।। প্রথম কলকাতা ।।
Corona Virus in India: বিশ্ববাসীর মনে এখনও পর্যন্ত আতঙ্ক হিসেবে জায়গা দখল করে রেখেছে ২০২০ এবং ২০২১ সাল। করোনাভাইরাসের (Corona Virus) বাড়বাড়ন্ত ভারতেও বহু মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এবার ২০২২ শেষ হওয়ার আগেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রন বিএফ.৭ (Omicron BF.7)। চিনে (China) ইতিমধ্যেই অনেকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর তার থেকেও বড় চিন্তার বিষয় হল চিনের এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে ভারতের (India) গুজরাত এবং ওড়িশাতে। তাই ভারতে পুনরায় সেই মাস্ক (Mask) পড়ার রীতি শুরু হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর থেকে সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড় থেকে শুরু করে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও (Narendra Modi) মাস্ক পড়ে অধিবেশনে অংশ নিতে দেখা যায়। অর্থাৎ বলাই বাহুল্য চিনের এই নতুন ভাইরাস থেকে বাঁচতে গেলে সতর্কতা অবলম্বন করতেই হবে। আর ভারত সেক্ষেত্রে কোনরকম গাফিলতি করতে চাইছে না। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় জানান, কোভিড নিয়ে হঠাৎ করে যে পরিস্থিতি বর্তমানে তৈরি হয়েছে তার মোকাবেলা করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র। এক্ষেত্রে রাজ্যক ও সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এদিন উৎসবের আবহে দেশজুড়ে টিকাকরণের উপর জোর দেন। তিনি জানান, রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোভিড বুস্টার টিকা সম্বন্ধে নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির উপর কাজ করতে হবে স্থানীয় স্তরে। মেনে চলতে হবে দূরত্ব বিধি, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করার অভ্যাস পুনরায় করতে হবে। বিদেশ থেকে যে সমস্ত যাত্রীরা দেশে ফিরছেন তাদের পরীক্ষা করা হবে বিমানবন্দরে। কোভিডের মতো শত্রু প্রতিনিয়ত তার রূপ বদলে চলেছে। তাই এই লড়াই এখনও পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে দেশের মানুষকে। আপাতত ভারতের গুজরাট এবং ওড়িশায় কয়েকজন ওমিক্রন বিএফ.৭ এ আক্রান্ত হয়েছেন। এই সংখ্যা যাতে না বাড়তে পারে তার জন্য বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কেন্দ্র।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম