।। প্রথম কলকাতা ।।
Going Back to Work After Maternity Leave: মা হয়ে ওঠার সময়টা প্রত্যেকের কাছেই এক অন্যরকম অনুভূতি এনে দেয়। কারণ তাঁর জীবনে আরও এক খুদে সদস্যের আগমন ঘটে। আর তার থেকেও বড় কথা সেই সদস্য মাকে ছাড়া কিছুই বোঝেন না। তাই বাচ্চা হওয়ার পরে স্বাভাবিকভাবে মায়েরা একটা নতুন রুটিনে অভ্যস্থ হয়ে পড়েন। তাদের দিনের ২৪ ঘন্টা কাটে বাচ্চার সাথে। তবে কর্মজীবী মা যদি হন তাহলে কাজে ফেরার একটা টেনশনও মাথায় চলতে থাকে। একদিকে যেমন বাচ্চার সঙ্গে আনন্দের কিছু মুহূর্ত কাটাচ্ছেন তেমনি অন্যদিকে ক্যালেন্ডার আপনাকে প্রতিনিয়ত স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে এবার ছুটি শেষ হতে চলেছে।
কাজে ফেরার পর কীভাবে নিজেকে আবার মেন্টালি প্রিপেয়ার করবেন? আপনার বাচ্চার খেয়াল রাখবে কে? সঠিক মতন তাকে খাওয়া-দাওয়া করাবে কে? এই প্রশ্নগুলি সেই সময় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা খুবই স্বাভাবিক। হয়তো মনে হতেই পারে যে বাচ্চাকে সময় দেওয়ার জন্য নিজের ক্যারিয়ারটা ত্যাগ করে দি। কিন্তু এত কষ্ট করে বানানো ক্যারিয়ার সহজে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হয় না সকলে পক্ষে। ছাড়া উচিতও নয়। তাই দুইয়ের মাঝে আপনাকে ব্যালেন্স করার ব্রিজ খুঁজে বার করতে হবে।
ম্যাটারনিটি লিভ শেষ হওয়ার আগে থেকেই নিজেকে মেন্টালি প্রস্তুত করতে শুরু করুন, যেটা খুবই জরুরী। নিজের রুটিনে কিছুটা পরিবর্তন আনুন। স্বাভাবিকভাবে ন’টা থেকে পাঁচটার অফিস করার পর আপনার সারাদিনে যেটুকু সময় বেঁচে থাকবে সেইটুকু সময় আপনি আপনার সন্তানকেই দিতে চাইবেন। তবে সে ক্ষেত্রে নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া কিন্তু খুব প্রয়োজন। নিজের বাচ্চাকে আপনি কার কাছে রেখে যাবেন এই বিষয়ে নিশ্চিত হন। বিদেশে যদিও ডে কেয়ার রয়েছে। কিন্তু এই দেশে মায়েরা বাচ্চার ঠাকুমা, দাদু অথবা দিদা, দাদুর কাছে রেখে যেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। অনেকের ক্ষেত্রে আবার হেল্পিং হ্যান্ড থাকে যারা বাচ্চার খেয়াল রাখে।
যার কাছেই নিজের বাচ্চাকে রেখে যান না কেন প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে যে সেখানে সে সুরক্ষিত থাকবে। তবেই আপনি শান্ত মস্তিষ্কে নিজের কাজ করতে পারবেন। আপনার ম্যাটারনিটি লিভ শেষ হওয়ার বেশ কিছু সময় আগে থেকেই বাচ্চাকে ফিডারে ফিডিং করানোর অভ্যাস শুরু করুন। না হলে পস্তাতে হতে পারে। ব্রেস্ট ফিডিং এর পাশাপাশি বাচ্চাকে ফিডারে অভ্যস্থ করে তুলুন। অফিসে যাওয়ার আগে নিজের বাচ্চার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি নিজে হাতে গুছিয়ে রাখুন। প্রয়োজনে একটা চার্ট তৈরি করে নিন। যে আপনার বাচ্চার খেয়াল রাখবে তাকে সবকিছু বুঝিয়ে দিন। এতে কিছুটা মানসিক দিক থেকে শান্তি থাকবে আপনার।
যখন আপনি লিভে থাকবেন তখনও অফিসের কলিগদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। কারণ একেবারে কাজ থেকে দূরত্ব তৈরি হয়ে গেলে আবার নতুন করে অ্যাডজাস্ট করতে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। সেই কারণে যদি অফিসের কলিগদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে, সব ব্যাপারে টুকটাক আপডেট আপনি পেতে থাকেন তাহলে খুব একটা সমস্যা হবে না। আর যদি সমস্যা হয় তবে ফিল ফ্রি টু শেয়ার, এই মেন্টালিটি রাখুন। সংসারের কাজ ভাগ করে নিন। ওয়ার্কিং মাদারদের জন্য সবদিক সামলে ওঠা ভীষণ মুশকিল। তাই অবশ্যই আপনার পার্টনারকে সেক্ষেত্রে হেল্পফুল হতেই হবে। পাশাপাশি বাড়িতে একজন হেল্পিং হ্যান্ড রাখতে পারেন। এতে সাহায্য হবে অনেকটাই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম