Parenting Tips: আপনার বাচ্চার স্মৃতিশক্তি দুর্বল? পাঁচ খাবার দিন

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Parenting Tips: আপনার বাচ্চার স্মৃতিশক্তি বাড়াবে এই সুপার ফুডগুলি নামিদামি ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট নয়, এই কয়েকটি সুপারফুড খাওয়ালেই আপনার লিটল চ্যাম্প হবে সেরার সেরা। তাই আর দেরি নয়, আজ থেকেই খাওয়ানো শুরু করুন এই খাবার গুলি। আর দেখুন ম্যাজিক। পড়াশোনা থেকে স্পোর্টস, আপনার খুদে হয়ে উঠবে লাগে একটা। জানেন কী কী সেই সুপারফুড? কোন খাবার খাওয়ানোর কথা বলছেন পুষ্টিবিদরা? না জেনে থাকলে আজই জেনে নিন। সেই সাথে এই তথ্যগুলি শেয়ার করে নিন আপনার চেনা জানা মায়েদের সাথেও।

 

ভাবছেন, এ তো সব জিনের খেলা, মানুষের আর কী করার আছে এতে! কিন্তু ব্যাপারটা একেবারেই তেমনটা নয়। আপনার বাচ্চার স্মরণশক্তির মূল শিকড় জিনের মধ্যে লুকিয়ে থাকলেও খাবারটাও কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এমন বেশকিছু সুপার ফুড রয়েছে যেগুলি খাওয়ালে আপনার বাচ্চাটির স্মৃতিশক্তি তো বাড়বেই সেই সাথে পরীক্ষাতেও দূর্দান্ত রেজাল্ট করবে আপনার লিটল চ্যাম্প।

 

আসলে কী বলুন তো, এই বাচ্চা বয়সটা আসলে বিকাশের বয়স। তাই আপনার ছোট্ট সোনার শরীরে কী পুষ্টি যাচ্ছে সেটা কিন্তু আপনাকেই ঠিক করতে হবে। তবে আমাদের আজকের এই ভিডিওতে এই বিষয়ে একটা ছোট্ট গাইডেন্স আপনাদের দেব। আশা করব, আমাদের আজকের উপস্থাপনা আপনার কাজে লাগবে।

 

বাচ্চাকে ডিম খাওয়ান নিয়মিত। কারণ ডিমে প্রোটিন তো থাকেই সেই সাথে আরও অন্যান্য পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হয় ডিম। এর পাশাপাশি নিয়মিত দুধ বা দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাওয়ান আপনার বাচ্চাকে। এতে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি মিটবে। আপনার খুদে যাতে রোজ সকালের মিঠে রোদে একটু হাঁটাহাঁটি করে সেদিকেও খেয়াল রাখুন‌। এতে শরীর তার প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি নিয়ে নেবে‌‌। হাড় যেমন শক্ত করবে তেমনই স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করবে।

 

খাওয়াতে হবে সবজিও। সবজিতে যেন কোনোরকম কাটছাঁট না হয়। পুঁই লতি থেকে শুরু করে কুমড়ো, সবটাই খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। বাচ্চা খাচ্ছেনা বলে ছেড়ে দেবেন না। প্রয়োজনে রান্নার পদ্ধতিতে বদল আনুন। রান্নায় টুইস্ট আনুন। ইন্টারেস্টিং করে তুলুন আপনার রান্নাকে। দেখবেন মাছ মাংসের পাশাপাশি লাউ, কুমড়োর চেটেপুটে খাবে আপনার লিটল চ্যাম্প। ভালো কথা, দেশী ঘি আর আখরোটকে বাদ দিই কিভাবে?

 

রোজকার মেনুতে রাখুন গাজর এবং টমেটো। এতে ক্যারোটিনয়েড জাতীয় উপাদান থাকে। যা স্নায়ু ভালো রাখে। একই সাথে অ্যান্টি অক্সিডেন্টেও ভরপুর হয় এই খাবারগুলি। স্মরণশক্তি বাড়াতে মাছের জুড়ি মেলা ভার। দেশি মাছের পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছও খাওয়াতে পারেন। এতে ভরপুর ‘ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যসিড’ থাকে। এছাড়াও মাছ থেকে পাওয়া যায় ‘ডিএইচএ’ ও ‘ইপিএ’ নামের দুটি উপাদান, যা মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

এছাড়াও যথাসাধ্য চেষ্টা করুন বাইরের খাবার এড়িয়ে চলতে। আসলে কী বলুন তো, ঘরে তৈরি খাবারের বিকল্প নেই। সেটা হয়ত আপনি বানিয়েই দেন। তবে চেষ্টা করুন কুকিজ, বিস্কিট, কেক এই জাতীয় খাবার, যেটা বাইরে থেকে কিনতেই হয় সেগুলোও বাড়িতে বানিয়ে নেওয়ার।

 

তবে যেটা করবেন না তা হল, বাচ্চাকে খাবারের জন্য জোর করবেন না। এতে ও খাবারের প্রতি আগ্রহ হারাবে। ভুলিয়ে ভালিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করাটাও কিন্তু খুব ক্ষতিকারক। বরং তাকে একদম ছোট্ট বয়স থেকেই খাবারের সাথে পরিচিত হতে দিন। প্রতিটা জিনিসের গুণাবলী এবং কেন তার এই খাবারটা খাওয়া উচিত সেই বিষয়টা বোঝান তাকে। আর অবশ্যই চেষ্টা করুন, একসাথে খেতে বসার। এতে সে যখন আপনাকে সেই খাবারটি খেতে দেখবে তখন তার নিজেরও সেটার প্রতি আগ্রহ জন্মাবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version