।। প্রথম কলকাতা ।।
Mango: গরম পড়তে না পড়তেই আমে বাজারে ছেয়ে গিয়েছে। আম পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া ভার। শারীরিক কারণে এই ফল খাওয়াতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এই মরশুমে একটু আধটু আম চোখে দেখেন সকলেই। তবে এই মুহূর্তে বাজারে যেসব আম পাওয়া যাচ্ছে তার অধিকাংশই নাকি কার্বাইডে পাকানো। আপনি কী জানেন, কার্বাইডে পাকানো আম কতটা ক্ষতিকর? আমাদের শরীরের পক্ষে তা কতটা ঝুঁকির তা জানেন কী?
ত্রিম পদ্ধতিতে রাসায়নিক ব্যবহার করে পাকানো আম সহজে আলাদা করা যায় না। তাই কেনার আগে একটু সচেতন থাকা জরুরী। কৃত্রিমভাবে পাকানো আম খেলে কি কি সমস্যা হতে পারে আজ জেনে নিন এই প্রতিবেদনে। গবেষকদের দাবি, এই কেমিক্যাল কম্পাউন্ড থেকে নানান শারীরিক সমস্যা হতে পারে। সেই কারণেই ফলের ব্যবসায়ীদের এই বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। এমনিতে আম খুবই উপকারী। এতে রয়েছে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অনেক মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট। কিন্তু রাসায়নিকের ব্যবহারে এই ফলের গুণ অনেক কমে যাচ্ছে।
সাধারণত আমের মতো ফল পাকাতে ব্যবহৃত হয় ক্যালসিয়াম কার্বাইড। এই রাসায়নিক ব্যবহার করার ফলে আম থেকে অ্যাসিটিলিন গ্যাস নির্গত হয়। তাতে মিশে থাকে আর্সেনিক এবং ফসফরাসের মতো ক্ষতিকারক গ্যাস। এগুলো কোনভাবে শরীরের সংস্পর্শে এলে মাথা ঘোরা ত্বকে জ্বালা দুর্বলতা ইত্যাদি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। আলসার এমনকি ফুসফুসের সমস্যা হতে পারে। বমি ডায়রিয়া অতিরিক্ত দুর্বলতা বদহজম মাথাব্যথা বুকে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া রাসায়নিকের বিক্রিয়ায় শরীরে আরো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। চোখের নানান সমস্যা জন্ম নিতে পারে।
রাসায়নিক ব্যবহার করে পাকানো আম যদি অন্য কোনো খাবারের মাধ্যমে শরীরে যায় তাহলে তার প্রভাব এক রকম হবে। কিন্তু সরাসরি এমন আম খেলে সঙ্গে সঙ্গে কাশি এলার্জি মাথা ব্যাথার মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কৃত্রিম পদ্ধতিতে পাকানো আম খাওয়ার ফলে হাইপোক্সিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এই অসুখে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন প্রতিটি কোষে পৌঁছাতে পারে না। সেই কারণেই বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। তাহলেই বুঝছেন তো কার্বাইডে পাকানো আম খাওয়া মানে কত ক্ষতি! এই আম যত খাবেন শরীরে ক্ষতি হবে ততই। এখন প্রশ্ন হল, কার্বাইডে পাকানো আম চিনবেন কি করে?
রাসায়নিক পদ্ধতিতে পাকানো আম বোঝা যায় কয়েকটি বৈশিষ্ট্য দেখে। তাই আম কেনার আগে কয়েকটি বিষয় যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাকা আমার গায়ে সবুজ আভা থাকলে তা কার্বাইডে পাকা হতে পারে। আবার আমের আকারও কিন্তু বড় একটা বিষয়। আমের আকার খুব ছোট মনে হলে তা না কেনাই ভালো। আম কিনে আনার পর সেগুলিকে এক বালতি জলে রাখুন। দেখুন কোন আমটি ডুবে যাচ্ছে আর কোনটা জলের ওপর থাকছে। যেগুলো জলে ডুবে যাচ্ছে সেগুলো স্বাভাবিকভাবেই পাকানো হয়েছে।আর যে আমগুলো জলের ওপর ভাসছে বুঝবেন তাতে রাসায়নিক মেশানো হয়েছে। কেনার সময় পাকা ও মিষ্টি আম চেনা খুব সহজ।
আলতো করে আমে চাপ দেবেন। আম নরম হয়ে গেলে পাকা বলে ধরা হয়। কিন্তু আম টিপলে যদি কিছু জায়গায় শক্ত লাগে তাহলে বুঝবেন আম ঠিকমত পাকেনি। কারণ রাসায়নিক মেশানো হলে আমের কোনও কোনও অংশ শক্ত থাকে। আর হ্যাঁ, বেশি চকচকে দেখায় এমন আম কখনোই কিনবেন না। গাছ পাকা আমের গায়ে একটা মিষ্টি গন্ধ থাকবে। নাকের কাছে আম নিয়ে গন্ধ পরখ করে নিতে হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম