।। প্রথম কলকাতা ।।
Omicron Sub-variant BF.7: করোনার নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭(BF.7) প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে গোটা বিশ্ব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে বারংবার সতর্ক করা হচ্ছে। চীনকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন তাদের দেশের সংক্রমণের তথ্য যথাযথভাবে প্রকাশ করে। গত দু’বছর বিশ্ববাসী যেভাবে জীবন কাটিয়েছে, সবাইকে আবার সেই জীবনে ফিরে যেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, জীবন যাপনে অনিয়মের ক্ষেত্রে একটু রাশ টানতে হবে । আগের মতই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের বিশেষভাবে সতর্ক হওয়ার জরুরি। ২০১৯ সালের শীতকালে সর্ব প্রথম করোনা ভাইরাসের খবর শোনা গিয়েছিল। চীনের (China) উহান থেকে যার উৎপত্তি। সেই অজানা জ্বরে ধীরে ধীরে কাবু হতে থাকে গোটা বিশ্ব। বড় বড় শহরগুলিতে রাতারাতি লকডাউন হয়ে যায়। তারপর ক্রমশ স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা বিশ্ব। লকডাউনের সময় সেই হরর মুভির মতো দৃশ্য পুনরায় ফিরে আসুক তা কেউ চান না। গত কয়েক বছরেই করোনা গ্রাফ কখনো বা ঊর্ধ্বমুখী আবার কখন নিম্নমুখী। ২০২৩ টা ভালোয় ভালোয় শুরু হলেও চীনে এখন করোনার দাপটের লক্ষণ বলে দিচ্ছে এখন থেকেই সচেতনতার প্রয়োজন। দেশটিতে রীতিমত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ওমিক্রনের (Omicron)নয়া ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭(BF.7)। চীনে সোমবার শুধুমাত্র সংক্রমিত হয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। ভারতেও এই ভাইরাসে বেশ কয়েকজন সংক্রমিত হয়েছেন। বিএফ.৭ থেকে বাঁচতে আগে থাকতে নিন সতর্কতা। অবশ্যই এই বিশেষ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন।
- যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের যদি শরীরে কোন রকম উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে দ্রুত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। করোনার অন্যান্য সাব ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গের খুব একটা ফারাক নেই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বমি এবং ডায়রিয়ার মত উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে জ্বর, কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া, গায়ে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, শারীরিক ক্লান্তি, গলা ব্যথা প্রভৃতি উপসর্গ। এই উপসর্গগুলি দেখা দিলে বিষয়টি হালকা ছলে নেবেন না।
- আতঙ্কিত না হয়ে একটু সতর্ক হলেই করোনার এই নতুন রূপ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছাবে না। নিয়ম না মানলে আশঙ্কা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখনো পর্যন্ত ভারতে বিএফ.৭ এ সংক্রমিত হয়েছেন মোট চারজন। এর R ফ্যাক্টর প্রায় ১০ থেকে ১৮ অর্থাৎ সংক্রমিত একজন ব্যক্তি একত্রে ১০ থেকে ১৮ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। এর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অবশ্যই জিনোম সিকোইয়েন্সিং করতে হবে।
- করোনা রুখতে অবশ্যই টিকা নেওয়া দরকারি। যদিও ভারতবর্ষের অধিকাংশ মানুষের করোনার দুটি করে ডোজ নিয়েছেন। কিন্তু তা বলে বুস্টার ডোজকে অবহেলা করা যাবে না। যদি এখনো বুস্টার ডোজ না নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই নিয়ে নিন।
- কেন্দ্রীয় সরকার মাস্ক বিষয়ক একটি নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে। যেখানে প্রত্যেকের বাইরে গেলে মাস্ক পরা জরুরি। সংক্রমিত ব্যক্তির ড্রপলেট আটকাতে পারে মাস্ক।
- বিশেষ করে যাদের ব্লাড প্রেসার, হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিসের মত সমস্যা রয়েছে তাদের এই সময় একটু ভিড় এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
- এই সময় প্রতিদিনের খাবার তালিকায় একটু বিশেষ ভাবে নজর দিন। প্রতিদিন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল এবং শাক-সবজি খান। পাশাপাশি পরিমিত পরিমাণে খান প্রোটিন জাতীয় খাবার।
- বাড়ির বাইরে বেরোলেই শারীরিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখুন। বার বার হাত স্যানিটাইজ করুন। বাইরের খাবারকে একেবারেই না করে দিন। বাইরে থেকে কেনা জিনিস ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে তবেই ঘরের মধ্যে রাখুন। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ভয় মুক্ত থাকতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হলে চলবে না। সতর্কতা আর সাবধানতা সহজেই ভাইরাসকে রুখে দিতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম