।। প্রথম কলকাতা ।।
Diabetes and Rice: ডায়াবেটিস মানেই খাবারে নানান বিধিনিষেধ। রসগোল্লা সন্দেশ ভুলে যান। খাওয়া নিষেধ আঙুর, আম, কাঁঠালও। আলু কুমড়ো বিট গাজর সবেতেই নিষেধাজ্ঞা। তবে মন ভালো করা খবরও রয়েছে। ডায়াবেটিসে আপনি ভাত খেতেই পারেন। তাতে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় নেই। তার জন্য মানতে হবে একটা নিয়ম। কিভাবে ভাত খেলে নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকবে ডায়াবেটিস? বাঙালির ভাত ছাড়া চলে না। অথচ ডায়াবেটিসের কারণে অনেককেই ভাত ছাড়া দিন কাটাতে হয়। কেউ কেউ সপ্তাহে একদিন একবেলা ভাত খান ডাক্তারের পরামর্শে। তার বদলে শশা, শাক সবজি খেয়ে পেট ভরাতে হয় তাদের। ভাত না খেতে পেয়ে হা হুতাশ করার দিন বোধহয় এবার শেষ।
নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়াবেটিসে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, তাজা ভাত খাওয়ার পরিবর্তে ডায়াবেটিস রোগীরা যদি ঠাণ্ডা ভাত খান, তাহলে তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়৷ পোজনা ইউনিভার্সিটি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের পোলিশ গবেষকদের একটি দল টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস সহ ৩২ জন রোগীর ওপর গবেষণা করেছেন। গবেষণা চলাকালীন, রোগীদের দুটি ভিন্ন ধরণের খাবার দেওয়া হয়েছিল৷ খাবারের আগে গবেষকরা এই সব রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা দেখে নেন। এক দল রোগীকে রান্নার পরই সাদা ভাত দেওয়া হয়। অন্য দলকে দেওয়া হয় ২৪ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখার পর গরম করে দেওয়া ভাত।তাতে দেখা গেছে,যে রোগীরা ঠান্ডা ভাত খেয়েছিলেন তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল ছিল। অথচ যাদের সদ্য প্রস্তুত ভাত খাওয়ানো হয়েছিল তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে দেখা গিয়েছিল। অথচ ২৪ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখা ভাত খাওয়া রোগীদের সুগারের মাত্রা খুব ধীরে বাড়তে দেখা গিয়েছে। গবেষণা শেষে জানা গেছে,খাবারে ভাতের মতো ঠাণ্ডা কার্বোহাইড্রেট যুক্ত করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়৷ গবেষকরা দেখেছেন, সদ্য তৈরি ভাতের তুলনায় ঠাণ্ডা ভাতে প্রতিরোধী স্টার্চ পাওয়া যায়৷ প্রতিরোধী স্টার্চ হজম হতে অনেক সময় নেয়। যার ফলে ফাইবারের মতো প্রতিরোধী স্টার্চ রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে৷
২০১৫ সালে এই বিষয়ে আরেকটি গবেষণা করা হয়েছিল। এই গবেষণায় এমন ব্যক্তিদের নিয়ে করা হয়েছিল যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল না। এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ঠাণ্ডা ভাত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে পারে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠান্ডা ভাত খাওয়া শুধু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যই উপকারী নয়, এর আরও অনেক ভালো গুন রয়েছে। ঠান্ডা ভাত দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। কম শক্তির হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তাই আপনি যদি ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে থাকেন এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তবে প্রতিরোধী স্টার্চ আপনার জন্য খুব উপকারী হতে পারে৷ সেজন্য ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা ভাত গরম করে খেতেই পারেন। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে রোগীর ডায়াবেটিস কোন পর্যায়ে রয়েছে তার ওপর। উন্নতমানের গবেষনার কথা তো আমরা জেনেই গেলাম। এরপর উচিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা ডায়াটেসিয়ানের সঙ্গে এ ব্যাপারে পরামর্শ করে নেওয়া।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম