।। প্রথম কলকাতা ।।
H3N2 Virus: করোনার মতোই এবার রূপ বেদলে ফেলছে এইচ৩এন২(H3N2) ভাইরাস। যদি এখনই সাবধান না হন তাহলে কিন্তু বিপদ অপেক্ষা করতে পারে। যদিও এই ভাইরাস(Virus) নিয়ে একেবারেই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এর আগেও এই ভাইরাস ছিল, তবে করোনার(Corona) পর চেনা ভাইরাসগুলি যেন ধরা দিচ্ছে অচেনা রূপে। উপসর্গগুলি হয়ে উঠছে প্রবল। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের জেরে হরিয়ানা এবং কর্নাটকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, যা ভারতে প্রথম। শুধু এইচ৩এন২ নয়, এর পাশাপাশি এই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জার(Influenza) নানান সাবটাইপ। সম্প্রতি ৮২ বছরের যে ব্যক্তি এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গিয়েছেন, জানা যায় তার শরীরে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো নানান উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বর, গলা ব্যাথা, কাশির মতো উপসর্গে ভুগছিলেন। গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি ভর্তি হয়েছিলেন হাসান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সাইন্সে। অবশেষে সেই শেষ রক্ষা হয়নি।
যদি দেখেন প্রচন্ড কাশি হচ্ছে অথচ কোন ওষুধে কাজ দিচ্ছে না তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে একটানা কাশি এইচ৩এন২ ভাইরাসের অন্যতম একটি লক্ষণ। এই ভাইরাসের সর্বপ্রথম খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল ২০১১ সালে। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে এর উপসর্গের বেশ মিল রয়েছে। এই ভাইরাস প্রায় দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। সমস্যার বিষয় হল, বিশেষজ্ঞরা লক্ষ্য করেছেন এইচ৩এন২ ভাইরাস নিজের প্রকৃতি বদলে ফেলে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। যার কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে, হয়ত হাসপাতালে ভর্তি প্রয়োজনীয়তা আরো বাড়বে। এই ভাইরাসে ফলে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি।
মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই এইচ৩এন২ তার রূপ বদলে দিনের পর দিন ঘাতক হয়ে উঠছে। ধীরে ধীরে ফুসফুসে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি দেখা দিচ্ছে শারীরিক নানান সমস্যা। ভাইরাসের এই অপ্রত্যাশিত ভাবে বদল ভালো চোখে দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। এই সময় করোনার মতোই সাবধানতা মেনে চলা উচিত। বাইরে বেরোলে অবশ্যই মাস্ক পরুন। এটিও কিন্তু হাঁচি-কাশির মাধ্যমে একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। বাইরে থেকে আসলে পোশাক পরিবর্তন করে তবেই ঘরে প্রবেশ করুন। বিশেষ করে যদি বাড়িতে শিশু থাকে তাহলে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন। বড়দের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাসের সঙ্গে পেরে উঠেলেও শিশু কিংবা বয়স্করা এই ভাইরাসে কাবু হয়ে পড়তে পারে। অপরদিকে একইভাবে দাপট চালিয়ে যাচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস।
এইচ৩এন২ ভাইরাসকে বলা হচ্ছে হংকং ফ্লু। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান এই পরিস্থিতির উপর কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। নজরদারি চালানো হচ্ছে ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সর্ভিল্যান্স প্রোগ্রাম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। গতকাল পর্যন্ত দেশে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৯০ জন। এই ভাইরাসে সংক্রমিত হলে ঠিক কোন কোন উপসর্গ দেখা যায় একটু জেনে নিন।
•কাশি
•জ্বর
•গলা ব্যথা
•হাঁচি
•নাক দিয়ে জল পড়া
•পেশি এবং শরীরে ব্যথা
•ক্লান্তি ভাব
•কিছু ক্ষেত্রে ডায়রিয়া
• বমি বমি ভাব
•গলা ফোলা
•শ্বাসকষ্ট
•বুকে অস্বস্তি ভাব প্রভৃতি