Side Effects Of Lipstick: ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে ঠোঁটের রঙ ! প্রতিনিয়ত লিপস্টিক ব্যবহারের ফল নয় তো ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Side Effects Of Lipstick: মহিলারা নিজেদের সৌন্দর্যকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলার জন্য এবং নিজেদেরকে আকর্ষণীয় ভাবে মেলে ধরার জন্য নানান ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। মেকআপ এখনকার মহিলাদের কাছে প্রায় প্রতিদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ মহিলারাই মেকআপের উপর ভরসা করেন। কর্মরত মহিলা থেকে শুরু করে কলেজ ইউনিভার্সিটি যাওয়া ছাত্রী পর্যন্ত হালকা মেকআপের আশ্রয় নিয়ে থাকেন । আর এই হালকা মেকআপের মধ্যেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রোডাক্ট হল লিপস্টিক (Lipstick)।

কিছু মহিলার মধ্যে বিভিন্ন শেডের এবং বিভিন্ন ধরনের লিপস্টিক ব্যবহার করার উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। তা যে দেখতে সুন্দর লাগে এ কথা অস্বীকার করার কোন জায়গা নেই। কিন্তু প্রতিদিন যারা লিপস্টিক ব্যবহার করছেন এবং সেই লিপস্টিক ঠোঁটে (Lips) থাকছে প্রায় চার থেকে পাঁচ ঘন্টা তাদের জন্য এই অভ্যাস খুব একটা ভালো ফল দেবে না। দেখতে সুন্দর লাগলেও প্রতিদিন লিপস্টিক পরার অভ্যাস আপনার জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে প্রমাণ হতে পারে।

কারণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, কোন লিপস্টিক একেবারে সিসা (Lead) ছাড়া তৈরি করা যায় না। তাই যতই নামিদামি ব্র্যান্ডের লিপস্টিক লিপগ্লস হোক না কেন তার মধ্যে সিসা, ক্যাডমিয়াম, কোবাল্ট, অ্যালুমিনিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, নিকেলের মতো ধাতু গুলির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। কাজেই এই ধরনের উপাদান সমৃদ্ধ পদার্থ প্রতিনিয়ত ব্যবহার করতে থাকলে আপনার ঠোঁট খুব বেশিদিন ভালো থাকবে না। হঠাৎ করেই ঠোঁটের রং বদলে (Lip Colour Change) যেতে পারে। ঠোঁটে চুলকানি হতে পারে। বারে বারে ঠোঁট শুকিয়ে (Dry lips) যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠোঁটের চামড়া ওঠা থেকে শুরু করে ফুসকুড়ির মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

এই ধরনের কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে যতদ্রুত সম্ভব লিপস্টিক কিংবা লিপগ্লস ব্যবহার বন্ধ করে দিন। মেকআপ আর্টিস্টরা বলে থাকেন, মেকআপ করার সময় ঠোঁটে বিভিন্ন ধরনের লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করার আগে মশ্চারাইজার হিসেবে লিপবামের একটা পুরু আস্তরণ দিয়ে নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন । এটা কিছুটা হলেও রক্ষাকারী আস্তরণ হিসেবে কাজ করবে ঠোঁটের জন্য। আর যদি কোন মহিলা গর্ভবতী থাকেন তাহলে তাঁর লিপস্টিক পরাই উচিত নয় । কারণ ওই লিপস্টিকের মধ্যে থাকতে পারে সীসা, যা গর্ভস্থ ভ্রূণের বৃদ্ধিতে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

অনেকেরই এই অভ্যাসটি দেখা যায়। লিপস্টিক পরার পর সেটি জিভ দিয়ে চেটে নেওয়া। এই কাজটি যদি আপনিও করে থাকেন তাহলে আজই সতর্ক হোন। লিপস্টিক শরীরের ভেতরে প্রবেশ করলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। আর একবার লিপস্টিক পরার পর বারবার টাচ আপ করার কোন প্রয়োজন পড়ে না। প্রতিদিন ম্যাট শেডের লিপস্টিক কিংবা গাঢ় কোন লিপস্টিক না পরাই ভালো। মাঝেমধ্যে যখন ভারী মেকআপ করা হয় তখন লিপস্টিক না পরলে ঠিক ভালো লাগেনা। সে ক্ষেত্রে লিপস্টিক পরতেই হয়। কিন্তু প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহারের বদলে টিন্টেড সুগন্ধি লিপ বাম ব্যবহার করা যেতেই পারে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version