।। প্রথম কলকাতা ।।
Homeopathy Medicine: ভারতবর্ষে বহু প্রাচীন যুগ থেকেই আয়ুর্বেদের ওপরে ভরসা রাখা হতো। তারপর ধীরে ধীরে হোমিওপ্যাথি ওষুধের (Homeopathy Medicine) প্রচলন শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে বহু মানুষ রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত হোমিওপ্যাথি ওষুধের উপরেই বিশ্বাস রেখেছেন। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত হোমিওপ্যাথি ওষুধের দাম অ্যালোপ্যাথি ওষুধের তুলনায় অনেকটা কম। আর পাড়ায় পাড়ায় বাড়ির কাছে হোমিওপ্যাথি চেম্বার একটা দুটো থাকেই। এই হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে বিভিন্ন রোগ নিরাময়ও হচ্ছে।
বেশকিছু জটিল রোগও দীর্ঘদিন ধরে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে সেরে যায়। এমন কথা বলেন খোদ রোগীরা। একটা সময় গোটা পৃথিবীজুড়ে হোমিওপ্যাথি ওষুধের রমরমা শুরু হয়। যদিও এই চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে চর্চা করেছিলেন বিখ্যাত চিকিৎসক হ্যানিম্যান। তাঁর সৃষ্ট এই চিকিৎসা বিজ্ঞান শুধু সাধারণ মানুষের নয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের বিশ্বাস অর্জন করতেও সক্ষম হয়েছিল। কাজেই হোমিওপ্যাথিকে একেবারে হালকায় নিলে চলবে না। তবে হোমিওপ্যাথি ওষুধ নিয়ে মানুষের মধ্যে বহু ভ্রান্ত ধারণা কাজ করে। সেইগুলির নেপথ্য আদৌ কোন যুক্তি রয়েছে নাকি শুধুই রটনা? তা আলোচনা করা হবে আজকের প্রতিবেদনে।
* হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে টক খাওয়া যায় না
বিশেষজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক তথা কলকাতা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথির প্রাক্তন অধিকর্তা গৌতম আঁশ এই সময়কে জানিয়েছেন, হোমিওপ্যাথি ওষুধের সঙ্গে লেবুর কোনরকম সম্পর্কই নেই। এটা পুরোপুরি মানুষের ভ্রান্ত ধারণা । টক খেলে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যাবে এমন বিশ্বাস মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে তবে এর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
* ওষুধের বিধি নিষেধ
কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ থাকে । আসলে কিছু খাবারের মধ্যে এমন কিছু উপাদানের উপস্থিতি থাকে যেগুলো ওষুধের কার্যক্ষমতাকে কমিয়ে দিতে পারে। যেমন কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে দুধ (Milk) খেতে বারণ করা হয়। তবে এই বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করে চিকিৎসকের উপর। তিনি যা পরামর্শ দেবেন সেটাই মেনে চলা উচিত।
* ওষুধ খাওয়ার সময়
হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার সঠিক সময় কী তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে । যদিও চিকিৎসকরা বলে দেন কখন ওষুধ খেতে হবে। কিন্তু আদর্শ সময় হল খাবার খাওয়ার কুড়ি মিনিট আগে অর্থাৎ ওষুধ খাওয়ার কুড়ি মিনিট আগে আপনি কিছু খেতে পারবেন না এবং ওষুধ খাওয়ার পরবর্তী কুড়ি মিনিটও কিছু খেতে পারবেন না। মোট ৪০ মিনিট যদি কিছু না খেয়ে থাকা যায় তবেই ওষুধ দ্রুত কাজ করে।
* জলে না বড়িতে গুণ বেশি
অ্যালোপ্যাথি ওষুধ যেমন ট্যাবলেট বা সিরাপ এর মতো খাওয়া যায় হোমিওপ্যাথি ওষুধ ঠিক তেমনভাবে খাওয়া যায় না। এই ওষুধ খাওয়ার জন্য একটা মাধ্যম প্রয়োজন হয়। সেই মাধ্যম হিসেবে বড়ি অথবা জল ব্যবহার করা হয়। একেক ধরনের হোমিওপ্যাথি ওষুধের জন্য মাধ্যম একেক ধরনের হয়। এটা সম্পূর্ণ ছেড়ে দিতে হবে চিকিৎসকের উপরে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম