El Nino: জুলাইয়ে খরা? বর্ষাকে গিলে খাবে “এল নিনো”! বড় রিস্কে ভারত

।। প্রথম কলকাতা ।।

El Nino: “এল নিনো”র এফেক্টে কি শুরুতেই শেষ বর্ষা? সাবধান, খরা পরিস্থিতি ফিরছে। আপনি যা আশা করছেন তার থেকেও মারাত্মক হতে পারে “এল নিনো”। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা সচেতন করেছিলেন অনেক আগেই। এল নিনো কী? ঠিক কি এফেক্ট পড়তে পারে? কতদিন অবধি থাকবে এল নিনো? বর্ষাতেই কী তীব্র হবে গরম? এল নিনোর এফেক্ট থেকে কি বাঁচতে পারবে ভারত? ভারতে বর্ষার চাষাবাদে কতটা এফেক্ট পড়তে পারে? কী বলছে আইএমডি? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

জাঁকিয়ে বসছে ভয়, শক্তিশালী এল নিনো নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, চলতি বছর বর্ষার উপর বড় এফেক্ট ফেলতে পারে এল নিনো। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এল নিনোর প্রভাব লক্ষ্য করা যাবে। পূর্ব ও উত্তর পশ্চিম ভারতে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টি হবে। চলতি বর্ষাকালের শেষ অবধি এল নিনোর এফেক্ট পড়ার চান্স থাকছে। কিন্তু এই এল নিনো আসলে কী? এর প্রভাব কতটা মারাত্মক হতে পারে?

জেনে রাখুন, অলরেডি মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তাপমাত্রার একটা সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। দীর্ঘকালীন গড় তাপমাত্রা ওই সীমার ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওপরে গেলেই সেটা এল নিনো। ২০২৩ সালে এই এল নিনোরই প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে বলে দাবি গবেষকদের একাংশের। ইউএস ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তরফে বলা হচ্ছে, বছরের শেষভাগ অর্থাৎ শীতের দিকেও এল নিনো দাপট দেখাতে পারে। প্রশান্ত মহাসাগরের উপরিতলের তাপমাত্রাকে বাড়িয়ে দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চরমভবাপন্ন আবহাওয়া তৈরি করতে পারে। যার ফলে ভারতে দুর্বল বর্ষা দেখা দিতে পারে। এল নিনোর ফলে বিশ্বের কোথাও চরম গরম আবার কোথাও খুব বর্ষণ দেখা দিতে পারে, বলছেন বিজ্ঞানীরা।

এদিকে, ভারতে জুন থেকে সেপ্টেম্বর বর্ষা। এই সময় মূলত ফসল উৎপাদন হয়। যার ওপর নির্ভর করে দেশের বড় অংশের অর্থনীতি। এই ৪ মাসের বৃষ্টি দেশের জলাধার, ভূগর্ভস্থ জলস্তর, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা, সামগ্রিক অর্থনীতি ও জীবনযাপন পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি ভারতের বর্ষায় এল নিনো প্রভাব ফেলে, তাহলে কৃষি সমেত বহু সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হবে। না হাতে আর বেশি সময় নেই, এবার ভুগতে হবে। মনে করতে পারছেন কবে শেষ এই পরিস্থিতি দেখেছেন? শেষবার এল নিনোর প্রভাব দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালে। সেইবার প্রচণ্ড গরমের মুখে পড়তে হয়েছিল। ৭ বছর পর এল নিনোর কামব্যাকে তাপমাত্রা ফের রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। তবে, বৃষ্টি কম হলেও খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে না। চলতি বছর বর্ষা স্বাভাবিক হতে চলেছে বলে অলরেডি জানিয়েছে আইএমডি। যদিও বিজ্ঞানীরা কিন্তু বারবার সতর্ক করছেন, বলছেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় যে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে তা মোটেই যথেষ্ট নয়। বিপর্যয়কর উষ্ণায়ন এড়াতে আরও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে হবে। নাহলে? পস্তাতে হবে। সবুজায়ন নষ্ট করার ফল ভুগতে হবে। পৃথিবীকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version