Kidney Stone: উপসর্গ ছাড়াই হচ্ছে কিডনি স্টোন, কীভাবে বুঝবেন? অপারেশনই কি একমাত্র সমাধান?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Kidney Stone: মাঝেমধ্যেই জ্বর, কখনো বা বমি বমি ভাব, পিঠের দিকে, তলপেটে তীব্র ব্যথা। কিডনিতে পাথর নয় তো? মারাত্মক উপসর্গ নাও থাকতে পারে। চুপিসাড়ে শরীরে হানা দেবে এই রোগ। তাহলে কীভাবে বুঝবেন? কিডনি স্টোন মানেই কি অপারেশন? একগাদা ওষুধ আর যন্ত্রণা থেকে বাঁচবেন কীভাবে? আপনার প্রতিদিনের ছোট্ট ভুলে পাথর জমছে কিডনিতে। উপসর্গ চেপে রাখলে মহাবিপদ।

বর্তমানে কিডনি স্টোন যেন প্রতি ঘরের সমস্যা, হামেশাই এই রোগের কথা শুনতে পাবেন। লক্ষণ গুলো অতি সামান্য। প্রথমটা ধরা যায় না। আর যখন রোগী বুঝতে পারেন ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। জ্বর, পেটে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখে ভাবছেন এ আর এমন কি। এখানেই করছেন মারাত্মক ভুল। শরীর কাঁটাছেঁড়া ছাড়া কিডনি স্টোনের কি কোন সমাধান আছে? এমন কোন ঘরোয়া উপায় আছে, যা বাঁচিয়ে দেবে চিকিৎসার খরচ? হ্যাঁ আছে। মন দিয় শুনুন। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। কিডনি যে কতটা জরুরি তা তো জানেনই। কিডনি ছাড়া শরীর অচল। কিডনি পাথর কিন্তু মূত্রনালীর যে কোন অংশে এফেক্ট ফেলতে পারে। তাই প্রতিদিন একটু হলেও কিডনির যত্ন নিন। অবহেলা করবেন না সামান্য উপসর্গগুলোকে। পাথর একবার বড় হয়ে গেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিডনিতে পাথর কিন্তু আপনা আপনি জমবে না। ভাববেন আপনার ভুলেই এমনটা হয়েছে। কিছু রোগের জন্য ব্যবহার করা ওষুধ, অতিরিক্ত ওজন, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, জল কম খাওয়া কিডনি স্টোনের জন্য দায়ী। কীভাবে বুঝবেন কিডনিতে পাথর হয়েছে? যদি দেখেন প্রস্রাবের রং হলুদ লালচে হয়ে আসছে, বমি বমি ভাব, জ্বর, পেটে বা পিঠে ব্যথা তাহলে সতর্ক হন। প্রস্রাব একদম চেপে থাকবেন না। অক্সালেট জাতীয় খাবার যেমন কচু, ইউরিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার এই ধরুন বাদাম কফি একটু এড়িয়ে চলুন। পারলে বেশি বেশি করে জল খান। ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেলেই যে পাথর হবে, এই ভেবে চিরতরে দুধ খাওয়া বন্ধ করার দরকার নেই। তবে অতিরিক্ত দুগ্ধজাত খাবার না খাওয়াই ভালো। নুন খাওয়া একটু কমিয়ে দিন। বাইরের খাবার, জাঙ্ক ফুড, প্যাকেটজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাসে লাগাম দেওয়া বড্ড দরকার। ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে দেয় এমন খাবার থেকে দূরে থাকুন। ম্যাগনেসিয়াম আর সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর তৈরীর ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম অক্সালেট গঠনের বাধা দেয়। ম্যাগনেসিয়াম আর সাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে এমন খাবার খান। বছরে অন্তত একবার সোনোগ্রাফি করে দেখে নিন কিডনির অবস্থা ঠিক কেমন আছে।

কিডনি পাথর মানেই কিন্তু অপারেশন নয়। পাথর খুব ছোট্ট হলে শুধুমাত্র জল আর ওষুধেই কাজ হয়ে যাবে। জল যত খাবেন ততই ছোট পাথর মূত্রের থেকে সঙ্গে বেরিয়ে আসবে। পাথর একটু বড় হলে ব্যবহার করা হয় এক্সট্রা কর্পোরিয়াল শক ওয়েব লিথোট্রিপ্সি ট্রিটমেন্ট। রোগীকে অজ্ঞান না করেই ওয়েব বিমের মাধ্যমে পাথর গুঁড়ো করে বের করে নেওয়া হয়। কিন্তু পাথর যদি বড় হয় তখন রোগীকে অজ্ঞান করে পিঠে সামান্য একটা ফুটো করা হয়। যন্ত্রের মাধ্যমে বের করে নেওয়া হয় পাথর। সমস্যা হল, পাথর যদি একটু বেশি বড় হয় আর কোনভাবে ইউরেটারের মধ্যে ঢুকে যায় তখন কিন্তু বিপদ। তাই এই রোগে কখন কোন পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে কিডনিতে পাথরের অবস্থান আর আকারের উপর।

যদি কিডনি স্টোনের উপসর্গ গুলো দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনিই বলে দেবেন ঠিক কি কি করতে হবে। আতঙ্কিত নয়, সাবধানে থাকুন, সুস্থ থাকুন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version