Juvenile Diabetes: ডায়াবেটিস থেকে মা তার শিশুকে বাঁচাতে পারেন, খেয়াল রাখুন এই ভাবে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Juvenile Diabetes: ডায়াবেটিস শুধু বড়দের নয়, বর্তমানে শিশুদের ক্ষেত্রেও একটা বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চার বছর বয়সী বাচ্চাদের শরীরেও ডায়াবেটিস বাসা বাঁধছে। বাবা-মা সন্তানের খেয়াল সমানভাবে রাখলেও, সন্তানের সারা দিনের রুটিনের দিকে একটু বেশি খেয়াল রাখেন মা। মায়েদের সবসময় সতর্কতার সঙ্গে শিশুকে বড় করতে হয়। একজন মা হিসেবে দায়িত্ব, শিশুর শারীরিক পরিবর্তন কিংবা প্রতিদিনের রুটিনের দিকে নজর দেওয়া। কারণ সাম্প্রতিককালে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস বা জুভেনাইল ডায়াবেটিস কোন বয়স মানছে না। বহু শিশু এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এর ফলে অগ্ন্যাশয় থেকে খুব কম ইনসুলিন তৈরি হয়।

এখনও পর্যন্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানে জুভেনাইল ডায়াবেটিসের সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে এটি একটি অটোইমিউন জনিত রোগ। এই রোগ থেকে শিশুকে রক্ষা করতে কয়েকটি বিষয়ের উপর খেয়াল রাখা উচিত।

•শিশুকে কিছুতেই খালি পেটে থাকতে দেবেন না। যদি ইতিমধ্যেই শিশু ডায়াবেটিক হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী একটি ডায়েট প্ল্যান বানিয়ে নিন।

•ডায়াবেটিক শিশুদের প্রতিদিন ব্যায়াম করা উচিত। এর ফলে ডায়াবেটিস সহজে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ডায়াবেটিক শিশুর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় অন্তর চেকআপ করার উচিত। সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শে থাকতে হবে।

•খারাপ লাইফস্টাইল মানসিক চাপের কারণেও বয়স্কদের এই অসুখ সহজেই থাবা বাসায় শিশুদের শরীরে। তাই আপনার সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখুন। স্কুল থেকে ফিরেই পড়তে বসানো, সমস্ত পড়া মুখস্ত রাখতে হবে, ফার্স্ট হতে হবে, নম্বর কম পেলেই বকুনি এই ধরনের ধারণা থেকে একেবারেই বেরিয়ে আসুন। প্রয়োজনে শিশুকে সুস্থ রাখতে মিউজিক থেরাপি দিতে পারেন।

•পড়াশোনার চাপ আর অনলাইন গেমের জেরে শিশুরা মাঠে খেলতে যেতে ভুলে গিয়েছে তাই শিশুকে সর্বদা শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বা মাঠে গিয়ে খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করুন।

•শিশু যতই জাঙ্কফুডের জন্য বায়না করুক না কেন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার। বিশেষ করে শাকসবজি কিংবা প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়ানো উচিত।

শিশুর ডায়াবেটিস হয়েছে বুঝবেন কীভাবে ?

• রোগা থেকে হঠাৎ করে মোটা হয়ে যাওয়া বা মোটা থেকে রোগা হয়ে যাওয়া
•ঘনঘন জ্বর সর্দি কাশি
•পুষ্টিকর খাবার খেলেও শারীরিক দুর্বলতা
•ঘনঘন বাথরুম যাওয়া
•সামান্য কাজে ক্লান্ত হয়ে পড়া
•বারংবার খিদে কিংবা জল তেষ্টা পাওয়া
শিশুর মধ্যে যদি এই সমস্যাগুলি দেখা দেয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশু হলে ব্লাড সুগার টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version