Recycling Old Sarees: আলমারির কোণে পড়ে রয়েছে পছন্দের শাড়ি? রইল কিছু রিপারপাস ফ্যাশন টিপস

।। প্রথম কলকাতা ।।

Recycling Old Sarees: শাড়ি এমন একটি ভারতীয় পোশাক যা ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করে। আমরা যতই ওয়েস্টার্ন কালচার, ওয়েস্টার্ন পোশাকের দিকে ঝুঁকি না কেন মনের কোন এক কোণে শাড়ির জন্য ভালোবাসা কিন্তু প্রত্যেক মেয়েদেরই থাকে। সকলের আলমারিতেই তেমন বেশ কিছু ভালো পছন্দের শাড়ি জায়গা দখল করে রয়েছে। কিন্তু বিয়ে বা ঘরোয়া অনুষ্ঠান ছাড়া তেমনভাবে শাড়ি পরার সুযোগ মেলে না। আমাদের পছন্দের দামি দামি শাড়ি গুলি ভাঁজে ভাঁজেই নষ্ট হয়ে যায়।

কিন্তু রিপারপাস ফ্যাশনের যুগে নিজের পছন্দের সুন্দর দামি শাড়ি গুলিকে নষ্ট করার কোন মানেই হয় না। বরং সেটাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা যেতে পারে চোখ ধাঁধানো কিছু ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ড্রেস। তাতে আপনার পছন্দের শাড়িরও সদ্ব্যবহার হবে। আর আলমারিতে জুড়বে আরও নতুন ধরনের একটা পোশাক। রিসাইক্লিং এর যুগে ফ্যাশনের ধারণাটা কিন্তু বেশ খানিকটা বদলে গিয়েছে। তাই আপনার আলমারির পুরনো ঐতিহ্যপূর্ণ শাড়ি গুলিকে একেবারে ব্র্যান্ড নিউ লুক দিতে মানতে হবে কয়েকটা সহজ টিপস।

শাড়ি দিয়ে কী কী ধরনের ড্রেস তৈরি করতে পারবেন ?

* এথনিক স্যুট : যেকোনো বিয়ে বাড়ি, পুজো , গৃহপ্রবেশ কিংবা পারিবারিক অনুষ্ঠানে এথনিক আউটফিটে চাহিদা ভীষণ থাকে। তাই আপনার পছন্দের যেকোনো একটি পুরনো শাড়ি ব্যবহার করে তৈরি করে নিতে পারেন স্ট্রেটকাট, এ লাইন, আনারকলি কুর্তি, লং স্কার্ট এমনকি লেহেঙ্গা পর্যন্ত তৈরি করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বেনারসি, ব্রোকেড, পৈঠানি প্রভৃতি শাড়ি বেছে নিতে পারেন। এছাড়াও এই ধরনের শাড়ি গুলি দিয়ে ইন্দো-ওয়েস্টার্ন স্টাইলে নিজের পছন্দমত ডিজাইনার ড্রেস বানিয়ে নেওয়া যেতেই পারে।

* স্কার্ফ: অনেকের বাড়িতেই পুরনো দিনের পলিকটন বা লিলেন কিংবা সুতির হালকা শাড়ি এখনও পর্যন্ত রয়ে গিয়েছে। সেই শাড়ি গুলি এখন আর তেমনভাবে দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু ওই লাইট ওয়েট প্রিন্টেড শাড়ি গুলি দেখতে বেশ সুন্দর। এমন শাড়ি দিয়ে সহজেই নরম স্কার্ফ তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। ওই ধরনের শাড়িগুলির আঁচলের দিকে প্রিন্ট কিংবা সেলাইয়ের কাজ অনেকটা বেশি থাকে। তাই শুধু আঁচলের দিকটুকু কেটে নিয়ে দু-ধারে সেলাই করে দিলেই আপনার মন মত স্কার্ফ তৈরি।

* ফ্লারেড স্কার্ট: এখন ফ্যাশন বাজারে ফিউশন স্টাইল কিন্তু দারুণভাবে চলছে। তাই কোন নরম সিল্কের শাড়ি দিয়ে ফ্লারেড তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। আর তার সঙ্গে পড়ুন একরঙা কোন টপ বা এক রঙা ফর্মাল শার্ট।

* সাজসজ্জা জিনিস : যারা বোহো ভাইব ভীষণ পছন্দ করেন তাদের জন্য পুরনো শাড়ি কিন্তু দারুন অপশন। এমন কোন শাড়ি যেটা প্রিন্টেড আর বেশ কিছুটা রঙচঙে সেই শাড়িগুলি দিয়ে কুশন কভার, পর্দা এবং ওয়াল আর্টের মত দারুন সুন্দর জিনিস তৈরি করা যায়। আর এইগুলি দিয়ে ঘর সাজালে আপনার ঘর দেখতেও লাগবে অন্য রকম। এমনকি ফ্লোরাল প্রিন্টের শাড়ি আপনি টেবিল ক্লথ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।

এইভাবে নিজের পছন্দের পুরনো শাড়ি গুলিকে পুনরায় নতুন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন খুব সহজেই। এতে আপনার শাড়ি গুলি বছরের পর বছর আলমারিতে পড়ে থেকে নষ্ট হবে না। আপনিও নতুন নতুন আবিষ্কার করতে পারবেন পুরনো শাড়ি দিয়েই।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version