।। প্রথম কলকাতা ।।
রুই পোস্ত বা সর্ষে ইলিশ! কিংবা যদি মেনুতে থাকে কাতলা মাছের কালিয়া বা ভেটকি মাছের পাতুরি! তাহলে খাওয়াটা একেবারেই জমে যাবে, তাই না? অনেকে কাজের চাপে দিনে যা হোক খেয়ে জমিয়ে মাছ ভাত খান রাতে। কিন্তু রাতে মাছ খাওয়াটার সিদ্ধান্তটা সঠিক তো! কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা? মাছে-ভাতে বাঙালি৷ মাছ ছাড়া বাঙালির খাওয়া অসম্পূর্ণ। কিন্তু দুপুরে মাছ ভাতে খাওয়া জমলেও, রাতে মাছ না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বড় মাছ আর মাংস প্রোটিনে ভরপুর থাকায় তা হজম হতে বেশ সময় লাগে৷ তার ফলেই যত জটিলতা।আসুন জেনে নিই রাতে কেন মাছ খেতে বারণ করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
আসলে মাছ হাই-প্রোটিনযুক্ত খাবার। তাই হজম হতে সময় লাগে৷ বিশেষ করে যদি সেটা বড় মাছ হয়ে থাকে। তার ওপর মাছ মশলা ছাড়া রান্না করাই যায় না। মশলা বলতে থাকে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, টমেটো। রাতে এর কোনও উপকরণই হজম হতে চায় না। এছাড়াও মাছের মধ্যে থাকা তেলও হজম হতে বেশ খানিকক্ষণ সময় লাগে৷ যে কারণে মাছ খেলে অনেকবার ঢেকুর ওঠে, অস্বস্তি হয়৷ কিছুতেই হজম হতে চায় না। আর হজম না হলে যে শরীরকে বেশ বেগ পেতে হয় একথা কে না জানে! তাই রাতে মাছ খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা।
দুপুরে আবার মাছ-ভাত খুব ভালো হজম হয়। কারণ হজম হওয়ার জন্য অনেকটা সময় পাওয়া যায়। তাই আর কোনও শারীরিক কষ্ট হয় না৷ সব সময়ই চেষ্টা করুন কম তেল মশলা দিয়ে মাছ রান্না করতে। মাছ রান্নায় মশলা কমিয়ে টক দই ব্যবহার করতে পারেন। অনেকে মাছ না ভেজে সরাসরি মশলায় ফেলে সিদ্ধ করে খান। মাছের এই রেসিপি বিশেষ উপকারী। তাতে শরীরে অতিরিক্ত তেল যাওয়ার প্রবণতা কমে।
রাতে চেষ্টা করুন মাছ-মাংস বাদ দিয়ে একেবারে নিরামিষ খাবার খেতে৷ অনুষ্ঠানে খেতে হলে খান অল্প পরিমানে। বাড়িতে রাতে মাছ খেতে হলে চারা পোনা খান। পাকা মাছ রাতের মেনুতে না রাখাই ভালো। অনেকে এখন দিনে আমিষ ও রাতে নিরামিষ খাবার খান। এমনকী অনেকে দুধ, পনিরও রাতের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ রাখেন৷ সমীক্ষা বলছে,নিরামিষাশীদের গড় আয়ু মাংসাশীদের থেকে দশ বছর বেশি। তবে বাঙালি সর্বভুক। বাঙালির যাবতীয় অসুস্থতা তাদের খাদ্যাভ্যাস ঘিরেই। তাই রাতে চিংড়ি, মাটন থেকে লোলুপ দৃষ্টি সরান। ভালো থাকুন দীর্ঘদিন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম