Tattoo: ট্যাটু করবেন ঠিক করেছেন ? প্রথম থেকে সাবধানতা অবলম্বন না করলে কিন্তু বিপদ

।। প্রথম কলকাতা ।।

Tattoo: এই প্রজন্মের মধ্যে ট্যাটু (Tattoo) নিয়ে আলাদাই এক ধরনের উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। নিজের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে নানান ধরনের পছন্দের ছবি কিংবা কোন নাম, নামের আদ্যাক্ষর অথবা পছন্দের কোনো লাইন খোদাই করে রাখতে পছন্দ করেন তাঁরা। ট্যাটু যদি ঠিকঠাক হয় তবে তা দেখতে অবশ্যই ভালো লাগে। এই ট্যাটু যে কোন ব্যক্তির রুচির পরিচয় দিয়ে থাকে। বিভিন্ন অঙ্গে ট্যাটু করা নিয়ে যতটা উৎসাহ কাজ করে সকলের মধ্যে, সেই ট্যাটু নিয়ে সাবধানতা (Awareness) অবলম্বন করার ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যায় না।

ট্যাটু করার জন্য একটি সুচের সাহায্য নেওয়া হয়। নির্ধারিত জায়গায় সেই সুচ ফুটিয়ে পছন্দের ছবি, নাম অথবা কোন লাইন খোদাই করে দেন ট্যাটু আর্টিস্ট (Tattoo Artist)। এখন বিভিন্ন দেশের অভিনেতা অভিনেত্রী, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষটাও এই ট্যাটুতে মজেছেন। এমনও দেখা যায় বিদেশে বহু মানুষ রয়েছেন যারা তাদের সম্পূর্ণ শরীরকে প্রায় ট্যাটু দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির ট্যাটু তাদের শরীর জুড়ে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। কিন্তু ট্যাটু করার পর এবং ট্যাটু করার আগে যদি বিশেষ কিছু বিষয় না মাথায় রাখা হয় তাহলে বিপদ হতে পারে। কারণ যেই অঙ্গে ট্যাটু করা হয়েছে সেখান থেকেই সংক্রমণ হয়ে বড়সড় সমস্যা সৃষ্টি হবার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

* ট্যাটু করার আগে যে বিষয়গুলি মনে রাখা জরুরী

১. ট্যাটু করার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েছেন । সকাল হলেই নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী পৌঁছে যাবেন স্টুডিওতে (Tattoo Studio)। কিন্তু তার আগের রাতে উত্তেজনার বশে ঘুমটাই হল না ঠিকঠাক। এর ফল কিন্তু খুব একটা ভালো হবে না। যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তাহলে ট্যাটু করার সময় হাতে সুচ ফুটলেই মারাত্মক ব্যথা যন্ত্রণা হবে। যা সহ্য করা আপনার পক্ষে আরও বেশি কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে।

২. আপনি যেখানেই ট্যাটু করুন না কেন ওই সুচের ব্যথা সহ্য করতেই হবে। তবে শরীরে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে ট্যাটু করলে কম ব্যথা হয় । আবার এমন কিছু কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে ট্যাটু করতে গেলেই মারাত্মক ব্যথা হয় । তাই আপনি কতটা সহ্য করতে পারবেন এই বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার উপরে।

৩. যখন ট্যাটু করবেন তার আগের ২৪ ঘন্টা পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান এবং জল জাতীয় খাবার খান। কারণ ট্যাটু করার সময় শরীরে যাতে জলের অভাব কোনভাবেই না হয় এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

৪. ট্যাটু করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে স্নান সেরে নেবেন। কারণ শরীরের যেই অঙ্গেই ট্যাটু করুন না কেন সেখানে জল লাগানো হয় না প্রথম কয়েকদিন।

৫. ট্যাটু করার পর ওই জায়গায় যেহেতু জল বা লোশন টাইপের কিছুই ব্যবহার করা যায় না তাই ওয়্যাক্সিং কিংবা সেভিং করতে হলে আগে করে নেওয়াই ভালো । খেয়াল রাখবেন যেখানে ট্যাটু করেছেন সেই জায়গায় কোনভাবেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন না। কারণ ময়েশ্চারাইজারের মধ্যে অল্প হলেও রাসায়নিক পদার্থ থাকে । যা ট্যাটুর রঙের সঙ্গে মিশে ত্বকে ক্ষতি করতে পারে।

এছাড়াও যেখান থেকে ট্যাটু করাবেন অর্থাৎ ট্যাটু আর্টিস্টদের কাছ থেকে সমস্ত বিষয়ে আগেই ভালোভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। ট্যাটু করার আগে এবং ট্যাটু করার পরে আপনি কী কী করতে পারবেন আর কী কী করতে পারবেন না এই বিষয়টি অত্যন্ত ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতে পারবেন ট্যাটু আর্টিস্ট। অনেক সময় এই ট্যাটু করানোর কারণে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। সেগুলি এড়িয়ে চলার জন্যই সতর্ক থাকা খুব প্রয়োজন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version