Cervical Cancer: জরায়ু ক্যানসার থেকে সাবধান, এই উপসর্গগুলি দেখলেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Cervical Cancer: গোটা বিশ্বজুড়ে ক্যানসারে যতজন মহিলার মৃত্যু হয় তার মধ্যে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয় জরায়ু ক্যানসারে। প্রত্যেক মহিলার শরীরে থাকে অনেকটা নাশপাতির আকারের একটি অঙ্গ, যাকে বলা হয় প্রজনন অঙ্গ। জরাই মুখের ক্যানসারের অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসকে। জরায়ু মুখে ক্যানসার হলে তার বহু চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে যেমন কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, সার্জারি, ইমিউনো থেরাপি প্রভৃতি। প্রথম স্টেজে ক্যানসার ধরা পড়লে সার্জারি করা হয়। ক্যানসার থেকে বাঁচতে প্রত্যেক মহিলারই বেশ কয়েকটি নিয়ম মানা উচিত।

•সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

•অতিরিক্ত জন্মনিরোধক ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।

• অল্প বয়সে গর্ভধারণ করলে জরায়ু মুখে ক্যানসার দেখা দিতে পারে।

• ধূমপান কিংবা মদ্যপান থেকে দূরে থাকাই ভালো।

•একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে নিরাপত্তা ছাড়াই যৌন মিলন করলে এই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

• প্রয়োজনে বিয়ের পর প্রতি তিন বছর অন্তর ভায়া টেস্ট করিয়ে নিন।

কোন লক্ষণ গুলো দেখে সাবধান হবেন?

•দিনের পর দিন যদি দুর্গন্ধযুক্ত সাদা স্রাব আসে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

• তলপেটের নিচের দিকে ফুলতে শুরু করলে, খাবারে অনিহা দেখা দিলে কিংবা বমি বমি ভাব হলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

•সহবাসের সময় যদি রক্তক্ষরণ হয় কিংবা জরায়ুতে ব্যথা অনুভব করেন তাহলে এই লক্ষণ খারাপ।

•ঋতুস্রাবের সময়ের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। হঠাৎ করে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া কিংবা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও আবার নতুন করে দেখা দিলে চিকিৎসকের দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বিশ্বব্যাপী মহিলাদের জন্য জরায়ু ক্যানসার মৃত্যুর অন্যতম একটি প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের মহিলারা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। তার অন্যতম কারণ হল অসচেতনতা। একটু সতর্ক থাকলেই এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব নারীরা স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত তারাও এই ক্যানসারের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে তেমন কোন উপসর্গ দেখা দেয় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকলে এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করা যায়। এই ভাইরাসের সংক্রমণ শরীরে দীর্ঘদিন স্থায়ী হলে তা পরবর্তীকালে ক্যানসারের রূপ নিতে পারে। বহু মহিলা আছেন যারা এই রোগের সমস্যা গুলিকে আড়াল করেন, যার কারণে সমস্যা আরও জটিল হয়ে যায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা করলে এই ক্যানসার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version