Molnupiravir: মলনুপিরাভির মৃত্যু কিংবা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি কমায় না, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

।। প্রথম কলকাতা ।।

Molnupiravir: করোনা সংক্রমণকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে যখন হাহাকার, তখন আশা জাগিয়েছিল মলনুপিরাভির। যখন করোনা ভাইরাস থেকে গোটা বিশ্ব মুক্তির উপায় খুঁজছিল, তখন মানুষ অত্যন্ত বিশ্বাসের সঙ্গে আঁকড়ে ধরে মলনুপিরাভুর (Molnupiravir) নামক এই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধটিকে। এই ওষুধটি ঘিরে সারা বিশ্বজুড়ে হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল। এটি ছিল যুক্তরাজ্যের কোভিড চিকিৎসার জন্য লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রথম অ্যান্টিভাইরাল পিল। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট জার্নালে (The Lancet Journal) একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই অ্যান্টিভাইরাল পিল রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কিংবা মৃত্যুর হার কমায় না।

প্রায় ২৫ হাজার জনের বেশি টিকা দেওয়া কোভিড রোগীদের মধ্যে একটি পরীক্ষা করা হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে, এই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধে রোগীরা দ্রুত পুনরুদ্ধার হয়েছেন। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কিংবা মৃত্যুর হার হ্রাস হয়নি। এই গবেষণায় যাদেরকে নেওয়া হয়েছে তাদের বয়স আর স্বাস্থ্যগত অবস্থার কারণে মৃত্যু কিংবা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি বেশি ছিল। ওই ব্যক্তিদের দিনে দুবার করে মলনুপিরাভির দেওয়া হয়। এই ওষুধ করোনা সংক্রমিত ব্যক্তিদের পুনরুদ্ধারে সহায়তা করা সত্ত্বেও, মৃত্যুর হার বা হাসপাতালে ভর্তির আশঙ্কা হ্রাস করেনি। পৃথিবীর মধ্যে যুক্তরাজ্য প্রথম যেখানে রোগীদের টেক অ্যাট হোম কোভিড পিল দেওয়া হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই অ্যান্টিভাইরাল পিল রোগীদের পুনরুদ্ধারের সময় প্রায় চার দিন কমিয়েছে। পাশাপাশি কম হয়েছে সংক্রমণের মাত্রা। এই ওষুধ জটিলতা গুলিকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে বলেই মনে করেছিলেন বিশেষজ্ঞের দল।

সমীক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হয়, অ্যান্টিভাইরাল টিকা না দেওয়া উচ্চ ঝুঁকির রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর ঝুঁকি কমানোয় এই ওষুধটির উপর অনেক আশা ছিল। কিন্তু অনুমোদনের পরপরই যখন করোনার ডেল্টা রূপ আধিপত্য বিস্তার করে তখন ওষুধটি সংক্রমণের উপর কম প্রভাব ফেলেছে। এখন ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মলনুপিরাভির টিকা প্রাপ্ত কিংবা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ লোকেদের হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর ঝুঁকি কমায় না। ২০২১ এর ডিসেম্বর থেকে ২০২২ এর ২৭শে এপ্রিল পর্যন্ত এই সমীক্ষা করা হয়। যেখানে অংশগ্রহণকারীদের ৯৪% কোভিড ভ্যাকসিনের কমপক্ষে তিনটি ডোজ নিয়েছিলেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অংশগ্রহীদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, আবার কারোর বা মৃত্যু হয়েছে। তবে এই ওষুধটি করোনা থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারের সাহায্য করে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version