।। প্রথম কলকাতা ।।
Weight Loss: খালি পেটে লেবুর জল পান করলে কি সত্যি ওজন কমে? সকাল হলেই খালি পেটে দেদার খাচ্ছেন লেবু জল? ভাবছেন এতেই বুঝি সমস্ত মেদ ঝরে ফিগার হবে আলিয়া দীপিকাদের মত! তবে উল্টো সমস্যা ডেকে আনছেন না তো? লেবু জল নিয়ে পুষ্টিবিদরা যা বলছেন তা শুনলে কিন্তু চমকে উঠবেন। পেটে গিয়ে কোন কাজটা করে লেবুর রস? এতে আদৌ কি কোনও লাভ হয়? জানুন আসল সত্যটা কী
ওজন কমাতে লেবুর রস নাকি দারুণ উপকারী। অনেকেই তো এটাকে আবার ওজন কমানোর মহৌষধ বলেও দাগিয়ে দেন। কিন্তু সত্যিই কি তাই? লেবুর রসে আদৌ ওজন কমে তো? উহঃ, জানেন তো এটা কিন্তু পুরোটাও সত্যি নয়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, লেবুর জল চাইলে আপনি খেতেই পারেন। তবে তাতে মেদ গলে যাবে এই আশা করে থাকলে কিন্তু হাতে হ্যারিকেন অবস্থা হবে। তাহলে কি এতদিন যা যা শুনে এসেছেন সেই সবটাই ভুল?
তাহলে বলি, সবটা ভুল না হলেও কিছুটা ভুল তো বটেই। কারণ পুষ্টিবিদরা বলছেন, লেবুজল কেন, কোনও ঘরোয়া পানীয়ই নাকি ফ্যাট ঝরাতে পারেনা। এককথায় বলতে পারেন, এটা একটা মিথ। তাই শরীর চর্চা না করে ঈষদুষ্ণ জলে লেবু, মধু মিশিয়ে খেলেই যে সম্পূর্ণ মেদ গলবে এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। এমনকি উল্টে এতে অ্যাসিডিটির সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।
তবে উপকার যে নেই তা কিন্তু নয়। ভাতের পাতে লেবু থাকাটাও অত্যন্ত জরুরি। কারণ লেবুতে থাকে ভিটামিন সি। আর ভিটামিন সি যে শরীরের জন্য কতটা প্রয়োজনীয় তা তো আপনিও জানেন। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এটির জুড়ি মেলা ভার। শরীর তো চাঙ্গা থাকেই সাথে ত্বক ও চুলের জেল্লা বাড়ে। লেবু শরীরের মেটাবোলিজম পাওয়ার বাড়ায়। এবং শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। তবে সেটা খাওয়ারও কিন্তু নিয়ম রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লেবু নাকি গরম জলে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। ওতে উপকার কী হবে, উল্টে ভিটামিন সি ই নাকি নষ্ট হয়ে যায়। তাই গরম জলে চিপে খাওয়ার অভ্যাসটা বরং বাদই দিন।
লেবু জল খেতে হলে সাধারণ জলের সাথে খান। সাবধান হন মধুর ক্ষেত্রেও। জল অতিরিক্ত গরম হলে মধুর গুণাবলীও নষ্ট হয়ে যায়। তাই লেবু হোক কী মধু, জলের উষ্ণতার দিকে কিন্তু আপনাকে বিশেষ নজর দিতে হবে। তবে সেটা ফ্যাট গলানোর আশায় না খাওয়াই ভাল। শরীর, ত্বক, চুল ঠিক রাখতে লেবু-মধু জল আপনি খেতেই পারেন।
তবে যদি আপনার লক্ষ্য মেদ ঝরানো হয়, তাহলে আপনাকে নজর দিতে হবে শরীরচর্চা এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে। রোজ জিমে যাওয়ার দরকার নেই। বাড়িতেই অল্পস্বল্প ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ আর রোজ খানিকক্ষণ হাঁটা। এতেই কিন্তু অনেকটা উপকার মেলে। রোজ সকালে হাঁটতে যাওয়ার অভ্যাসটা করে ফেলুন। দেখবেন কোনও ঝক্কি ছাড়াই একদম ঝকঝকে তরতাজা আছেন আপনি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম