শীতে ঠোঁট ফাটার সমস্যায় নাজেহাল হন? ব্যবস্হা নিন এখন থেকেই, রইল টিপস

।। প্রথম কলকাতা ।।

শীতের মরসুম প্রায় এসেই গেছে। এখন থেকেই ঠোঁটের চারপাশ শুকিয়ে যাচ্ছে। চামড়ায় টান পড়ছে, তাই না! আপনাকে ময়েশ্চারাইজার মাখতেই হচ্ছে। কিন্তু শীতে ঠোঁট ফাটা আটকাতে কি করবেন? ভাবছেন লিপ বাম তো আছে। কিন্তু শুধু লিপবাম ব্যবহার করে এই সমস্যা এড়ানো যাবে না। কিংবা আপনি যতই অ্যান্টিসেপটিক ক্রিমের সাহায্য নিন শীতে ঠোঁট ফাটবেই। এজন্য এখন থেকেই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। শীতের মরসুমে ঠোঁট ফাটার সমস্যা এড়াতে এখন থেকেই কী করবেন, রইল টিপস।

শীতকালে ত্বক ও চুলের যত্নে পাশাপাশি ঠোঁটের বিশেষ যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আপনি যদি শীতের শুরু থেকেই ঠোঁটের খেয়াল রাখেন তাহলে পরে সমস্যা কম হবে। আপনি যদি এই শীতে ষ আপনার ঠোঁটকে সুন্দর ও কোমল রাখতে চান, তাহলে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। শরীরে জলের ঘাটটি হলে, অন্যান্য অংশের পাশাপাশি ঠোঁটেও তার প্রভাব পড়ে। ত্বকের মতো আপনার ঠোঁটেরও আর্দ্রতা প্রয়োজন। তাই ঠোঁট ফাটা রোধ করতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।

বারবার ঠোঁটে জিভ বোলাবেন না। এটি আপনার ঠোঁটের আর্দ্রতা কেড়ে নেয়। ঠোঁটকে শুষ্ক করে দেয়। কোমল ঠোঁট পেতে, রোজ রাতে ঘুমানোর আগে মধু লাগান ঠোঁটে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডা জল দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে নিন। এরপর নরম কোনও কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।

ফাটা ঠোঁটের সমস্যা দূর করতে, গোলাপজলের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে লাগালে দারুণ উপকার মিলবে। ঘুমানোর আগে সমপরিমাণ গোলাপজল ও গ্লিসারিন মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। খুব শীঘ্রই সুফল দেখতে পাবেন।

আঙুলের ডগায় সামান্য দেশি ঘি নিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন। এটি শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল করে। এর ফলে ফাটা ঠোঁট থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।

রাতে ঘুমানোর আগে নাভিতে সর্ষের তেল লাগান।এটি শরীরে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। ফলস্বরূপ ফাটা ঠোঁটের সমস্যা দূর হয়ে কোমল ঠোঁট পাবেন আপনি। গোলাপ গাছের পাতা ও কিছু গোলাপের পাপড়ি বেটে, সেই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগালেও ফাটা ঠোঁটের সমস্যা দূর হতে পারে সহজে।

ঠোঁটের ক্ষতি এড়াতে লিপস্টিক লাগানোর আগে অবশ্যই লিপগ্লস লাগান। এছাড়া আপনার ঠোঁট শুষ্ক হলে, শীতকালে ম্যাট লিপস্টিক না লাগিয়ে ক্রিম সমৃদ্ধ লিপস্টিক লাগান।

এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।লিপস্টিক লাইনার, লিপস্টিক বা লিপগ্লস, ঠোঁটের জন্য ভাল জিনিসই ব্যবহার করতে হবে। এমন কোনও লিপ বাম ব্যবহার করবেন না, যার মধ্যে কর্পূ‌র, ইউক্যালিপটাস ও মেনথলের মতো উপাদান রয়েছে। এই ধরনের উপাদানগুলো ঠোঁটকে শুষ্ক করে দেয়। ঠোঁটের অবস্থা আরও খারাপ করে দেয়।সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। পেট্রোলিয়াম জেল, এসেনশিয়াল অয়েল বা গ্লিসারিন রয়েছে, এমন লিপ বাম ব্যবহার করুন। এই সব উপাদানগুলো আপনার ঠোঁটকে দীর্ঘক্ষণ সুরক্ষা প্রদান করবে।পাশাপাশি ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখবে।

ঠোঁটে সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না। প্রতিদিন ঠোঁটে সানস্ক্রিন লাগান। এতে ঠোঁট গোলাপি আভা চিরকাল বজায় রাখতে পারবেন। ঠোঁট থেকে মরা কোষ দূর করা জরুরি। তবেই শুষ্ক আবহাওয়ার মধ্যেও ঠোঁট থাকবে নরম ও কোমল। নির্দিষ্ট সময় অন্তর ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করুন। চিনির সঙ্গে অল্প মধু মিশিয়ে ঠোঁটের উপর ঘষুন। খুব বেশি চাপ দেবেন না। এরপর ঈষদুষ্ণ গরম জল দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। তারপর অবশ্যই লিপ বাম লাগিয়ে নিন। এতে ফাটা ঠোঁটের সমস্যা সহজেই এড়াতে পারবেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version