ছুটে আসছেন বাইডেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে দাগ কাটছে ২৩ ! টেনশনে চীন, বড় কূটনৈতিক জয়ের মুখে নয়াদিল্লি

।। প্রথম কলকাতা ।।

কী এমন করলো ভারত? ছুটে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ২০২৩ দাগ কেটে যাচ্ছে। প্রথমবার ভারতে পা রাখছেন বাইডেন, চীন কী গভীর ডিপ্রেসনে? ‘জি২০ লিডার্স সামিট’-এর প্ল্যাটফর্মে হবে ধামাকা। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া সম্পর্কে অক্সিজেন যোগানোর চান্স ভারতের হাতে। সাল ২০২৩, ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে। কেন? নজরে সেপ্টেম্বর। প্রথম বারের জন্য ভারত সফরে আসতে চলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যা ঘটতে চলেছে তাতে দুটো দেশই ভীষণ রকম এক্সাইটেড। কী ঘটতে যাচ্ছে?

আগামী সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লিতে বসতে চলেছে জি-২০ সম্মেলন। এবার এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছে নয়াদিল্লি। যে জি২০ লিডার্স সামিটে যোগ দিতেই বাইডেন আসছেন ভারত সফরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই হবে বাইডেনের প্রথম ভারত সফর। জি২০ লিডার্স সামিটে সভাপতিত্বের দায়িত্ব, বিশ্ব দরবারে ভারতের শক্তিশালী নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠা করবে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের ভূয়সী প্রশংসাও করেছে ওয়াশিংটন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ২০২৩ সাল ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নয়া যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে। তারই প্রথম প্রকাশ সেপ্টেম্বরে জি২০ লিডার্স সামিট। যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি একই মঞ্চ আলো করে থাকতে চলেছেন বাইডেনও। ভারত-আমেরিকা আরও কাছাকাছি আসছে। চীনকে শায়েস্তা করার রাস্তা আরো বেশি চওড়া হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

ভারত-আমেরিকা সুসম্পর্কের প্রেক্ষিতে চীনের প্রতিক্রিয়া কী? কোনও আভাস না মিললেও, জি২০ সম্মেলন চলাকালীন বাইডেনের ভারত সফর যে বেইজিংয়ের উদ্বেগ আরও বাড়াবে, তা অনুমান করা যায়। কিন্তু তা তো ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্ককে এফেক্ট করতে পারবেনা। এর আগে আমেরিকার প্রশাসনের তাবড় নেতৃত্ব, যেমন সেক্রেটারি অফ স্টেট টোনি ব্লিঙ্কেন, ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইল্লেন এবং কমার্স সেক্রেটারি জিনা রাইমোন্ডোরা ভারত ঘুরে গিয়েছেন। দিল্লির ইন্ডিয়া-ইউএস ফোরামেও হাজির ছিলেন তাঁরা। ফলে দুই দেশের মধ্যে অলরেডি বন্ধুত্ব গভীর হয়েছে। তাছাড়া সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যুক্তরাষ্ট্র সফর সেরে এসেছেন। এই আবহে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে নয়াদিল্লি আসছেন বাইডেন। দুই দেশের প্রশাসনই মনে করছে ভারতের জি ২০ আয়োজন এক্ষেত্রে একটা বড় ফ্যাক্টর।

তাছাড়া, এই জি-২০ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যোগ দিতে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে। এক্ষেত্রে এটা মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর মস্কো-হোয়াইট হাউসের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে! যুদ্ধের জন্য সরাসরি পুতিনকেই দায়ী করেছে আমেরিকা। ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর সাথে সাথে রাশিয়ার উপর জারি করেছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। পালটা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মস্কোও। তাই, জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া মঞ্চ ভাগাভাগি করলে, সেটা অবশ্যই ভারতের কূটনৈতিক জয় হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version