COPD: শ্বাসকষ্ট-ক্রমাগত কাশিতে জেরবার! COPD সম্পর্কে যা না জানলেই নয়

।। প্রথম কলকাতা ।।

COPD: ট্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ। এটি একটি ফুসফুসের রোগ। ছোট করে যাকে বলা হয় সিওপিডি। এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বহু। কিন্তু এই নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা ততটাই কম। তাই এই ধরনের সমস্যাতে দীর্ঘদিন ভোগার পরেও মানুষ বুঝতে পারে না যে আদৌ সিওপিডি বাসা বেঁধেছে তাদের শরীরে। প্রাথমিকভাবে এই রোগে শ্বাস নিতে সমস্যা তৈরি হয়। শুধুমাত্র এক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা করলেই কিন্তু হবে না। বদলাতে হবে নিজের জীবনধারা।

* কিভাবে বুঝবেন আপনিও সিওপিডির শিকার ?

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, যখনই কোন ধরনের শ্বাসকষ্ট হয় , যখন মনে হয় দম আটকে আসছে, খোলা জায়গায় থাকার পরেও আরো বাতাস প্রয়োজন হয়। এছাড়াও ক্রমাগত কাশি, রাতবিরেতে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে কাশির জন্য এইগুলি সিওপিডির প্রথম এবং প্রধান লক্ষণ। এছাড়াও উঁচু কোন জায়গা কিংবা সিঁড়ি থেকে নামতে গেলে বুকে চাপ অনুভূত হওয়া, শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়া এই ধরনের উপসর্গগুলি যাদের রয়েছে তাঁরা নয় সিওপিডিতে আক্রান্ত আর না হলে খুব তাড়াতাড়ি আক্রান্ত হতে চলেছেন।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সিওপিডিতে আক্রান্ত প্রায় ৭৫ শতাংশ রোগী রাতের বেলা সঠিকভাবে ঘুমোতে পারেন না। কারণ শুয়ে থাকার সময় অক্সিজেনের মাত্রা একেবারেই কমে যায় রোগীর শরীরে। যার কারণে তাদের শ্বাস নিতে ব্যাপক কষ্ট হয়। একদিকে শ্বাসকষ্ট অন্যদিকে কাশি, এই দুইয়ের জোড়া ফলায় ঘুমানো রীতিমতো অসম্ভব হয়ে যায়। সোজা হয়ে বসে থাকলে কাশি অনেক অংশ কমে কিন্তু এর ফলে রাতের দিকে ঘুম হয় না । যা স্বাভাবিকভাবেই যে কোন রোগীর স্মৃতিশক্তি এবং মেজাজে ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করে।

* কী কী ঝুঁকি রয়েছে সিওপিডির ?

১. হার্ট জনিত সমস্যা: সিওপিডির জন্য অনেক ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

২. সিওপিডি যে কোন মানুষের ফুসফুসে ক্যান্সারের ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে তোলে।

৩. এই রোগে আক্রান্তদের সর্দি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা অন্যান্যদের থেকে অনেকটাই বেশি থাকে। যার কারণে রিসপিরেটরি ইনফেকশন হতে পারে।

৪. সিওপিডির ফলে ফুসফুসের আর্টারিতে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হয়।

৫. এটি এমন একটি রোগ যা মানুষকে হতাশাগ্রস্থ করে তুলতে পারে। কারণ শ্বাসকষ্টের ফলে যে কোন রোগীর নিজের স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে ছিটকে যাবেন। আর এটাই তাকে ডিপ্রেশনের মুখে ঠেলে দিতে পারে।

* সিওপিডি নিয়ে কিছু ভুল ধারণা

১. অনেকেই মনে করেন, সিওপিডি কেবলমাত্র ধুমপায়ীদের হয়ে থাকে। এমনটা কিন্তু নয় , যারা ধূমপান করেন না তাঁরাও এই রোগের শিকার হতে পারেন।

২. এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের ওজন বেশি থাকলেও সমস্যা নেই। এটি পুরোপুরি একটি মিথ। ওজন বেশি থাকলে অবশ্যই সিওপিডির চিকিৎসায় সমস্যা সৃষ্টি হয়।

৩. সিওপিডি থাকলে রোগী শরীর চর্চা করতে পারবেন না। এই প্রচলিত ধারণায় বিশ্বাস করলেই সমস্যা। অবশ্যই তাঁরা শরীরচর্চা করতে পারেন কিন্তু সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রয়োজন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version