Late Night Dinner Side Effects: রাত করে খাবার খাচ্ছেন, শরীরে বাসা বাঁধছে এক গুচ্ছ রোগ! ডিনারের সঠিক সময় কোনটা?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Late Night Dinner Side Effects: কাজের প্রচুর চাপ। ব্যস্ততার মাঝে খাওয়ার সময়ের কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। কখনো অনেক রাতে খাচ্ছেন, কখনো বা না খেয়েই শুয়ে পড়ছেন। আপনি যদি এমনটা প্রায় করে থাকেন, সাবধান। ঘড়ি ধরে খাবার না খেলে খুব মুশকিল। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা বেরিয়ে যাবে ওষুধের পিছনে। শরীরে একসাথে বাধা বাসা বাঁধবে এক গুচ্ছ রোগ। কি কি ক্ষতি হবে জানেন? শুনলে এই ভুল আর কক্ষনো করবেন না। রাতের খাবার খাওয়ার সঠিক সময় কখন? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

সারাদিন কাজ তো করতেই হবে। কাজের এনার্জি মিলবে খাবার থেকে। ব্রেকফাস্ট লাঞ্চ ডিনার সবকিছুর নির্দিষ্ট একটা সময় রয়েছে। খাবার খেতে হবে ঘড়ি ধরে। অভ্যাস না থাকলে প্রথমটা একটু অসুবিধার , কিন্তু এখনই অভ্যাস করে ফেলুন। খেয়ে সোজা বিছানায় নয়। খাবার পর একটু হলেও আপনাকে সময় নষ্ট করতে হবে। কারণ এই অভ্যাসে নানান রোগ চলে আসতে পারে। খাওয়া আর ঘুমের মধ্যে ফারাক থাকা খুব দরকার। বিভিন্ন সংবামাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের দাবি অনুযায়ী, খাবার খেয়েই ঘুমাতে গেলে বিপাক ক্ষমতা কমতে থাকে। হজমের সমস্যা দেখা দেয়। পেটে ব্যথা হয়। পাশাপাশি অস্বস্তি, অম্বলসহ নানান সমস্যা তো রয়েইছে। এমনটা রোজ করলে ওজন বাড়বে। হার্টের সমস্যা দেখা দেবে। ডায়াবেটিসের প্রবণতা বাড়বে। রাতে খেতে হবে এক্কেবারে হালকা খাবার। জাঙ্ক ফুট কক্ষনো নয়। রাতে চিপস, বার্গার, পাস্তা, রেট মিট, পিৎজা জাতীয় খাবার খাবেন না। এমন খাবার খেতে হবে যাতে নুন আর চিনি কম থাকে।
মাঝরাতে হালকা কিছু খাওয়ার অভ্যাস থাকলে বদলে ফেলুন।

মোটামুটি সূর্যাস্তের পর ভারি খাবার না খাওয়াই উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাত আটটার আগে ডিনার করে নেওয়াই ভালো। তবে খুব যদি অসুবিধা থাকে তাহলে রাত ন’টা পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু খাবার খাওয়া আর ঘুমের মধ্যে আপনাকে অন্তত দু’ঘণ্টা বিরতি রাখতে হবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অনেক রাতের ডিনার করলে রক্তচাপের উপর বড় প্রভাব পড়ে। যারা প্রতিদিন রাতে দেরিতে খাবার খান তাদের ননডিপার হাইপারটেশনের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আসলে আপনি কি খাচ্ছেন শুধু তার উপর নয়, শরীরের ভালো মন্দ নির্ভর করে আপনি কখন খাচ্ছেন। যদি রাত ৮ টায় নিয়ম করে খেয়ে নেন দেখবেন, শরীর ক্যালরি খরচ করার অনেক বেশি সময় পাবে। হজম ভালো হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যারা ইতিমধ্যেই থাইরয়েড, ডায়াবেটিস, হৃদরোগে ভুগছেন তাদের সময় মেপে খাওয়া উচিত। তাই সাবধানে থাকুন, সুস্থ থাকুন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version