Avoid Constant Hiccups : ক্রমাগত হেঁচকি অস্বস্তি বাড়াচ্ছে? সমস্যা সমাধানে মেনে চলুন এই নিয়ম

।। প্রথম কলকাতা ।।

Avoid Constant Hiccups : হেঁচকি ওঠা বিষয়টা সকলেই কম বেশি অনুভব করে থাকবেন। কারণ এই সমস্যা অত্যন্ত স্বাভাবিক। একবার হেঁচকি ওঠা শুরু হলে সেটা বন্ধ করতে খানিকটা বেগ পেতে হয়। কারণ নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর হেচঁকি উঠতে থাকে। হেঁচকি থামানোর জন্য আমরা অনেক সময় বেশি পরিমাণে জল খেতে শুরু করি। কিন্তু শেষে তাতেও বিশেষ কোনো লাভ হয় না। যার কারণে স্বাভাবিকভাবে অস্বস্তিতে পড়তে হয় মানুষকে। কথা বলতে গেলেও এই হেঁচকির জন্য কথা বলা যায় না।

তবে আপনি জানেন কি হেঁচকি কেন ওঠে ? আর ক্রমাগত হেঁচকি উঠতে শুরু করলে আপনার করণীয় কী ? এই প্রতিবেদনে হেঁচকির সমস্যার সমাধান নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কিছু নিয়ম রয়েছে যা মেনে চললে হেঁচকি ওঠা বন্ধ হবে আপনার।

* হেঁচকি কেন ওঠে ?

কোন সমস্যার সমাধান করতে গেলে সর্বপ্রথম জানা প্রয়োজন কেন সেই সমস্যাটি তৈরি হয়েছে। তাই আমাদেরও সমাধানের আগে কারণ খুঁজে বার করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, আমাদের ফুসফুসের নিজের ডায়াফ্রাম বা মধ্যচ্ছদা নামক পাতলা মাংসপেশির স্তর রয়েছে যা অনেক সময় অনৈতিক সংকোচনের ফলে সৃষ্ট ঝাঁকুনি থেকে হেঁচকি তৈরি করে এই সময় শ্বাসনালীতে সামান্য খিঁচুনি অনুভব হয়। এছাড়াও শ্বাসতন্ত্রে দ্রুত বাতাস প্রবেশ করে। আর তখনই আমাদের ভোকাল কর্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে হিঁক জাতীয় একটি শব্দ উৎপন্ন হয়। অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে কোন খাবার খাওয়ার জন্য হেঁচকি সৃষ্টি হয়, এছাড়াও অট্টহাসি, আবেগ, হঠাৎ করে ভয় পাওয়া, উত্তেজনা এই কারণেও হেঁচকি উঠতে পারে।

* সমস্যার সমাধানের উপায়

১. ক্রমাগত হেঁচকি উঠতে থাকলে লম্বা শ্বাস নেবেন। আর তারপর ধীরে ধীরে প্রশ্বাস ছাড়বেন। এটা বেশ কয়েকবার করলে হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়ে যায়।

২. একটি কাগজের ব্যাগ দিয়ে মাথা এবং মুখ ঢেকে শ্বাস নিতে হবে এবং ছাড়তে হবে। এই পদ্ধতিতে কয়েকবার শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে সমস্যার সমাধান হবে। তবে এক্ষেত্রে প্লাস্টিকের ব্যাগ একেবারেই ব্যবহার করবেন না।

৩. হেঁচকি উঠলে হালকা করে চেপে ধরুন আপনার নাক। অতিরিক্ত বেশি চাপ দেবেন না নাকে। এক্ষেত্রে লাভের বদলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

৪. অতিরিক্ত হেঁচকি উঠলে নিজের হাতের দুটি আঙুল মুখে ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ধীরে ধীরে হেঁচকির সমস্যা কমে যাবে।

৫. গরম দুধ পান করলে এক্ষেত্রে বেশ আরাম মিলে।

৬. ঘরোয়া টোটকা হিসেবে এক চামচ চিনি নিজের জিভের তলায় রেখে দিতে পারেন। কিংবা লেবুতে কামড় দিলেও হেঁচকির সমস্যা অনেক সময় কমে যায়।

তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে হেঁচকি দীর্ঘস্থায়ী হয়। দুদিনের মধ্যে যদি হেঁচকির সমস্যার না কমে তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এই হেঁচকির কারণে বড় কোন বিপদ ঘটে যেতে পারে। বিশেষ করে যারা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত সেই সমস্ত ব্যক্তির জন্য হেঁচকি একটা বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version