season change cold and cough: সিজন চেঞ্জ হতেই ঠান্ডা লাগা নিয়ে ভুগছেন? শরীরের যত্ন নিন এইভাবে

।। প্রথম কলকাতা ।।

season change cold and cough: সিজন চেঞ্জ হতে না হতেই, ঠান্ডা লাগা নিয়ে ভুগছেন? গলা ব্যথায় ঢোক গিলতে সমস্যা হচ্ছে? রান্নঘরের কয়েকটি উপাদানের সহজেই নিজের শরীরের যত্ন নিন। গোটা শীতকাল ঠান্ডা লাগা আপনাকে ছুঁতে পারবে না। ঋতু পরিবর্তনের কারণে প্রায় সময়ই আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। কখনও গরম তো কখনও ঠান্ডা বাতাস, এসবই আমাদের সিজনাল ফ্লুয়ের দিকে নিয়ে যায়। এই অবস্থায় শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে হলে মেনে চলতে হবে এই কয়েকটি নিয়ম।

ছেলেবেলা থেকেই জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, ব্রঙ্কাইটিস, ম্যালেরিয়া এবং আরও অনেক রোগের উপশমকারী উপাদান হিসেবে তুলসী পাতার রসের কথা আমরা জেনে এসেছি। এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিবায়োটিক এবং আরও অনেক উপাদান রয়েছে। ৮ থেকে ১০টি তুলসী পাতা ভালো করে জলে ধুয়ে নিন। তার সাথে দুটি লবঙ্গ, একটি গোলমরিচ, এক টুকরো দারচিনি ভালো থেঁতো করেনিন।তারপর গরম জলে বেশ কিছুক্ষণ ধরে ফোটান সবগুলি। সেই ফোটানো জল রোজ সকাল বেলায় খান। তারপর দিন শুরু করুণ। চাইলে ওই চল একটু মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।

সিজন চেঞ্জের সময় ডায়েটে বেশি করে স্যুপজাতীয় খাবার রাখতে হবে। চিকেন স্যুপ রাখতেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এর ফলে শরীর গরম থাকবে ও ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা কমবে।

পাশাপাশি, সিজন চেঞ্জের সময় নিয়মিত জল ফুটিয়ে খেলেও ঠাণ্ডা কম লাগবে। এই সময় জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে যেতেই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়ির খাবার খেলে অনাক্রম্যতা বাড়ে যার ফলে আমাদের ঠান্ডা লাগার পরিমাণ অনেকাংশে কমে যায়।

সিজন চেঞ্জের সময় স্নানে গরম জল ব্যবহার করলে ভালো। গরম চা বা গরম দুধ, এক কথায় গরম পানীয় খেলে রোগের খুব তাড়াতাড়ি উপশম হতে পারে।

এই সময় বৃষ্টিতে ভেজা, দুপুরে ঘুমানো, এমনকী অতিরিক্ত শরীরচর্চাও এড়িয়ে যেতে পরামর্শ চিকিৎসকদের। এছাড়া নাক বন্ধ হয়ে গেলে গরম জলে ভেপার নিতে পারেন। ভাল ফল পাওয়ার জন্য দিনে দুবার ভেপার নিতে পারেন। নাক বন্ধ দূর হয়ে যাবে।

সামান্য ঠান্ডা লাগলতেই সবার আগে ভাইরাস বাসা বাঁধে গলায়। তাই অনেকেই ঠান্ডা লাগা মানেই গলার নানান সমস্যায় ভোগেন তাঁরা গলার সমস্যা উপশমের জন্য কয়েকটি পানীয় খেতে পারে।

গলার সংক্রমণ বা ব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে হালকা গরম জলে নুন মিশিয়ে গার্গল করুন। এটি খুবই উপকারী। গার্গলিং গলা ব্যথা, গলার জ্বালাভাব এবং কাশি কমাতে পারে। আসলে, নুনের মধ্যে আশ্চর্যজনক অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে ব্যথা থেকে আরাম পেতে দিনে দু’বার গার্গে‌ল করতে হবে।

হলুদ দিয়ে হালকা গরম দুধ খাওয়ারও একাধিক উপকারিতা রয়েছে। এই দুধ পান করলে গলা ব্যথা ও সংক্রমণ দূর হয়। এটি গলার পাশাপাশি জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যাতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। রাতে ঘুমানোর আগে গরম হলুদ দুধ পান করতে পারেন। দেখবেন গলা ব্যথা অনেকটাই সেরে গেছে।

তবে মাথায় রাখবেন প্রতিবেদনের সমস্ত টিপস শুধুমাত্র পরামর্শ স্বরূপ। চিকিৎসার বিকল্প কিছু হতে পারে না। প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version