Kajal: বাজারের কেনা কাজলে বাড়ছে সৌন্দর্য , তবে চোখের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকছে কি ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Kajal: নারীদের সৌন্দর্যকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে একটু কাজল (Kajal)। দুচোখে হালকা কাজল যেকোনো মেয়ের চোখ দুটি আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। মেকআপ সম্পূর্ণ করতে গেলে কাজলকে ভুললে কিন্তু চলবে না। এটি সজ্জার অন্যতম একটি অংশ। আবার অনেকে এমন রয়েছেন যারা মেকআপ করতে খুব একটা পছন্দ করেন না। শুধুমাত্র চোখে একটু কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিকেই সন্তুষ্ট। কাজল শুধু আজ থেকে নয় বহু যুগ আগে থেকে মহিলাদের শৃঙ্গারের অন্যতম একটি বস্তু। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বাজার থেকে কিনে আনা কাজল চোখে দেওয়া মাত্রই জ্বালা করার মতো অনুভূতি হয়।

অনেক সময় চোখ অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায় এবং লাল হয়ে যায়। যাদের কাজল পরার ক্ষেত্রে অ্যালার্জি (Allergy) রয়েছে তাঁরা এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন প্রায়ই। কিন্তু যাদের অ্যালার্জি নেই তাঁরাও অনেক সময় বাজার চলতি কেনা কাজল পরে বিপদে পড়তে পারেন। কারণ এই কাজল তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। যেগুলি চোখের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। আর সেই কাজল যখন পড়া হয় তখন ত্বকে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাহলে উপায় কী? কোনরকম কাজল সম্বন্ধিত সমস্যা এড়িয়ে চলতে গেলে সবথেকে সহজ উপায় হল বাজার থেকে কাজল কিনে আনা বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে তৈরি করতে হবে বাড়িতেই (Home made Kajal)।

এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতেই পারে কাজল তৈরি করা কি এতই সোজা ? উত্তরে বলা যায়, সামান্য কয়েকটি উপকরণ আর একটু সময় হাতে থাকলেই কাজল তৈরি করা দারুন সোজা। চলুন জানা যাক কীভাবে বাড়িতেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি কাজল তৈরি করতে পারবেন। যা আপনার সৌন্দর্য বাড়ানোর সাথে সাথে চোখকেও দেবে আরাম।

কীভাবে তৈরি করবেন কাজল ?

প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা জেল (Aloevera Gel) দিয়ে কাজল তৈরি করা যায়। এর জন্য একটা প্রদীপ বা মোমবাতির উপর সামান্য ক্যাস্টর অয়েল গরম করুন। ক্যাস্টর অয়েল রাখা পাত্রের উপর একটা প্লেট রাখতে হবে। আর সেই প্লেটের উপরে অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। যতক্ষণ না অ্যালোভেরা জেলটি পুরোপুরি পুড়ে যাচ্ছে ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। আর সেই অ্যালোভেরা পুড়ে গেলেই তৈরি হয়ে যাবে প্রাকৃতিক কাজল। এটা জোয়ান দিয়েও করা যায়। প্রদীপের মধ্যে যে সলতে থাকবে তাতে কিছুটা জোয়ান মিশিয়ে প্রদীপ ধরিয়ে দিতে হবে সরষের তেল দিয়ে। বেশ খানিকক্ষণ সলতেটি জ্বলার পর তৈরি হয়ে যাবে সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতির কাজল। এছাড়াও কর্পূরের কাজল , ঘিয়ের কাজল এবং সরষের তেলের কাজল তৈরি করা যায়। এই ধরনের কাজল গুলি শিশুদের চোখে দিলে তাতে শীতলতা পাওয়া যায়। আর এই কাজল যেই ব্যবহার করুক না কেন তাঁর চোখের পাতা ইংরেজিতে যাকে বলে আইল্যাশ, তা সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version