।। প্রথম কলকাতা ।।
চীনে ভারতের রাষ্ট্রদূতদের জীবন কেমন? বিজয় গোখলের বিস্ফোরক তথ্য চীনা স্পাইদের থেকে পদে পদে বিপদ কীভাবে এড়ান রাষ্ট্রদূতরা। জানলার কম্পন দেখে ধরে ফেলা হয় সিক্রেট কথোপকথন। ডিপ্লোম্যাটিক ব্যাগ ঠিক কী? কোন গোপন কাজ করা হয়? চীন বা পাকিস্তান কে বেশি ডেঞ্জার? সেখানে কীভাবে জীবন কাটান ভারতের রাষ্ট্রদূতেরা? ইন্ডিয়ান আর্মির জওয়ানদের কতটা রিস্ক নিতে হয় সেই ধারণা তো রয়েছে আপনার কিন্তু রাষ্ট্রদূতরা কতটা নিরাপদ ভারতের শত্রুদের মাটিতে কোনও আইডিয়া আছে? বিদেশের মাটিতে কোন ভাষায় বলেন ভারতের রাষ্ট্রদূতরা? জানেন ডিপ্লোম্যাটিক ব্যাগ রাষ্ট্রদূতরা কোন কাজে ব্যবহার করেন?
সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডের লাল্লানটপ চ্যানেলে এসে মুখ খুলেছেন চীনে থাকা ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত বিজয় গোখলে চীন সম্পর্কে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরলেন তিনি। চীনের বেজিংয়ে থাকা ভারতের এমব্যাসি সেখান থেকে বাইরে পা রাইলেই বোঝা যেত ছায়ার মতো। চিনা স্পাইরা তাদের প্রত্যেকটা মুভমেন্ট লক্ষ্য করছে। পাকিস্তানে নাকি আরও মারাত্মক এই বিষয়টাই।
একজন রাষ্ট্রদূতের কাজটা ঠিক কী?
একজন রাষ্ট্রদূত আনুষ্ঠানিকভাবে কোন দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। যাবতীয় রাষ্ট্রীয় কার্যাদি সম্পন্ন করেন সাধারণতঃ তিনি নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষা কিংবা সমস্যা নিয়ে অন্য দেশের কাছে তুলে ধরেন। এ ছাড়াও শত্রু দেশ ভারতের বিরুদ্ধে কী পরিকল্পনা করছে কোনও তৃতীয় দেশের সঙ্গে চক্রান্ত করা হচ্ছে কিনা সেই গোপন খবরও জোগার করার কাজ থাকে রাষ্ট্রদূতের।
বিজয় গোখলের দাবি রাষ্ট্রদূতেরা এটা মেনেই নেন তারা বন্ধ ঘরে কথা বললেও তাতে নজর রাখে শত্রুদেশ। সেক্ষেত্রে কোনও ফাঁকা ঘরে কথোপকথন হলে জানালার ভাইব্রেশন দেখে বের করে ফেলা যায় ঘরে কী কথাবার্তা চলছে। তাই কোনও জরুরী বার্তা দেওয়ার থাকলে পর্দার ভিতরেই কথা বলা হয়। গোখলের দাবি এত টেকনলজির যুগে আজও সবথেকে সুরক্ষিত বার্তা পাঠানোর পদ্ধতি কোনও মেসেজ হাতে লিখে দেশের কোনও দূতের হাতে তা পাঠানো। সেটা ডিকোড করা শত্রু দেশের পক্ষে সহজ কথা নয়। এর থেকেই ডিপ্লোম্যাটিক ব্যাগের কনসেপ্ট আসে। এটা এমন একটা ব্যাগ যার মধ্যে গোপন মেসেজ লিখে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর সেই ব্যাগ সিল করা হয় ভারতের এমব্যাসির কোন দূত বাই প্লেনে নিজের দায়িত্বে সেটা দেশে পৌঁছে দেন।
এক্ষেত্রে কি কোনও কোড ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়? বিজয় গোখলের দাবি তার সময়কালে তিনি এমনও শুনেছেন পাকিস্তান তো প্রতিমূহুর্তে জীবনের আশঙ্কা ছিল রাষ্ট্রদূতদের। তারা ইসলামাবাদে এমব্যাসি থেকে বের হলেই কখন কে শেষ হয়ে যাবে এই রিস্ক থাকত ২৪ ঘন্টাই। তবে এখন পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটাই বেটার চীনের ভাষার ম্যান্ডারিন আপাদমস্তক গুলে খাওয়া। গোখলের দাবি হোয়াটস অ্যাপ বা যে কোনও অ্যাপ বা সফটওয়ারের থেকে ব্যক্তিগত কথোপকথনে বেশি ভরসা করেন রাষ্ট্রদূতেরা। কারণ সেটা সেভাবে ট্র্যাক করা সম্ভব নয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম