Ratanti Kalipuja 2023: কীভাবে শুরু রটন্তী কালীপুজো ? জানুন এর অজানা কাহিনী

।। প্রথম কলকাতা।।

Ratanti Kalipuja 2023: প্রত্যেক বছর দক্ষিণেশ্বরে (Dakshineshwar) কালীপুজো মহাসমারোহে পালন করা হয়। তবে বছরের তিনটি সময়ে এই পুজোকে আরও বড় করে পালন করে থাকেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। জৈষ্ঠ মাসে ফলহারিণী কালীপুজো, কার্তিক মাসের দীপান্বিতা কালীপুজো এবং মাঘ মাসের রটন্তী কালীপুজো। এই রটন্তী কালী পুজোতেই একমাত্র চতুর্দশী তিথিতে পূজিতা হন মা কালী। সারা বছর অন্যান্য পুজো গুলি অমাবস্যাতেই করা হয়। রটন্তী কালীপুজোকে কেন্দ্র করে দক্ষিণেশ্বরের মন্দির চত্বরে বিশাল আয়োজন দেখতে পাওয়া যায়। প্রতি বছরই দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গার ঘাটে পুণ্য স্নান করতে এই দিনে এসে উপস্থিত হন বহু পুন্যার্থীরা।

২০২৩ এ রটন্তি কালী পুজো কবে ?

আজ অর্থাৎ শুক্রবার শেষ রাত থেকে অমাবস্যা তিথি শুরু হবে এবং ২১ তারিখ অর্থাৎ শনিবার রাত পর্যন্ত থাকবে। চলতি বছরে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গোধূলি বেলায় গঙ্গারতী করা হবে। আর তারপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা নাগাদ মন্দির প্রাঙ্গণে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং ভক্তিগীতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই দিনই রাত সাড়ে ন’টা থেকে শুরু হবে রটন্তী কালীপুজো (Ratanti Kalipuja)।

কীভাবে উৎপত্তি রটন্তী কালীপুজোর ?

রটন্তী কথাটার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে রটে যাওয়া। কী রটে গিয়েছিল সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আবারও ফিরে যেতে হয় শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধিকার প্রেম কাহিনীতে। কথিত রয়েছে,রাধিকা কখনই কৃষ্ণের সুমধুর বাঁশি শুনে নিজেকে স্থির রাখতে পারতেন না। তিনি সংসার এবং লোকলাজের পরোয়া না করে ছুটে যেতেন শ্রী কৃষ্ণের কাছে। এই বিষয়টি জানতেন তাঁর শাশুড়ি এবং ননদ জটিলা ও কুটিলা। তবে কিছুতেই তা বিশ্বাস করাতে পারেননি রাধিকার স্বামী আয়ানকে। এইরকমই এক মাঘ মাসের শীতের রাতে ফের রাধিকা শুনতে পান কৃষ্ণের বাঁশির সুর। তখন ছিল কৃষ্ণা চতুর্দশী । অন্ধকারের মধ্যেই সবকিছু ফেলে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান শ্রী রাধিকা।

তাকে প্রমাণসহ ধরবেন এমন মনোভাব নিয়ে জটিলা এবং কুটিলা রাধিকার পিছু নেন। তাঁরা চাক্ষুষ করেন শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে রাধিকাকে। তাঁরা সেই দৃশ্যের সাক্ষী আয়ানকেও করবেন বলে রীতিমতো জোর করেই নিয়ে আসেন কুঞ্জবনে। তাঁরা চেয়েছিলেন রাধিকার গোপন প্রেমের কাহিনী আয়ানের সামনে আসুক। এই মতো পরিস্থিতিতেই শ্রীরাধিকা ভয় পান । শ্রীকৃষ্ণ তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন । আয়ান ছিলেন কালীর পূজারী। তিনি যখন কুঞ্জবনে এসে উপস্থিত হন তখন দেখেন মা কালী একটি গাছের তলায় বসে রয়েছেন। আর তাঁর পা নিজের কোলের মধ্যে রেখে বসে রয়েছেন শ্রী রাধিকা। যে শক্তিকে তিনি এতদিন ধরে পুজো করে আসছেন রাধিকাকে তাঁর পদ সেবা করতে দেখে খুশি হন আয়ান। তিনি রটিয়ে দেন কালী দর্শন সার্থক হয়েছে তাঁর। সেই দিন থেকেই এই রটন্তী কালীপুজো প্রচলিত হয়।

রটন্তী কালীপুজোকে কেন্দ্র করে আরও বেশ কিছু কাহিনী কথিত রয়েছে। যেমন প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী, শ্রীরামকৃষ্ণদেব একবার বলেছিলেন, রটন্তী কালীপুজোর ভোরে তিনি স্বর্গের দেবতাদের দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গার ঘাটে নেমে আসতে দেখেন এবং সেখানে স্নান সারেন তাঁরা। এরপর থেকেই রটন্তী কালীপুজোর ভোরে দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় পুণ্যার্থীদের পূণ্যস্নানের রীতি প্রচলিত হয়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version