Sleeping problem solution: রাতে ঘুম আসছে না? নিয়ম করে এই খাবার খেলেই কেল্লাফতে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Sleeping problem solution: সকালটা তখনই ভালো লাগে যদি আগের রাতে ঘুম ভালো হয়। কিন্তু আজকাল অনেকেরই সেই গভীর ঘুম অধরা। অথচ আমরা সকলেই জানি প্রতিদিনের কাজ ঠিকভাবে করার জন্য রাতে গভীর ঘুমের প্রয়োজন। অন্তত ছ – সাত ঘন্টা ঘুম দরকার। ঘুম মস্তিষ্ক সহ গোটা দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে বিশ্রাম দেয়। ঘুম পরবর্তী কাজের জন্য আপনার শরীরকে তৈরি করে।

অথচ এখন এই দ্রুত গতির আধুনিক জীবন অনেকের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। শরীর প্রচণ্ড ক্লান্ত থাকলেও অনেকের ঘুম আসে না।দিনের পর দিন রাতে ঘুম ঠিকমতো না হলে শরীরে তার মারাত্মক  ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। কিছু খাবার আপনার হাতের কাছেই আছে যা খেলে ম্যাজিকের মতো কাজ দেবে। আপনার রাতের ঘুম ভালো হবে।  সকালটা বেশ ফুরফুরে প্রাণবন্ত লাগবে। তখন গরম চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে সারা দিনের কাজের পরিকল্পনা করে নিতেই পারেন।

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুটো আখরোট খান। এরপর একটা গল্পের বই টেনে নিয়ে শুয়ে পড়ুন। কখন যে ঘুমিয়ে পড়বেন তা টেরই পাবেন না। আখরোটে ট্রিপটোফ্যান রয়েছে। এটি সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। ঘুমের জন্য যা বিশেষ কার্যকর। রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত দুটি আখরোট খেলে অনিদ্রা দূর হবে ম্যাজিকের মতো।

এছাড়া রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ খান। এতেও রাতে ঘুম ভালো হবে। দুধে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান ভালো ঘুমের জন্য খুব কার্যকরী। ঘুমানোর জন্য প্রয়োজন ভিটামিন ডি। তা রয়েছে ডিমে। মস্তিষ্কে যে অংশের নিউরোন ঘুমাতে সাহায্য করে ডিমের ভিটামিন ডি সেখানে কাজ করে। ভিটামিন ডির ঘাটতি থাকলে সহজে ঘুম আসে না।

আবার আলু ঘুমের জন্য বিশেষ সহায়ক।মিষ্টি আলুকে বলা হয় ‘ঘুমের মাসি’। এতে থাকা পটাশিয়াম ঘুমকে ডেকে নিয়ে আসে। তেমনই পাকা কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। তাই কলা খেলে রাতে ঘুম ভালো হয়। মধু সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরি করে। যা ঘুমের জন্য খুব প্রয়োজন। তাই নিয়মিত মধু খেলে ভালো ঘুম হয়। লেটুস পাতায় রয়েছে ল্যাকটুক্যারিয়াম যা ভালো ঘুমে সাহায্য করে। এই পাতা গরম জলে ফুটিয়ে বা স্যালাডের সঙ্গেও খেতে পারেন।কাঠবাদামে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ও ট্রিপটোফ্যান স্নায়ু ও মাংসপেশীকে শান্ত করে। স্নায়ু এবং মাংসপেশী শান্ত হলেই ভালো ঘুম হয়।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version