Netaji: মৃত্যু নাকি অন্তর্ধান? নেতাজির বিমান দুর্ঘটনার পর কী হয়েছিল?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Netaji: মৃত্যু, অন্তর্ধান নাকি অন্য কিছু? নেতাজিকে (Netaji) নিয়ে রয়েছেন নানা রহস্য। ভারতের (India) এই বীর সন্তানকে কখনই ভুলবে না ভারতবাসী। তাঁকে গোটা ভারত শ্রদ্ধার সঙ্গে দেশনায়ক বলে। তিনি আজীবন ভারতবাসীর মনে অমর হয়ে থাকবেন। আজও নেতাজির মৃত্যু কিংবা অন্তর্ধান নিয়ে নানান বিতর্ক রয়েছে। বিমান দুর্ঘটনার ৫ দিন পর জাপানের (Japan) দোমেই নিউজ এজেন্সি থেকে যখন খবরটি প্রচারিত হতে থাকে তখন গোটা বিশ্ব রীতিমত চমকে গিয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (Second World War) পটভূমিকায় আজাদ হিন্দ ফৌজ (Azad Hind Fauj) যেভাবে শুরু করেছিল, শেষটা সেভাবে হয়নি। পার্বত্য অঞ্চলের বিষাক্ত পোকামাকড়, বৃষ্টি, জটিল রোগ, খাদ্যাভাব আর প্রবল শীত, সব কিছুর মিলেমিশে আজাদ হিন্দ ফৌজ পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু নেতাজি আত্মসমর্পণ করেননি।

শোনা যায় ১৬ই আগস্ট তিনি বিমানে করে সিঙ্গাপুর থেকে টোকিও যাত্রা করেন। আর ১৮ তারিখে তাইহোকুর বিমানে তিনি আরোহী ছিলেন। সেই বিমানটি নাকি দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়ে। মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা দেশ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের খবর প্রকাশিত হতে থাকে। কোথাও লেখা হয়, তিনি লুকিয়েছেন, কোথাও বলা হয় তিনি মারা গেছেন, আবার কোথাও লেখা হয় তিনি রাশিয়ায় চলে গিয়েছেন। সেই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন কর্নেল হাবিবুর রহমান। যার বক্তব্য নিয়ে আরো জলঘোলা হয়। আজও পর্যন্ত বহু মানুষ হাবিবুর রহমানের কথা মানতে পারেন না। বাঙালির কাছে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে, নেতাজি কি আদৌ বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন? নাকি পুরোটাই ছিল সাজানো একটা ঘটনা! বিমান দুর্ঘটনার পর যেসব তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে প্রচুর অসংলগ্নতা রয়েছে। বিমান দুর্ঘটনার সময়ের বর্ণনা আর আহতদের বর্ণনা, একজনের সঙ্গে আরেকজনের বয়ানে বিস্তর পার্থক্য।

কর্নেল হাবিবুর রহমান বলেছিলেন, বিমান দুর্ঘটনার পর নেতাজিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই নাকি রাত আটটা থেকে মাঝ রাতের মধ্যে কোন এক সময় তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু আজও সেই ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে বিতর্ক রয়ে গিয়েছে। সার্টিফিকেটে সুভাষচন্দ্র বসুর নাম ছিল না। তার পরিবর্তে এক জাপানি সৈনিকের নাম ছিল। মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা ছিল হার্ট ফেলিওর।

স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে ইতিহাসের পাতায় জড়িয়ে রয়েছে কর্নেল হাবিবুর রহমানের নাম। নেতাজির শেষ জীবনের তিনি সাক্ষী ছিলেন। বহু সংবাদপত্রে তার বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। নেতাজির মৃত্যুর কারণ বিশদে খুঁটিয়ে দেখতে ভারত সরকার শাহনওয়াজ কমিটি তৈরি করেছিল। সেখানে হাবিবুর জানিয়েছিলেন, কিভাবে নেতাজির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তার সেই বক্তব্য নিয়ে পরবর্তীকালে নানান বিতর্ক তৈরি হয়।

যদি নেতাজি অন্য কোথাও চলে যান তাহলে কোথায় চলে গেলেন? এ নিয়ে যত আলোচনা হবে, সেই আলোচনার কোন শেষ থাকবে না। আজও নেতাজির অন্তর্ধান কিংবা মৃত্যু নিয়ে রয়েছেন নানান রহস্য। তারপর নতুন করে শুরু হয় গুমনামী বাবার বিতর্ক। রহস্যের মোড়কে চাপা পড়তে থাকে আসল সত্য। একের পর এক কাল্পনিক কিংবা আনুমানিক কাহিনীর উপর তৈরি হয় নানান চলচ্চিত্র। লেখালেখি হয় বিভিন্ন বই। যা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সফল হয়েছে, কিন্তু বিভ্রান্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ। আজও নেতাজি রহস্যের আড়ালেই রয়ে গিয়েছেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version