।। প্রথম কলকাতা ।।
Immunity: দু’বছর গোটা বিশ্বজুড়ে করোনা (Corona) অতিমারি দাপট চালালেও এখনো পর্যন্ত মুক্তি মেলেনি। চীনে (China) নতুন রূপে ধরা দিয়েছে করোনা। বেজিংয়ের (Beijing) অবস্থা ইতিমধ্যেই খুব খারাপ। সেখানে মর্গে মানুষের লাইন লেগে গিয়েছে শব দাহ করার জন্য। জিরো কোভিড নীতি প্রত্যাহারের পর থেকেই উত্তরোত্তর চীনের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। উপচে পড়ছে হাসপাতালের মর্গ। ভারতে ইতিমধ্যে হানা দিয়েছে ওমিক্রনের (Omicron) নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ৭ (BF.7)। ভারত সরকার সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে নানা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এত দিন ওমিক্রনের যতগুলি ভ্যারিয়েন্ট দেখা গিয়েছে সেগুলির সঙ্গে বর্তমানে বিএফ৭ (BF.7) সাব ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গের সঙ্গে খুব একটা পার্থক্য নেই। কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হল, করোনার এই নয়া রূপ বেশ মারাত্মক। এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত একজন ব্যক্তি একসঙ্গে ১০ থেকে ১৮ জন ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারে অর্থাৎ এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের সংক্রামক ক্ষমতা প্রচণ্ড বেশি। ভারতবাসী করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েছেন। অনেকে আছেন যারা এখনো পর্যন্তও বুস্টার ডোজ নেননি। গত দু’বছরে মানুষ বুঝেছে করোনাকে রুখতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কতটা জরুরি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কিংবা মৃত্যুর ঝুঁকি এড়ানো যায়। ওমিক্রনের এই নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট থেকে বাঁচতে ঠিক কি করবেন আর কি করবেন না একটু জেনে নিন।
•রোজ সকালে খান আমলকি
নিজে সুরক্ষার কথা নিজে ভাবুন। রোজ সকালে খালি পেটে একটি করে আমলকি খেতে পারেন। এই ফলটি আপনাকে সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি যোগাবে। যদি কাঁচা আমলকি গোটা খেতে না পারেন তাহলে আমলকির রস খেতে পারেন। কারণ আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা শরীরকে যে কোন রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে শক্তি যোগায় এবং ক্ষতিকারক ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়া থেকে দূরে রাখে। পাশাপাশি পেঁপে, গাজর, আপেল, লেবু, ব্রোকলি খেতে পারলে ভালো।
• প্লেটে রাখুন এক টুকরো মাশরুম
মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, মিনারেল এবং প্রোটিন। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও এটি শ্বেতরক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। জীবাণু কিংবা ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে খাবারের তালিকায় প্রতিদিন রাখুন মাশরুম।
• দুর্দান্ত কাজে আসবে আদা চা
প্রচুর পরিমাণে খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আদা শরীরে ভাইরাস জনিত রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে সাহায্য করবে। সকালটা শুরু করতে পারেন আদা চা দিয়ে কিংবা তরকারিতে আদা ব্যবহার করতে পারেন।
•এড়িয়ে চলুন অতিরিক্ত চিনি আর লবণ
অতিরিক্ত লবণ এবং চিনি মেশানো খাবার একটু এড়িয়ে চলুন। যে খাবার খাবেন তা যেন পুরোপুরি সিদ্ধ হয়। বাইরের খাবার একেবারে এড়িয়ে চললে খুব ভালো। খাবারের প্লেটে বেশি করে রাখুন গ্রিন ভেজিটেবিল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে দুগ্ধ জাতীয় খাবার সঠিক মাত্রায় খান।
• তুলসী পাতা
রোগ জীবাণু থেকে নিজের শরীরকে রক্ষা করতে প্রতিদিন সকালে এক থেকে দুটি তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন।
• রান্নাঘরেই রয়েছে ম্যাজিক
খাবারের স্বাদ বাড়াতে লবঙ্গ ব্যবহার করলেও, এটি দ্রুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। লবঙ্গের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জিরে গুঁড়োর সঙ্গে কয়েকটি পুদিনার সবুজ পাতা সিদ্ধ করে সেই গরম জলে ভেপার নিন। এটির ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। নিজে রান্না ঘরকেই বানান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার আঁতুর ঘর। বিভিন্ন মশলা যেমন ধনে,হলুদ, রসুন, জিরে প্রভৃতির পরিমাণ রান্নায় একটু বাড়িয়ে দিন।
করোনার নতুন রূপ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শুধুমাত্র সাবধানে থাকতে হবে। জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া, মাথাব্যথা, সারা শরীরে যন্ত্রণার মত উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। গত দু’বছর যে ছন্দে কাটিয়েছেন সেই ছন্দে আবার ফিরে যান। বাইরে বেরোলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। ঘন ঘন হাত স্যানিটাইজ করতে ভুলবেন না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম