G-20 Summit Delhi: জি টোয়েন্টিতে অতিথিরা খাবেন সোনার থালায়, জল থাকবে রুপোর পাত্রে! খরচ কত হল?

।। প্রথম কলকাতা ।।

G-20 Summit Delhi: জি টোয়েন্টি সন্মেলনে অতিথিরা খাবেন সোনার থালায়। জল থাকবে রুপোর পাত্রে। ঘুমাবেন রাজকীয় হোটেলে। আলোকিত করবে রঙিন ফোয়ারা। ঘুরে বেড়াবেন বুলেট প্রুফ গাড়িতে। গোটা বিশ্ব দিল্লিকে দেখছে হাঁ হয়ে। কত খরচ হয়েছে জানেন? সম্মেলনের আগের দিনই আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে। গেস্টের জন্য কোন কোন বিশেষ আয়োজন রয়েছে? শুনতে ইচ্ছা হচ্ছে নিশ্চয়ই, শুনুন তবে।

এই সম্মেলনে আগত অতিথিরা যে অসামান্য আতিথেয়তা পেতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। জি টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবে ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এছাড়াও রয়েছে আরো নয়টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। তার মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া থেকে একমাত্র আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ। অতীতের আপ্যায়নে থাকবে না বিন্দুমাত্র ত্রুটি। রাজকীয়ভাবে সাজানো হবে খাবার টেবিল। ভারত মন্ডপ সহ গোটা প্রগতি ময়দানকে মুড়ে ফেলা হয়েছে ঝলমলে রঙিন আলোয়। সেখানেই স্বাগত জানানো হবে রাষ্ট্র নেতাদের। খাবার পরিবেশন করা হবে সোনা রুপোর পাত্রে। দেখুন তো এই দৃশ্য কি আগে কখনো দেখেছেন? মনে হচ্ছে, যেন আলাদিনের প্রদীপের আশ্চর্যের কামাল। কিংবা হঠাৎ করে কেউ ছুঁয়ে দিয়েছে পরশপাথর। পাত্রের গায়ে রয়েছে অসাধারণ মোটিফ। আইরিস জয়পুর কারুকার্য। প্রত্যেকটা কারুকার্য বলছে ভারতীয় সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের কথা। শুধু থালা বাটি নয়, পানীয়র পাত্র গুলোতে রুপোর উপর সোনার প্লেট বসানো। চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতো। টেবিল সাজানো মূর্তি থেকে শুরু করে জলের পাত্র, খাবার রাখার পাত্র গুলো পর্যন্ত রুপোর। রাজকীয় সমাবেশ বলে কথা। বিদেশি অতিথিরা যখন হোটেলে থাকবেন তখন গ্র্যান্ড ডিনার এবং লঞ্চের জন্য এগুলো ব্যবহার করা হবে। এই সুন্দর সুন্দর কারুকার্য করা পাত্র গুলো কারা বানালেন? ঠিক কত ঘন্টা সময় লেগেছ? জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের জন্য প্রায় ১৫ হাজার পাত্র তৈরি করেছেন ২০০ জন কারিগর। সময় লেগেছে প্রায় ৫০ হাজার ঘন্টা। প্রত্যেকটার গায়ে রয়েছে জয়পুর, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কারিগরদের অসাধারণ হাতের ছোঁয়া।

অতিথিদের যাদের বিন্দুমাত্র অসুবিধা না হয়, তাই গোটা দিল্লির মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তায়। ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজকীয় হোটেলের। অথিতিদের থাকার জন্য প্রায় ২১টি হোটেলে বুক করা হয়েছে ৩৫০০টা রুম। সেই তালিকায় রয়েছে আইটিসি মৌর্য শেরাটন, তাজ প্যালেস, ক্লারিজেস হোটেল, শাংগ্রি লা ইরোস, ইম্পেরিয়াল হোটেলে, ওবেরয় হোটেল, জে ডব্লিউ ম্যারিয়ট, হায়াত রিজেন্সি প্রভৃতি। হোটেলের সামনে সাজানো থাকবে প্রায় তিনশোটা বুলেট প্রুফ গাড়ি।

এতকিছুতে খরচ কত পড়ল? ভারত মণ্ডপ নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা। ১২৩ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত কমপ্লেক্সটি দেশের বৃহত্তম সভা, সম্মেলন এবং প্রদর্শন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। যেখানে অ্যাম্ফিথিয়েটার সহ রয়েছে বহু অত্যাধুনিক সুবিধা। একসঙ্গে বসতে পারবেন প্রায় সাত হাজার জন, যা অস্ট্রেলিয়ার সিডনি অপেরা হাউসের চেয়েও বেশি। শোনা যাচ্ছে, এই সম্মেলনের জন্য শুধুমাত্র দিল্লিকে সাজাতে ব্যয় হয়েছে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version