Kumbha Sankranti 2023: কুম্ভ স্নানেই দূর হবে সমস্ত পাপ! শুভ সময়ে পালন করুন এই নিয়ম

।। প্রথম কলকাতা ।।

Kumbha Sankranti 2023: ২০২৩ এর ১৩ই ফেব্রুয়ারি সোমবার (Monday) হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিন দান কাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণে এই বিশেষ দিনে সূর্য মকর রাশি ছেড়ে প্রবেশ করবে কুম্ভ রাশিতে। তাই এই দিনকে বলা হয় কুম্ভ সংক্রান্তি (Kumbha Sankranti)। কুম্ভ সংক্রান্তির সঙ্গে হাজার হাজার বছর ধরে নানান প্রচলিত বিশ্বাস এবং ধ্যান ধারণা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। রাশি সংক্রান্তি বলতে বোঝায় প্রতিমাসে সূর্য একবার করে তার রাশি পরিবর্তন করে। সূর্য রাশি পরিবর্তন করে যে রাশিতে প্রবেশ করে বা গমন করে তাকে বলা হয় সেই রাশির সংক্রান্তি। প্রতি বছর ১২টি মাসে মোট ১২টি সংক্রান্তি থাকে, যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সংক্রান্তি হল মকর সংক্রান্তি এবং কুম্ভ সংক্রান্তি। ২০২৩ এর কুম্ভ সংক্রান্তির পুণ্যকাল থাকবে ১৩ই ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ০৭টা ০৮ মিনিট থেকে ০৯টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত। মহাপুণ্য কাল থাকবে সকাল ০৮টা ০২ মিনিট থেকে ০৯টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত।

কথিত আছে, যে ব্যক্তি কুম্ভ সংক্রান্তির দিন সকালে উঠে গঙ্গা স্নান করে সূর্য দেবতার আরাধনা করেন, তার জীবনের সমস্ত সমস্যার নিরসন ঘটে। তাই এই দিন পবিত্র নদীতে স্নান করবেন। যদি সম্ভব না হয় তাহলে স্নানের জলে গঙ্গাজল মিশিয়ে নেবেন। স্নানের সময় অবশ্যই তামার পাত্র ব্যবহার করবেন। সেই পাত্রে গঙ্গাজল, চাল, তিল আর লাল ফুল মিশিয়ে সূর্যদেবের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদন করলে শুভ ফল সম্ভব। এই সময় অবশ্যই সূর্য দেবতার মন্ত্র বা ১০৮ বার সূর্য নাম জপ করবেন। কুম্ভ মেলা বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর সংযোগস্থল অর্থাৎ প্রয়াগরাজ। দেশ বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী শুধুমাত্র পুণ্য স্নানের জন্য এখানে জড়ো হন।

২০২৩ এ বাংলাতেও আয়োজন করা হয়েছে কুম্ভ মেলা (Kumbha Mela)। ইতিমধ্যেই নাগা সন্ন্যাসীদের ভিড় জমেছে কল্যাণীর গৌরাঙ্গ প্রভুর ঘাটে। বাংলায় কুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়েছে কল্যাণীর মাঝের চরের এই ঘাটে। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা হবে। গঙ্গায় শাহি স্নান হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। কুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়েছে বঙ্গ কুম্ভ মেলা (Bengal Kumbha Mela) পরিষদের উদ্যোগে। দীর্ঘ ৭০৪ বছর পর ত্রিবেণীতে কুম্ভ স্নানের বিশাল আয়োজন করা হয়েছে।

হিন্দু ধর্মে কুম্ভস্নানের গুরুত্ব অত্যন্ত বিশেষ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। বিশ্বাস করা হয়, কোনো ব্যক্তি কুম্ভে স্নান করলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পান। পাশাপশি ওই ব্যক্তি মোক্ষ লাভ করেন। কুম্ভস্নান করলে পিতৃপুরুষদের আত্মা মুক্তি লাভ করে। যার ফলে ব্যক্তির উপর আশীর্বাদ বজায় থাকে। কুম্ভ মেলার সময় যে কোনো সময় স্নান করলেও বিশেষ ফল পাওয়া যায়। কিন্তু রাজকীয় স্নানের দিনে স্নান করলে বিশেষ ফললাভ সম্ভব। প্রথম রাজকীয় স্নানের নিয়ম হল এই দিনে বিভিন্ন আখড়ার সাধুরা স্নান করেন। এর পরই সাধারণ মানুষ স্নান করার সুযোগ পায়। রাজকীয় স্নানে, সাধুদের রাজকীয়ভাবে সম্মানিত করা হয়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version