Children’s Mental Health: শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নে একজন মায়ের দায়িত্ব কতটা? একটু জানুন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Children’s Mental Health: শরীরের স্বাস্থ্যের প্রতি কম বেশি অনেকেই নজর রাখেন, তবে মনের স্বাস্থ্যের প্রতি আদৌ কি খেয়াল রাখা হয়? মনের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে শরীরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। শরীর অসুস্থ হয়ে পড়লে সেদিকে নজর সবার পড়ে, কিন্তু মনের অসুস্থতার খোঁজ কেউ রাখে না। স্বাভাবিক ভাবেই অনেকেই নিজের মনের কথা বলতে না পেরে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আবার কেউ বা আত্মহননের পথ বেছে নেন। সাম্প্রতিক সময়ে মানসিক অসুস্থতা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা একেবারেই কাম্য নয়। শরীর সুস্থ রাখতে যেমন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন, তেমনি মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কর্মব্যস্ত জীবনের যতই কাজ থাকুক না কেন নিজের জন্য বার করতে হবে দু’দণ্ড সময়। চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে এখনই যদি কেউ সচেতন না হন তাহলে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি করতে বেশি সময় লাগবে না।

শুধু প্রাপ্তবয়স্কই নয়, শিশুরাও মানসিক দিক থেকে আজ বিপর্যয়ের মুখে। পিঠে গাদা গাদা বইয়ের ভার আর সারা দিনের টাইট রুটিনের মাঝে মাঠে খেলতে যাওয়ার ফুরসত মেলে না। আর যদিও বা সময় পাওয়া যায় সেই অংশ ঘিরে রেখেছে মোবাইল গেম। বাবা-মা কাজের ফাঁকে শিশুকে সময় দিতে পারেন না। যার কারণে তারা বেশি করে একাকিত্বে ডুবে যায়। বাড়ির বাইরের সমস্যাগুলি খুব সহজে সমাধান করতে পারে না। শুধু তাই নয়, সে সম্পর্কে তাদের খারাপ লাগা বা ভালো লাগা বাবা-মায়ের সঙ্গে শেয়ার করতে ভয় পায়। শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে মাকে বেশ কয়েকটি নিয়ম মানতে হবে। সাধারণত শিশুদের দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে মায়ের কাছে। তাই এক্ষেত্রে মায়ের পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

(১) শিশু কি খাচ্ছে, কখন ঘুমাচ্ছে, সারাদিনের রুটিন কেমন সেদিকে একজন মায়ের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। সবার জীবনেই কাজের চাপ আছে, তবে এর ফাঁকে শিশুর জন্য সময় বার করতে হবে। বাবা-মা দুজনকেই শিশুর সঙ্গে মিশুকে বন্ধুর সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। শিশুর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখলে তবেই সে তার মনের কথা শেয়ার করবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কেউ যদি ১০ মিনিট মন খুলে কথা বলে তাহলে তার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পরীক্ষার স্কোর উন্নত করতে পারে। যারা অন্যের বাধ্যগত হয়ে নিজেদের খুশিকে দমিয়ে রাখে, তারা দিনের পর দিন মেজাজ হারিয়ে খিটখিটে হয়ে যায়।

(২) শিশুর উপর বাবা মায়ের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়া উচিত হবে না। সব সময় শিশুর ভাল লাগাকে প্রাধান্য দিতে হবে। মাঝে মাঝে শিশুকে নিয়ে শপিং করতে যান কিংবা সে যে জিনিসটি ভালোবাসে তা করতে দিন। তবে তা যেন অন্যায় আবদার না হয়। শিশুর মন ভালো রাখতে মাঠের খোলামেলা পরিবেশে খেলতে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে খেলা হবে অপরদিকে শরীরচর্চা হবে অর্থাৎ শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকবে।

(৩) বিশেষ করে সকালে দিকে শিশুকে কিছুক্ষণ সূর্যের আলোতে নিয়ে যান। কারণ সূর্যের আলোয় রয়েছে ভিটামিন ডি, যা শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকালের সূর্যের আলোয় মস্তিষ্কের অ্যান্ডোরফিন এবং সেরাটোনিনের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

(৪) শিশুকে অযথা বকাবকি করবেন না, তাহলে সে আপনার থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে পারে। প্রথমে তার ভুলগুলিকে সংশোধন করে তাকে বোঝান কেন সেই কাজটি ভুল। দরকার পড়লে নীতি গল্প কিংবা কাজের মাধ্যমে তাকে বুঝিয়ে দিন শিশু ভুল করছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version