India china: চিনকে ছাড়া ভারতের লিথিয়াম ভান্ডার পঙ্গু! বেজিংয়ের ওপর এখনও কতটা নির্ভর করে ভারত?

৷৷সুচিত্রা রায় চৌধুরী৷৷

India china: চিনকে সাহায্য বেকার হয়ে যাবে ভারতে হদিশ পাওয়া কারি কারি লিথিয়াম? লিথিয়ামের ভান্ডার নিলামে কেন তুলতে চায় ভারত সরকার? পরিণতি কতটা পজেটিভ হবে? ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ভর করে ঠিক কতটা এগোতে পারল দেশ? চিন একবার তুলে নিলে আজ ভারতের কোন কোন পরিষেবা আটকে যেতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই লিথিয়ামের ব্যবসায় চিনকে টক্কর দিতে পারবে না ভারত৷ বলিভিয়া, চিলি, আর্জেন্টিনায় লিথিয়ামের সমুদ্র তবুও বেজিংয়েই আসতে হয়৷ লিথিয়ামের ভান্ডার নিলামে তুলতে হবে ভারতকে৷

২০২২ ফরচুন ইন্ডিয়ার তথ্য বলছে, চিন থেকে ভারতের আমদানিতে এখনও লাগাম পড়ানো যায় নি৷ অর্থবর্ষ ২০০৭ থেকে ২০২১ অর্থবর্ষে ভারতের চিন থেকে আমদানির পরিমাণ ৯.৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.৬ শতাংশ৷ আর রপ্তানির পরিমাণে ব্যাপক ডাউনফল৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারত খনন বা মাইনিং করে লিথিয়াম তো তুলবে কিন্তু তা শোধন করবে কোথায়? আর লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিই বা কোথায় তৈরি হবে? দেশে কারখানা আছে? র লিথিয়াম আর রাস্তায় পরে থাকা পাথরের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই৷ বিশ্বের ৬০ শতাংশ লিথিয়াম শোধন করে ব্যাটারি প্রডিউস করে ড্রাগনের দেশ৷ ইয়েচুন শহর এশিয়ার লিথিয়াম ক্যাপিটাল৷ সেখানে ভারতে নেই একটাও লিথিয়াম রিফাইনারি৷

সীমান্তে যতই উত্তেজনা হোক ব্যবসা পাই টু পাই বুঝে নিচ্ছে চিন৷ স্ট্যাচু অব ইউনিটির সর্দার প্যাটেল থেকে স্ট্যাচু অব ইকুয়্যালিটির রামানুচার্য ম্যনুফ্যাকচারিং সেই চিনেই৷ ভারতে API-(অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট) বা সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান চাহিদা পূরণ করার ক্ষেত্রে বড়সড় ঘাটতি৷ শুধুমাত্র চিন থেকেই প্রতি বছর ৩৫,০০০ কোটি টাকার API আমদানি করে ভারত৷এর মানে প্রায় ৮০% মেডিকেল ডিভাইস ওই চিন থেকেই৷ সার, ইলেকট্রিক মেশিনারি, কম্পিউটারের সরঞ্জাম এসব তো রয়েছেই৷ ভারত জন্মু কাশ্মীরের লিথিয়াম ভান্ডার নিলাম করবে একটাই শর্তে৷ সে সংস্থা কিনবে তাকে লিথিয়াম শোধন করতে হবে ভারতের মাটিতেই৷ গুজরাতে লিথিয়াম শোধনাগারের জন্য মৌ স্বাক্ষর হয়েছিল৷ তবে সে কাজ খুব একটা দ্রুত এগোচ্ছে না৷ ভারতে রিফাইনারি তৈরি মানে কর্মসংস্থান বাড়বে স্বাভাবিকভাবে৷

ভারত যে চিনের ওপর নির্ভরতা কমাতে চেষ্টা করছে না তেমনটা কিন্তু নয়৷ ২২টি সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান(API) ও জীবনদায়ী ওষুধের উত্পাদন করেছে ভারত(SS) দেশে ৪১টি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের অভ্যন্তরীণ উত্পাদনকে৷ বাড়ানোর লক্ষ্যে ৬,৯৪০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে বলেও খবর৷ এর মানে এই নয় এখন এপিআই আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হবে৷ জানেন এমন বাজার কিন্তু আগে ভারতের ছিল না৷ সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদানের বাজারে ভারত সেল্ফসাফিসিয়েন্ট ছিল৷ ১৯৯০ সাল থেকে পিএসইউ সেক্টরে যথাসম্ভব নজরদারির অভাবে এতটা পিছিয়ে পড়তে হয় নয়া দিল্লিকে৷ ভারত প্রতিমূহুর্তে চিনকে টেক্কা দেওয়ার ভিশন নিয়ে চলছে৷ অদূর ভবিষ্যতে তা সম্ভব হলেও এত তাড়াতাড়ি যে নয় তেমনটাই মতামত জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version