।। প্রথম কলকাতা ।।
Contraceptive Pill: অবাঞ্ছিত গর্ভাবস্থা এড়িয়ে চলার অন্যতম উপায় গর্ভনিরোধক বড়ি। কিন্তু এই ওষুধ নিয়ে অনেকে নানান রকম ভয় আছে। তার থেকে বেশি তো ভ্রান্ত ধারণাও আছে। কেউ মনে করেন এগুলি খেলেই মোটা হয়ে যান। আবার কেউ মনে করেন এর ফলে ক্যান্সারের মতো রোগ হয়। কিন্তু সত্যিই কি তাই হয়? এই ধারণা গুলি কতটা সত্য ? চিকিৎসকরা কি বলছেন ? বিভিন্ন সমীক্ষা কি বলছে। তুলে ধরব আপনাদের সামনে।
এই পিল খেলে মোটা হয়ে যাব না তো, পিরিয়ডের সমস্যা হবে না তো, মা হওয়ার ক্ষমতা নষ্ট হবে না তো, গর্ভপাতের সমস্যা দেখা দেবে না তো এই ধরনের বিভিন্ন প্রশ্ন অনেকের মাথায় ঘোরে। সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীরা প্রকাশ্যে এইসব নিয়ে বিশেষ আলোচনা করতে পারেন না। জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল ব্যবহারকারী নারীদের নানান প্রশ্ন ধারণা আদৌ কি কোনো বৈজ্ঞানিক সত্যতা রয়েছে? চলুন আজকের প্রতিবেদনে জেনে নিই সেরকম কিছু প্রশ্নও ধারণা সম্পর্কে।
ঋতুচক্র অনুযায়ী খেতে হয় এই পিল। প্রথমেই বলে রাখি এই ওষুধ সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। নারীদের মধ্যে একটা ধারণা আছে এই পিল খেলেই নাকি তাঁরা মোটা হয়ে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন এই পিল খাওয়ার সঙ্গে মোটা হয়ে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। যেটা মূলত বাড়ে শরীরে জলীয় পদার্থ জমে যাওয়ার কারণে।
আচ্ছা মা হওয়ার ক্ষমতা নষ্ট করে এই প্রশ্নটাও কিন্তু অনেকের মনে ঘোরে? চিকিৎসকরা বলছেন গর্ভবতী হতে হলে অন্তত তিন থেকে চার মাস আগেই পিল খাওয়া বন্ধ করতে হবে। কারণ আপনার স্বাভাবিক ঋতু চক্র ফিরিয়ে আনতে শরীরকে সময় দিতে হবে। না হলে নানান রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কেউ কেউ প্রশ্ন করেন নির্দিষ্ট বয়সের পর কি এই পিল খেতে নেই? আপনাদের জানিয়ে রাখি নারীদের ঋতুস্রাব যতদিন কার্যকর থাকবে ততদিন গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই নির্দিষ্ট বয়সের পর পিল খেতে নেই ভুল ধারণা।
গর্ভনিরোধক পিল খেলে যৌন রোগের আশঙ্কা কমানো সম্ভব? এটা একটি ভুল ধারণা। যৌন রোগ সংক্রমণ ঠেকাতে কনডম সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। বরি খেয়ে যৌন রোগের আশঙ্কা কমানো সম্ভব নয়।
অনেকে আবার ভাবেন এই পিল খেলে নাকি গর্ভপাতের সমস্যা দেখা দেয়। এটাও নাকি ভ্রান্ত ধারণা। পিল খেলে ডিম্বাণু উৎপাদনের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। কিন্তু গর্ভপাতের সাথে পিলের সম্পর্ক এখনও নিশ্চিত ভাবে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে হ্যাঁ অনেক ক্ষেত্রে মাথা ব্যাথা খিদে না হওয়া সামান্য স্পোর্টিং বা ব্লিডিং দেখা যেতে পারে কারোর কারোর ক্ষেত্রে।
তবে ৫-৭ দিনের মধ্যে তা কমেও যায়। বিভিন্ন গবেষণা এবং সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে নিয়মিত এই পিল খাওয়ার ফলে ডিম্বাশয় ক্যান্সার কোলন ক্যান্সার স্তন ক্যান্সারে ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। শুধুমাত্র গর্ভনিরোধক হিসেবে নয়, যারা নিয়মিত পিরিয়ডস বা অত্যাধিক রক্তপাতের সমস্যায় ভোগেন তারাও চিকিৎসকের পরামর্শ মত এই ওষুধ খেতে পারেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম