Mango: টকটকে হলুদ আমে গলে গেলেই বিপদ! রঙেই আসল গন্ডগোল

।। প্রথম কলকাতা ।।

Mango: বাজার থেকে কিনছেন হলুদ রসালো আমৎআদর করে খাওয়াচ্ছেন বাচ্চাকে, নিজেও খাচ্ছেন বিষ নয় তো? বাজার ভর্তি রকমারি আম। কিন্তু এই পাকা আমেই ঘাপটি মেরে বসে আছে ক্যানসারের বীজ। দিনের পর দিন খেলে ভয়ঙ্কর রোগে পড়বেন। সাবধান হন এখনই হলুদ পাকা আম দেখে প্রেমে পড়ে যাবেন না। এই আমেই কোন বিপদ রয়েছে জানেন? পাকা আমে মেশানো থাকে মারাত্মক বিষ। আপনাকে বুঝে কিনতে হবে। তাই আম কেনার আগে একটু সাবধান। আম আপনার প্রিয় ফল? কিন্তু এই ফল খেলেই কোন মারাত্মক বিপদ হতে পারে জানেন?

পাকা আমে মিশছে হলুদ বিষ তাড়াতাড়ি আম পাকানোর জন্য কার্বাইড দেওয়া হয়। যা মানুষের দেহের জন্য বিপজ্জনক। কার্বাইডে পাকানো আম খেলে মাথা ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট দুর্বলতা, গা্যবমি ভাব, বুকে জ্বালাপোড়া ত্বকে ক্ষত সহ নানান ঝামেলা পোহাতে হবে। শুধু তাই নয়, আপনার পরিপাকতন্ত্রে গোলযোগও দেখা দিতে পারে। যদি প্রতিনিয়ত এইভাবে কার্বাইডে পাকানো আম খান তাহলে বারোটা বাজবে অন্ত্রের। লিভার ক্যানসারও হতে পারে। আসলে এই মৌসুমে আমের চাহিদা প্রচুর। তাই ব্যবসায়ীরা চাহিদা পূরণ করতে আম পাকাতে ব্যবহার করেন রাসায়নিক পদার্থ। এতক্ষণ শুনে ভাবছেন, তাহলে কি আম খাওয়া যাবে না? এমনটা নয় কেনই বা খাবেন না। তবে তার আগে বেশ কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখেত হবে।

বাঙালির প্রিয় ফল বলে কথা। আম কিনতে হবে দেখেশুনে। কীভাবে বুঝবেন কোন আম ভালো আর কোন আম বিষাক্ত ? সঠিক আম চেনার কয়েকটা মাপকাঠি রয়েছে। আম কেনার সময় সেগুলো অবশ্যই মাথায় রাখা দরকার। যতই দোকানদার আম মিষ্টি হবে বলুক না কেন ভুলেও সেই কথায় গলে যাবেন না নিজেই পরখ করে দেখে নিন ল্যাংড়া, হিমসাগর, আম্রপালি বিভিন্ন ধরনের আম রয়েছে জাত অনুযায়ী আমের আকার ভিন্ন ভিন্ন। কিন্তু রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আমের আকার একটু হলেও ছোট। যদি মনে হয় আমের জাত অনুযায়ী আকার ছোট লাগছেনা ওর তাহলে সেই আম নেওয়ার দরকার নেই। আমের উপর হালকা একটু চাপ দিয়ে দেখে নিন। যদি দেখেন নরম লাগছে তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু যদি না হয় তাহলে সাবধান। কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম কয়েকদিন কিনে বাড়িতে রাখলে দ্রুত কালো হয়ে যাবে। এমনকি অতিরিক্ত পরিমাণে কার্বাইড ব্যবহার করা হলে আম শক্ত হয়ে যায়।

চকচক করলেই যেমন সোনা হয় না। তেমনই ফ্রেশ টাটকা হলুদ পাকা আম যে ভালো হবে এমনটা নাও হতে পারে। এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের। তাই চকচকে হলুদ আমের দিকে ছুটে না গিয়ে একটু বুদ্ধি খাটান। সাধারণত গাছে যে ফল পাকবে তার গায়ের রং কখনোই গার হলুদ হবে না। কারণ গাছেই যদি আম পেকে হলুদ হয়ে যায় তাহলে পোকা লাগতে পারে। লসে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। তাই আম ভালোভাবে পাকার আগেই গাছ থেকে পেড়ে নেওয়া হয়। কার্বাইড দিয়ে আম পাকালে তা সম্পূর্ণ ফ্যাকাসে হলুদ রঙের হয়ে যায়। আর এতে সুবাস কম থাকে। আমের গায়ে থাকে সবুজ আভা। যদি হাতে নিয়ে দেখেন যে আমটা কিছুটা হলেও গরম তাহলে সেই আম নেওয়ার দরকার নেই। গাছ থেকে পাড়া পাকা আম কিন্তু এমন গরম হয় না। কার্বাইডে পাকানো আমের রস বেশি কিন্তু স্বাদ কম। আরো ভালো একটা পরীক্ষা আছে। প্রথমে এক বালতি জল নেবেন। তার মধ্যে আমগুলো ডুবিয়ে রাখুন। যদি দেখেন আম ভাসছে তাহলে কার্বাইড মেশানো থাকলেও থাকতে পারে। বাজারে এখন ঢেলে আম বিক্রি হচ্ছে। তবে কিনুন ভেবেচিন্তে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version