Period Problem: কীভাবে বুঝবেন পিরিয়েডের ডেট এগিয়ে আসছে ?সঠিক সময়ে মাসিক না হলে কী হতে পারে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Period Problem: পিরিয়ড মানেই প্রত্যেক মাসে কয়েকদিনের জন্য শারীরিক নানান সমস্যা। যদিও বহু মহিলাকে এই সমস্যায় ভুগতে হয়। স্বাভাবিক নিয়মে তাদের ঋতুচক্র সম্পূর্ণ হয়। তবে অধিকাংশ মেয়ের ক্ষেত্রে দেখা দেয় বিস্তর সমস্যা। সারা শরীরে ব্যথা, যন্ত্রণা, অস্বস্তি ভাব, খিদে না পাওয়া প্রভৃতি। পিরিয়ড মানে শুধু শারীরিক নয়, মানসিক দিক থেকেও নানান সমস্যা তৈরি হয়। মাসিক ঋতুচক্রের আগে কমবেশি সবাইকেই এই সমস্যা পোহাতে হয়। যার মধ্যে কিছুটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে, আর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে দৈনন্দিন জীবনে।

পিরিয়ড শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগে থেকে পিরিয়ড চলাকালীন মহা ঝামেলা পোহাতে হয় । এই সময়ে পেটে, কোমরে এবং পায়ে অসহ্য ব্যথা সম্পর্কে কমবেশি অনেকেই জানেন। এমনও মহিলা আছেন যারা ব্যথা সহ্য করতে না পেরে পেইন কিলার ওষুধে ভরসা রাখেন। পাশাপাশি রয়েছে ঘরোয়া টোটকা।

কেন এমন হয়?

আসলে ঋতুচক্র শুরু হওয়ার ঠিক আগে হরমোনের স্তরের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। হঠাৎ করেই ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন নিঃসরণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে মুড সুইং দেখা দেয়, অযথা কারণ ছাড়াই মহিলারা রেগে যান। অপরদিকে কমতে থাকে সেরাটোনিনের পরিমাণ। যার জেরে বেড়ে যায় বিরক্তিবোধ। এমন কিছু লক্ষণ আছে যা দেখে সহজেই বুঝতে পারবেন আপনি প্রি-মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোমের শিকার। সাধারণত পিরিয়ডের ঠিক ৫ থেকে ১১ দিন আগে আপনি যদি এই লক্ষণগুলি খুঁটিয়ে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন।
•ক্লান্তি
• মাথা ব্যাথা
•পেট ফোলা
• হাতে পায়ে যন্ত্রণা
• মুখে ব্রণ
• স্তন বৃন্তে ব্যথা
• কনস্টিপেশন
•ঘুমোতে অসুবিধা
•মনসংযোগের সমস্যা
•হঠাৎ করেই কান্না পাওয়া বা রেগে যাওয়া
•মেজাজ হারিয়ে ফেলা

কীভাবে মুক্তি মিলবে?

•যদি মনে করেন দিনের পর দিন এই লক্ষণ গুলি আপনার শরীরে জটিল সমস্যা তৈরি করছে তাহলে দেরি করবে না, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

• বাড়িতেও এই সমস্যার সমাধান রয়েছে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে মিনারেল, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন জাতীয় খাবার। প্রতিদিনের রুটিনে যোগ করতে পারেন গ্রিন টি কিংবা আদা চা।

•এছাড়াও মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, বাদাম প্রভৃতি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। এড়িয়ে চলবেন ফাস্টফুড, কফি, চা, মদ্যপান আর বেশি ভাজাভুজি জাতীয় খাবার । অতিরিক্ত চিনি আর নুন, এই দুটোকেই না করে দিন।

পিরিয়ড মিস হওয়া মানেই কি গর্ভাবস্থা?

পিরিয়ড মিস হয়ে যাওয়া মানে কিন্তু গর্ভাবস্থা নয়। এক্ষেত্রে বহু কারণ রয়েছে। কয়েক মাস যদি পিরিয়ড বন্ধ থাকে তাহলে পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। অনেক সময় মহিলা হরমোন গুলির জন্যও নানান সমস্যা দেখা দেয়। তখন পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ ঋতুস্রাব না হওয়া গর্ভধারণের সংকেত হতে পারে না। অপরদিকে গর্ভাবস্থায়ও রক্তক্ষরণ হতে পারে। যদিও এক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ যখন ডিম্বাণুটি ইউটেরাসের সঙ্গে যুক্ত হয় তখন সামান্য রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। এই রক্তের রং ঋতুস্রাবের রঙের থেকে একটু কম লাল।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version