর যদিও গরুড় পুরাণে দেওয়া নেই । কিন্তু বলা হয়েছে প্রতিটি মানুষ তাদের মৃত্যুর আগে কোনো না কোনো সংকেত ( Death signal ) পেয়ে থাকেন।
কী সেই সংকেত ?
- মানুষের পরলোক গমনের সময় হয়ে আসলে তাঁরা নাকি জলে কিংবা তেলে নিজের ছায়া দেখতে পান না।
- মৃত্যু যে সকল মানুষের সামনে এসে দাঁড়ায় তাদের হাতের রেখা গুলি পর্যন্ত হালকা হয়ে যায়। হস্তরেখা শাস্ত্র অনুসারে হাতের সেই রেখা গুলি আমাদের ভাগ্য বলতে পারে। কিন্তু মৃত্যুর আগে হাতের রেখা অস্পষ্ট হয়ে রয়েছে মানে এবার জীবনদীপ নিভতে পারে।
- হঠাৎ করে যদি আপনার পরিবারের কোন ব্যক্তি অদ্ভুত স্বপ্ন দেখতে থাকেন ,স্বপ্নে কাউকে মারা যেতে দেখেন তাহলে তাঁর জন্য ভবিষ্যতে কোন খারাপ খবর অপেক্ষা করতে পারে।
- মৃত্যুর আগে নাকি কোন ব্যক্তি নিজের নাক দেখতে পারেন না স্পষ্ট ভাবে।
- সাধারণত যেভাবে মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস চলে সেটাও এক থাকে না মৃত্যু পথযাত্রীদের জন্য। তাদের শ্বাস উল্টো ভাবে চলতে থাকে। এমনকি কিছু কিছু সময় খুব কাছের মানুষকেও তাঁরা চিনতে পারেন না।
- মৃত্যুর আগে কোন ব্যক্তির কথা বলার শক্তি পর্যন্ত হারিয়ে যায় । গরুড় পুরাণে এর কারণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, মৃত্যু আসন্ন এমন কোন ব্যক্তির নিকটে যখন যমরাজের দূত এসে দাঁড়ায় তখন ওই ব্যক্তি ভয় ভীত হয়ে পড়েন । সেই কারণে তাঁর সমস্ত ইন্দ্রিয়গুলি শিথিল হতে শুরু করে। আর সবশেষে মুখ থেকে বেরিয়ে আসে শুধু মাত্র গোঙানিক শব্দ।
প্রতিবেদনে উল্লেখিত প্রত্যেকটি তথ্য কেবলমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য। মৃত্যুর আগে সংকেত হিসেবে গরুড় পুরাণে আরও কী কী বর্ণিত রয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং বিশ্বাস করতেন অবশ্যই বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরী।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম