Shower after eating : পেটপুরে খাওয়ার পর স্নান করেন? নিজের অজান্তেই ডেকে আনছেন বিপদ

।। প্রথম কলকাতা ।।

Shower after eating : সকালে ঘুম থেকে উঠতে হয়ে গিয়েছে বেশ কিছুটা দেরি। তাই সময় বাঁচানোর জন্য তড়িঘড়ি খাবারটা খেয়ে নিয়ে তারপরে স্নান করবেন ঠিক করলেন। যদিও বাড়ির বড়রা আপনার এই সিদ্ধান্তকে কখনই গ্রীন সিগন্যাল দেবে না। কিন্তু কেন জানেন? আমাদের খুব চেনা এই ছবিটি প্রত্যেক বাড়িতেই দেখা যায়। বাড়ির বড়রাও বলে থাকেন স্নানের আগে খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এতে শরীরে নানান ধরনের সমস্যা বাসা বাঁধতে পারে। তবে এই যুক্তির আদৌ কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে কি ? শুধুমাত্র বিজ্ঞান নয়, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও স্নানের আগে খাবার খেয়ে নেওয়াকে একেবারেই স্বাস্থ্যকর বলে উল্লেখ করা হয়নি।

* চিকিৎসা শাস্ত্রমতে : চিকিৎসকরাও স্নান করার আগে খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ আগে খাবার খেয়ে তারপর স্নান করার এই অভ্যাসকে চিকিৎসকরা নাম দিয়েছেন হাইপারথার্মিক অ্যাকশন। এতে নানান ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ এর ফলে আমাদের শরীরের যে স্বাভাবিক তাপমাত্রা তা বেশ খানিকটা বৃদ্ধি পায়। এতে ক্ষতির পরিমাণ যদিও বিশাল কিছু নয় কিন্তু হজমে দেখা দেয় সমস্যা। স্নান করার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের শরীরের তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে। তাই গরম খাওয়ার পরে স্নান করলে বেড়ে যেতে পারে হৃদস্পন্দনের মাত্রা।

আমরা যখন খাবার খাই তখন আমাদের শরীরে এমনিতেই এনার্জি বৃদ্ধি পায়। সে খাবারটিকে হজম করার জন্য শরীর কাজ করতে শুরু করে। কিন্তু সেই সময় যদি আপনি স্নান করে নেন তবে শরীরের মধ্যে বিশেষ করে পেটে রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি হয়। এর কারনে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ক্লান্তি , মাথা ব্যাথার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর আপনি যদি ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট কিংবা অতিরিক্ত ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার পরে স্নান করেন তবে গ্যাস অম্বলের সমস্যা কিন্তু ভীষণভাবে বাড়তে পারে।

* আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে : আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরাও এই একই কারণ জানিয়েছেন স্নানের আগে খাবার না খাবার।

* বিশেষজ্ঞদের মতে খাওয়া এবং স্নানের মধ্যে অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টার ব্যবধান থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। এতে হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে। স্নানের ফলে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে। যদিও স্নান করার আগে খাবার খেলে শরীরে মারাত্মক কোনরকম ক্ষতি হয় না। কিন্তু হজমের সমস্যা দেখা দিলে তা পরবর্তীতে বড় কোন রোগ সৃষ্টি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে এই বিষয়ে সতর্ক থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version