ঠান্ডা ফলের রস নাকি অক্সিজেনের পরত? পুজো শুরুর মুখে কোন ফেশিয়াল করবেন

।। প্রথম কলকাতা ।।

পুজো শুরু হয়ে গেছে বলাই যায়। কেনাকাটা সাড়া হয়েছে আগেই। কিন্তু কাজের চাপে এখনও ফেসিয়াল করা হয়নি? এখনই তা করতে চান? ঠান্ডা ফলের রস নাকি অক্সিজেনের পরত- কোনটা করলে ঝলমলিয়ে উঠবে আপনার ত্বক? পুজোর দিনগুলোয় ত্বকের যত্ন নেবেন কিভাবে? জানুন লাস্ট মিনিট সাজেশন। পুজোর সময়ে পার্লারে ঢুঁ মারেন না এমন মহিলা হাতেগোনা। রূপচর্চা করব অথচ ফেশিয়ালের কথা ভাববো না, তা হলে চলবে কী করে? তবে কাজের ব্যস্ততায় অনেকে তা করিয়ে উঠতে পারেননি। তাঁদের জন্য রয়েছে আধুনিক ফেশিয়াল।

গোল্ড, চারকোল, ভিটামিন সি— যত দিন যাচ্ছে নিত্যনতুন ফেশিয়ালের সম্ভার আনছেন রূপবিশেষজ্ঞরা। তবে আপনার ত্বকের জন্য কোন ফেশিয়ালটি সবচেয়ে উপকারী, তা জানাটাও জরুরি ।সব ত্বকে সব ধরনের ফেশিয়াল কিন্তু উপযুক্ত নয়। তাই টাকা খরচের আগে খতিয়ে দেখে নিন এখন ফেশিয়াল আপনার উপযুক্ত। এই আবহাওয়ায় ত্বক কখনও অতি তৈলাক্ত বা অতি শুষ্ক হয়ে পড়ছে। ফলে ত্বকে দেখা দিচ্ছে ওপেন পোর্‌সের সমস্যা।তাই ত্বককে টোনিং করা খুবই জরুরি। ফেশিয়াল করার সময় অবশ্যই ওপেন পোর‌্সের বিষয়টি মাথায় রাখুন।এখন গোল্ড, চারকোল, প্ল্যাটিনাম, পার্ল, ভিটামিন সি, অরগ্যানিক ফেসিয়াল করাতে পারেন। আপনার ত্বকের উপযুক্ত এমন একটি ফেসিয়ালের সিটিং নিতে পারলে খুব ভাল হয়। শুধু ফেশিয়ালই নয়, এখন ‘পিম্পল ট্রিটমেন্ট’, ‘ব্যাক ট্রিটমেন্ট’, ‘হ্যান্ড ট্রিটমেন্ট’-ও করানো ভীষণ জরুরি।

বরফের মধ্যে এক বিশেষ টনিক ব্যবহার করে ৩০ সেকেন্ড অন্তর অন্তর মুখ রাখা হয়। তার পরে ঠান্ডা ফলের রস দিয়ে ফেশিয়ালটি করা হয়। সব শেষে অক্সিজেন রবার মাস্ক প্রয়োগ করা হয়। ওপেন পোর্‌সের সমস্যা দূর করতে এই ফেশিয়াল বেশ কার্যকর। ব্রণর সমস্যায় সবচেয়ে কার্যকরী হবে অ্যাকটিভেটেড চারকোল ফেসিয়াল। মুখে চারকোল মাস্ক ব্যবহার করে এই ফেশিয়াল করা হয়।আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তা হলে অবশ্যই করান এই ফেশিয়াল।

এছাড়াও ট্রাই করতে পারেন হোয়াইটনিং অক্সিজেন রবার মাস্ক ফেশিয়াল। এ ক্ষেত্রে ভিটামিন এ এবং ই যুক্ত হোয়াইটনিং ক্রিম দিয়ে মুখে মালিশ করা হয়। এই ্ফে শিয়াল ত্বকে এনে দেয় ঔজ্জ্বল্য। রোদের ট্যান ত্বক থেকে দূর করতে এই ফেশিয়াল করান। তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের জন্য পার্ল ফেশিয়াল খুব ভাল।আপনার ত্বকের জন্য কোন ফেশিয়ালটি উপযুক্ত সেটি কিন্তু না দেখে বোঝা সম্ভব নয়। তাই কোন ফেশিয়ালটি করালে সবচেয়ে ভাল ফল পাবেন, তা জানার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

এ ক্ষেত্রে বলব, পুজোর আগে একটা পিম্পল ট্রিটমেন্ট করিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে হাতে সময় নেই। তাই এখনই শুরু করতে হবে সেই ট্রিটমেন্ট। প্রতি সিটিংয়ের জন্য খরচ পরবে ১৫০০ টাকা। তার সঙ্গে রোজের ব্যবহারে জন্য কিছু ক্রিম দেওয়া হবে। পুজোর আগে ত্বকের যত্ন নিতে মেনে চলুন কয়েকটি টোটকা। প্রচুর জল খেতে হবে। ডায়েটে ভিটামিন সি-যুক্ত ফল বেশি করে রাখুন। বাইরে বেরোলেই সানস্ক্রিন মেখে বেরোন, আর সঙ্গে রাখুন। প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর অন্তর সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেই হবে। সানস্ক্রিন মেখে ত্বকে ঘষবেন না। আলতো হাতে ব্যবহার করলেই হবে। রাত জেগে ফোন ঘাঁটাঘাটি না করে অন্তত পক্ষে আট ঘণ্টা ঘুমান। ঘুম কম হলেই ত্বকে ক্লান্তি ভাব আসে। পুজোর আগে জেল্লাদার ত্বক পেতে হলে পর্যাপ্ত ঘুম ভীষণ দরকার।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version