Chicken Pox: চিকেন পক্স হলে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করবেন ? ডায়েট চার্টই বা হবে কেমন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Chicken Pox: শীতের শেষে বসন্তের আগমন। এই আবহাওয়া বেশ মনোরম হলেও বসন্তের সৌন্দর্যের আড়ালে কিন্তু লুকিয়ে থাকে ছোঁয়াচে ভাইরাস। এই সময় বাতাসে ভেসে বেড়ায় নানান ধরনের সক্রিয় ভাইরাস। আর সব থেকে বেশি বসন্তকালে যে রোগটি মানুষকে কাবু করেন তাহলে চিকেন পক্স (Chicken Pox) বা বসন্ত রোগ। একবার চিকেন পক্সে আক্রান্ত রোগী যে দ্বিতীয়বার ফের চিকেন পক্সে আক্রান্ত হবেন না এমন কোন নিশ্চিত বার্তা দেওয়া যায় না। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর।

চিকেন পক্সের লক্ষণ :

চিকেন পক্স সম্পর্কে কমবেশি সকলেই প্রায় জানেন । তবুও এর লক্ষণ গুলি যারা জানেন না তাদের জন্য জেনে রাখা জরুরী। চিকেন পক্সে আক্রান্ত যেকোনো রোগীর একেবারে প্রাথমিক লক্ষণ হল জ্বর, গা ম্যাজম্যাজ ভাব এবং শরীরে দুর্বলতা অনুভূত হওয়া। পেটের গণ্ডগোলও দেখা দিতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে ত্বকে ছোট ফুসকুড়ির মতো বেরোতে শুরু করে। অনেকের ক্ষেত্রে এই ফুসকুড়ি আকারে ছোট হয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে এটা বড় ফোস্কার আকার ধারণ করে। সেই সময় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। এই চিকেন পক্স কম করে সাত থেকে দশ দিন ভোগাবে রোগীকে। আর তারপর ডাক্তাররা সাধারণত পরামর্শ দেন প্রায় ২১ দিন মতো বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। যাদের ফোস্কার আকার অনেকটা বড় হয় তাদের সেই দাগ থেকে যায় এবং তা যেতে অনেকটাই সময় লাগে।

ছোঁয়াচে ভাইরাসেই চিকেন পক্স

এটি একটি বায়ুবাহিত রোগ এবং এই রোগ অত্যন্ত বেশি সংক্রামিত। কাজেই চিকেন পক্সে আক্রান্ত যেকোনো রোগীর থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই শ্রেয়। মূলত ভেরিসেল্লা জোস্টার (Varicella Zoster) নামক একটি ভাইরাসের কারণে চিকেন পক্স দেখা দেয় শরীরে। কোন ব্যক্তি যদি রোগীর ফোস্কার সংস্পর্শে আসেন অথবা রোগীর ব্যবহার করা জিনিস ব্যবহার করেন তাহলে তিনিও আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়াও হাঁচি , কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাস (Virus) বাহিত হয়। গর্ভবতী মায়ের চিকেন পক্স হলে নবজাতক শিশুরাও আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগ পুরোপুরি যেহেতু সারে না সে ক্ষেত্রে দু-তিনবার চিকেন পক্স হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

প্রাকৃতিকভাবে রুখে দিন চিকেন পক্স

শীত হালকা কমতে শুরু করলেই বাজারে পাওয়া যায় সজনে ফুল , সজনে শাক । এইগুলি চিকেন পক্সের ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে পারে । এছাড়াও নিমপাতা (Neem Leaves) এবং করলা, যার স্বাদ প্রাকৃতিকভাবে তেতো। এই ধরনের খাবারগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করার শক্তি জোগায়। এর পাশাপাশি আমলকি এবং কমলালেবু থেকে ভিটামিন সি পেতে পারে আপনার শরীর। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অন্যতম দুটি উপাদান। এই সময়ে যদি উল্লেখিত শাকসবজি এবং ফলগুলি নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে চিকেন পক্স (Chicken Pox) হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে আসে।

চিকেন পক্সে কী খাবেন, কী খাবেন না ?

প্রত্যেক বছর ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়কালে চিকেন পক্স হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেশি থাকে। কারণ এটাই তার উপযুক্ত সময়। এই কারণেই ওই সময় পাঁঠার মাংস বা দুধের তৈরি কোন রকম খাবার যতটা সম্ভব কম খাওয়া যায় ততটাই শরীরের পক্ষে ভালো। পরিবারের সকলকেই শীতের একেবারে শেষের দিকে তেল, মশলা এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। তার পরিবর্তে প্রতিদিনের খাবারে রাখা উচিত তেতো স্বাদের কিছু।

আয়ুর্বেদিক উপায়

যেহেতু চিকেন পক্সে আক্রান্ত হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়সসীমা নেই, তাই বাচ্চারাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বাচ্চাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা অনেকটাই কম থাকে। তাই তাদেরকে শীতকালে পারলে প্রতিদিন তুলসী পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ান। গুলঞ্চর রস যদি মধু মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন তাহলে সেটা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। এগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version