Bangladesh India: ‘অখন্ড ভারত’ বিতর্কে জবাব চাইল বাংলাদেশ, দু’দেশের বন্ধুত্বে বাড়ল ঝুঁকি! কী জানাল ভারত?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bangladesh India: অখন্ড ভারতের বিতর্কে এবার ময়দানে বাংলাদেশ। অখন্ড ভারতের ম্যাপ নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলল বাংলাদেশ। ভারতও দিয়ে দিল মোক্ষম জবাব। নেপাল, পাকিস্তানের পর ক্ষোভ ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছে গেল নাকি? বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন ভারতের সেনা প্রধান। টাইমিংটা ভুল হয়ে গেল না তো বাংলাদেশের জন্য? বাংলাদেশও কি ভারতকে বিশ্বাস করতে পারল না? নেপাল পাকিস্তানের দেখানো পথেই হাঁটল ভারতের আরেক প্রতিবেশী বাংলাদেশও। কিন্তু বাংলাদেশের এ নিয়ে অস্বস্তি হওয়ার কারণটা ঠিক কি? কাশ্মীর-কালাপানির মতো ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেও কি রয়েছে জমিবিবাদ?

পাকিস্তানের সুরে সুর মেলানোর নেপথ্যে অবশ্যই কারণ রয়েছে৷ বাংলাদেশ সরাসরি জানিয়েছে তারা ভারতের সরকারি বিবৃতি শুনতে চায় অখণ্ড ভারতের মানচিত্র নিয়ে। কিন্তু কূটনৈতিক মহল বলছে এসবের সময়টা একটু ভুল হতে গেল না? কারণ ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। অখন্ড ভারত বিতর্কের এফেক্ট এই মিটিংয়েও পড়ল নাকি? ভারতের মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী অনেক হাওয়া দিয়েছিলেন বিতর্কে। টুইট করে লিখেছিলেন ‘অখণ্ড ভারতের সংকল্প স্পষ্ট। ব্যাস ওমনি রেড অ্যালার্ম বাজতে থাকে ইনসিকিওর পাকিস্তান ও নেপালে।

লুম্বিনী কপিলবস্তু ভারতের ম্যাপে থাকায় চটে গিয়েছে নেপাল। এদিকে তক্ষশিলা- সিন্ধু দেখানোয় পাকিস্তানেরও মাথায় বাজ পড়েছে। আর সেই পাকিস্তান ভেঙেই তো বাংলাদেশ। এবার নয়াদিল্লির কাছে এ নিয়ে জবাবদিহি চাওয়ার জন্য ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি। হাইকমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ভারত কিন্তু এবার আর চুপ করে থাকল না৷ তাহলে কি বলতে হয় বাংলাদেশ এখন পাকিস্তান নেপালের প্রভাবে এতটাই প্রভাবিত হচ্ছে যে তাদের কোনআনকোট মিত্র দেশ ভারতের ওপর এটুকু ভরসাও করতে পারছে না?

এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের দাবি, উত্তরবঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলির প্রায় দেড়শো গজ জমি ভারতীয় ভূখণ্ডের ওপারে, অর্থাৎ বাংলাদেশের জমিতেই সেই এলাকায় অনেক ভারতীয়কে চাষাবাদ করতে শোনা যায়। কেউ আবার সেখানেই থাকেন এমনও দাবি উঠে এসেছে বহুবার। তবে এককথায় ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ বলা চলে সেই জমিগুলোকে কারণ, সেখানে নেই কারও মালিকানা অথবা কারও একার অধিকার। কিন্তু সমস্যাটা তো এই জমিগুলো নিয়ে নয়৷ আগেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকে মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছিলেন, ‘দেওয়ালে খচিত এই মানচিত্রটি অশোক সাম্রাজ্যের বিস্তারকে তুলে ধরেছে সেই সময়কার জনমুখী শাসনের ধারণাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এতে’

এখন প্রশ্ন হল বাংলাদেশ কি ভারতের এই উত্তরে সন্তুষ্ট হবে নাকি পরবর্তীকালে সেদেশের তরফ থেকে আবারও প্রশ্ন উঠতে পারে? এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন দিল্লির কাছে এই মানচিত্র নিয়ে জবাবদিহি চাইলেও এই বিষয়টিকে বড় করে দেখছেন না বাংলাদেশ। এদিকে বলে রাখা দরকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোকে মনে রাখতে হবে এটা চিন নয় যে অন্যের জমিতে ভাগ বসানোই যাদের একমাত্র লক্ষ্য এটা ভারতবর্ষ৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version