Delhi Police: অস্ট্রেলীয় তরুণীকে হত্যার পর ফেরার, দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত

।। প্রথম কলকাতা।।

Delhi Police: অস্ট্রেলিয়ায় খুন করার অভিযোগ উঠেছিল পঞ্জাবের অমৃতসরের বাটার কালানের বাসিন্দার উপর। তাকে ধরতে পারলে বিপুল টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল সেখানকার সরকার। খুন করে প্রায় ৪ বছর লুকিয়ে থাকার পর শুক্রবার অভিযুক্তকে পাকড়াও করল দিল্লি পুলিশ। অভিযুক্তের নাম রাজবিন্দর সিং। ৩৮ বছর বয়সী এই যুবক অস্ট্রেলিয়ায় নার্সের কাজ করত। কিন্তু হঠাৎ কি এমন হল যে তিনি সেখানকারই এক তরুণীকে খুন করলেন? ঘটনাটা ঠিক কী?

ঘটনাটা এইরকম, ‘এই সময়’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-র ২১ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের একটি সমুদ্র সৈকতে তোয়াহ কর্ডিংলে নামে এক মহিলাকে হত্যার অভিযোগ ওঠে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই পুরুষ নার্সের বিরুদ্ধে। ‘দ্য ওয়াল’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সৈকতের বালির মধ্যে অর্ধেক পোতা অবস্থায় পড়েছিল ২৪ বছর বয়সী ওই তরুণীর রক্তাক্ত মৃতদেহ। আর পাশেই বাঁধা ছিল সেই তরুণীর পোষা কুকুরও। গোটা ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েই নাম উঠে আসে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নার্সের তথা রাজবিন্দরের। জানা যায় ২১ তারিখ পোষা কুকুর নিয়ে সৈকতে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তোয়াহ। আর সেই সময়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে। তাঁর মৃতদের উদ্ধার হয়েছে ২২ অক্টোবর। তবে কী কারণে তিনি এই কাজটি করেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

রিপোর্ট অনুযায়ী, এমনকি হত্যার দায়ে রাজবিন্দরের দামও ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়া সরকার। ঘটনার পরপরই স্ত্রী ও তিন সন্তানকে সেখানে রেখে ভারতে পালিয়ে আসেন রাজবিন্দর। আর সেই খবর পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের কাছে। গত ৩ নভেম্বর অস্ট্রেলীয় পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে পিটিআই জানিয়েছে, খুনের ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ২২ অক্টোবর অভিযুক্ত অস্ট্রেলিয়া ছাড়ে। ২৩ তারিখ সে ভারতে পৌঁছায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে কুইন্সল্যান্ড পুলিশ খুনিকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লক্ষ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৮ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। তদন্ত সারতে অস্ট্রেলীয় পুলিশের সাহায্য নেওয়া হয়েছে।

রাজবিন্দরের সন্ধান পাওয়া মাত্র চুক্তি হয় অভিযুক্তকে খুঁজে পেলেই অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেবে ভারত। শেষমেষ চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে দীর্ঘ চার বছর পর তাকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সত্যিই সে যৌন আক্রোশ থেকে খুন করেছিল? নাকি এর নেপথ্যে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কোনও কারণ! তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই জানা যাবে। অন্যদিকে এই ঘটনাটি এমন সময়ে সামনে এসেছে যখন কয়েকদিন আগেই মহারাষ্ট্রের পুনেতে এক পুরুষ নার্সের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে সে, অভিযোগ এমনটাই।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version