Refrigerator Burst: ফ্রিজ ফেটে যেতে পারে যখন তখন, এই নিয়ম না মানলেই বিপদ

।। প্রথম কলকাতা ।।

Refrigerator Burst: আপনার ফ্রিজ কিন্তু যখন তখন বার্স্ট করতে পারে। ধরে যেতে পারে আগুন। আদৌ কি আপনি ফ্রিজ ব্যবহার করতে জানেন? পাশ কাটিয়ে বিষয়টাকে এড়িয়ে গেলে বড় ভুল করবেন। এই ভিডিওর ৫ টা টিপস, আপনার জীবন বাঁচিয়ে দেবে। প্রতিবেদনের সাথেই আছে লিংক। ক্লিক করে দেখে নিন। বিপদ ঘটার আগেই প্রিকশন নিন।

সারাদিনে কতবার ফ্রিজ খুলছেন আপনি? ভুলের শুরুটা হচ্ছে এখান থেকেই । একের পর এক শিরোনাম। খবরে উঠে আসছে ফ্রিজের কম্প্রেসার ফেটে মৃত্যুর ঘটনা। গোটা পরিবার শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভুলটা কোথায় হচ্ছে? ধরতে পারছেন? একটা ফ্রিজ ৩৬৫ দিন, ২৪ টি ঘন্টা চলছে। অথচ তার প্রপার মেইনট্যানেন্স কি হচ্ছে? ফ্রিজ কিনলেই হবেনা, ব্যবহার করার আগে মাথায় রাখুন।

🔴যেখানে বিদ্যুতের হেরফের ঘটে বা ভোল্টেজ ওঠা নামা করে তেমন জায়গায় কখনোই ফ্রিজ ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ফ্রিজের কম্প্রেসারে চাপ পড়ে। ফলে বিস্ফোরণ ঘটার চান্স থাকে।

🔴আবার অনেক সময় আপনি হয়তো বুঝতে পারছেন ফ্রিজটা গরম হয়ে যাচ্ছে। ঠান্ডা হতে চাইছে না। তখনই কিন্তু আপনাকে সাবধান হতে হবে। প্রথমেই ফ্রিজটা বন্ধ করে দিতে হবে। যাতে কোনওরকম বিদ্যুৎ সংযোগ না ঘটে। তারপর কোনও বিশেষজ্ঞকে ডেকে ভালো করে রেফ্রিজারেটর পরীক্ষা করান। নাহলে বিপদ হতে পারে।

🔴আরেকটা পয়েন্ট বলছি। লক্ষ্য করবেন কিছু সময়, রেফ্রিজারেটরের পেছনের দিকটা খুব গরম হয়ে যায়। সঙ্গে ফ্রিজটা হঠাৎ শব্দ করতে শুরু করে। যত আওয়াজ বাড়বে, বুঝবেন আপনার ফ্রিজের কম্প্রেসার ঠিকভাবে কাজ করছে না। সেইসময় আর রিস্ক নেওয়া যাবেনা। কারণ, রেফ্রিজারেটর বিস্ফোরণের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো এই কম্প্রেসার। এতে যখন কোনও সমস্যা হয়, তখনই বুঝতে হবে আসল বিপদ। যার কারণে ফ্রিজে আগুনও ধরে যেতে পারে।

তবে, ফ্রিজ থেকে আওয়াজ বেরোনোর হাজার একটা কারণ থাকতে পারে। অনেক সময় ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে শব্দের সমস্যা হয়, আবার অনেক সময় দেখা যায়, ফ্রিজের কানেকশনে গন্ডোগোল হলে, তা থেকে শব্দ হতে শুরু করে। সমস্যা হতে পারে রেফ্রিজারেটর ওভারলোডিং থেকেও। এমনকি বারংবার ফ্রিজের দরজা খুললেও কম্প্রেসারে চাপ পড়ে। তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায় ফ্রিজে থাকা গ্যাসের পরিমাণও। তখনও ফ্রিজ থেকে শব্দ বেরোতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে কি করবেন?

🔴এক, রেফ্রিজারেটর মেঝের কাছে রাখবেন না। একটি স্ট্যান্ড রেখে, তার উপর রেফ্রিজারেটর রাখতে পারেন। দুই, প্রয়োজনে ফ্রিজটাকে পরিষ্কার করুন। তারপরেও আওয়াজ হলে টেকনিশিয়ান ডেকে ফ্রিজ পরীক্ষা করান অবশ্যই।

🔴শুধু তাই নয়, মাথায় রাখবেন, কম্প্রেসারের কোনো অংশে ত্রুটি ধরা পড়লে কোম্পানির সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যেতে হবে। কারণ কোম্পানি অরিজিনাল পার্টসের গ্যারান্টি দেয়। কিন্তু তার পরিবর্তে লোকাল পার্টস ব্যবহার করলে, সেগুলো সঠিকভাবে কাজ না করলে কম্প্রেসারে সরাসরি চাপ বাড়বে এবং বিস্ফোরণ ঘটার চান্স থাকবে।

মনে রাখবেন, কয়েকটা সতর্কতা অবলম্বন করলে আপনি ও আপনার পরিবার নিরাপদ থাকবেন।

https://fb.watch/q5v8oVqEAf/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version