Asthma in Summer: গরমেও কেন হাঁপানির সমস্যা বাড়ে তা জানেন কি? সুস্হ থাকতে মেনে চলুন এই টিপস

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Asthma in Summer: শুধু শীতকালেই নয়, গরমেও বাড়ে হাঁপানির সমস্যা। এই সময় সেই সমস্যা বড় কষ্টের হয়ে ওঠে। কেন এই সময় হাঁপানির সমস্যা বাড়ে তা জানেন কী?সুস্হ থাকতে কী কী করবেন? চলুন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কী পরামর্শ দিচ্ছেন তা দেখে নেওয়া যাক।

 

গরমে যে সব অসুখের ঝুঁকি বাড়ে, হাঁপানি তার মধ্যে অন্যতম। অনেকেরই এই সময় শ্বাসনালির প্রদাহ এব‌ং সংক্রমণজনিত সমস্যার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। পাশাপাশি, শ্বাসনালিতে জমতে থাকে মিউকাস। চিকিৎসকদের মতে, বছরের যে কোনও সময়ে বাড়তে পারে হাঁপানির সমস্যা। গরমে কী কী কারণে এই সমস্যা বাড়তে পারে?

 

রমকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এজন্য বাতাস তুলনায় ভারী হয়। ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। তাই যাঁদের হাঁপানির সমস্যা আছে, তাঁদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত জায়গায় বেশি ক্ষণ থাকলেও সমস্যা হতে পারে। হাঁপানির রোগীদের খোলামেলা জায়গায় থাকা জরুরি। গ্রীষ্মে দূষণের পরিমাণ তুলনায় বেড়ে যায়। বাতাসে ধুলোকণা ভেসে বেড়ায়। শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া বেশ সমস্যাজনক। দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস। তাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়ে পারে। অ্যাজ়মা থাকলে মাস্ক পরেই বাইরে বেরোনো জরুরি।

 

হাঁপানির সমস্যার অন্যতম কারণ হতে পারে অ্যালার্জি। তাই দীর্ঘ দিন ধরে যাঁরা শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভুগছেন, এই মরসুমে সতর্ক থাকুন। অনেক সময় খাবার কিংবা বিভিন্ন ধরনের পোশাক থেকে অ্যালার্জি হতে পারে, সে ক্ষেত্রে বুঝে চলা জরুরি। প্রাণায়াম, ধ্যান, যোগাসন হাঁপানির রোগের অন্যতম ওষুধ। তাই সারা বছর নিয়মিত শরীরচর্চা করে যেতে হবে। জিম কিংবা ভারী কোনও শরীরচর্চা করলে কিন্তু আবার হাঁপানি বেড়ে যেতে পারে। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যায় শ্বাসকষ্টের সমস্যায় কী ধরনের ব্যায়াম করা শ্রেয়।

 

অ্যাজ়মার সমাধান ইনহেলার। তবে এই সমস্যাকে চাইলে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অ্যাজ়মা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে কয়েকটি সহজ উপায় মেনে চললেই হবে। বারবার বাইরে রোদে বেরোনো আর ঘরের মধ্যে ঢোকার ফলেই সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। এর থেকে অ্যাজ়মা হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ডিহাইড্রেশনের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। রোজ নির্দিষ্ট পরামাণ জল খাওয়া জরুরি। জল শরীরের তরলের ভারসাম্য ঠিক রাখে। এতে মাসল ক্র্যাম্প অর্থাৎ পেশি সংকোচনের সমস্যা এড়ানো যায়।

 

প্রতি বছরই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের টিকা বার করা হয়। এই ভাইরাসের টিকা নিয়মিত নেওয়া ভাল। বিশেষ করে বয়স্ক লোকেদের‌।  যারা অ্যাজ়মার সমস্যায় ভোগেন, তাদের নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে। গরমকাল বলে এটি ছাড়া থাকা যায় না। তাতে সমস্যা বাড়তে পারে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version