পাক-চীন সীমান্তে ভারতের নতুন প্রহরী! ঝাঁক ঝাঁক ড্রোন, বড় অপারেশনের ছক? সমুদ্রেও জোর টক্কর

।। প্রথম কলকাতা ।।

পাক-চীন সীমান্তে, ভারত কি বড় কোনো অপারেশনের ছক কষছে? ৯৭ টা ড্রোন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখবে শত্রুদেশকে, রাখবে তীক্ষ্ণ নজর। চীন পাকিস্তানকে, ঘুঘুর ফাঁদ দেখাবে ভারত। নতুন ড্রোনের লেভেলই আলাদা, থাকবে খতরনাক সব অস্ত্র। আত্মনির্ভরতায় শান দিচ্ছে নয়াদিল্লি, মার্কিন ড্রোন নিয়েও সাজানো হচ্ছে প্ল্যান। টক্কর দিতে তৈরি ভারতীয় সেনা। চীন পাকিস্তানের টিকে থাকাই দুষ্কর। কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? এবার প্রতিপক্ষ কে কাবু করতে জবরদস্ত প্ল্যান ভারতের। ঘুম উড়ে গেছে চীন পাকিস্তানের।

পাক-চিন সীমান্তে নজর রাখতে ১০,০০০ কোটির ৯৭টি ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ড্রোন কিনবে ভারত। এই ড্রোনের এক একটি একবারো না থেমে প্রায় ৩০ ঘণ্টা উড়তে পারবে আকাশে। বহন করতে পারবে অস্ত্র। আকাশ থেকে সমুদ্র এবং জমিতে সীমান্তে প্রতিবেশী দেশের গতিবিধির ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখাই টার্গেট ভারতের। তারজন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ড্রোনের প্রয়োজন। বিভিন্ন জায়গায় ড্রোনগুলোকে মোতায়েন করে দেওয়া হবে। আর, তারপরই শুরু হবে আসল খেলা। এই ৯৭টি ড্রোন কিনতে মোট ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ। অলরেডি, ৪৬টি হেরন ড্রোন বাহিনীতে নিযুক্ত আছে, তার সঙ্গে এই নয়া ড্রোনগুলোকে কাজে লাগানো হবে। তাছাড়া যে ড্রোনগুলো সার্ভিসে রয়েছে, সেগুলোকে আপগ্রেড করবে হ্যাল। এরমধ্যেই হাতে আসবে মার্কিন ড্রোন। কয়েকদিন আগে মোদীর মার্কিন সফরকালে ৩১টি সশস্ত্র এমকিউ-৯বি ড্রোন কেনার জন্য চুক্তি হয়েছে ভারত আমেরিকার মধ্যে।

যার প্রথম দফায় ভারত পাবে ১০টি অত্যাধুনিক ড্রোন। যে ড্রোনগুলোর সঙ্গে অস্ত্র আসবে না। দ্বিতীয় দফা থেকে ভারত সশস্ত্র ড্রোন পেতে শুরু করবে। প্রথম দফায় পাওয়া ১০টি এমকিউ-৯বি ড্রোনের লোকেশন ঠিক হয়ে আছে। ১টি ড্রোনকে দক্ষিণ ভারতে মোতায়েন করা হবে। দু’টি ড্রোনকে চিন সীমান্তের ওপর নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হবে। তাছাড়াও, আমেরিকা থেকে ১৫টি সি গার্ডিয়ান ড্রোন এবং ১৬টি স্কাই গার্ডিয়ান ড্রোন কিনছে ভারত। সি গার্ডিয়ান ড্রোনগুলো সমুদ্রের ওপর নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হবে। স্কাই গার্ডিয়ান ড্রোনগুলো ভূভাগের ওপর আকাশ থেকে নজরদারির জন্য কাজে লাগানো হবে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় সেনার কাছে বাড়তি পাওনা এই ড্রোনগুলো। এতে সেনাদের হাত আরও শক্ত হবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version