Winter baby care: শীত মানেই রুক্ষ দিন, আপনার সদ্যোজাতর ত্বকের যত্ন নেবেন কীভাবে?

।।প্রথম কলকাতা।‌।

Winter baby care: নতুন একটি শিশু পৃথিবীতে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার চারিপাশের পরিবেশ বদলে যায়। নতুন পরিবেশে খাপাখায়ানোর জন্য শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যত্ন নেওয়ার কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়।। শীতের সময় শিশুদের প্রতি আলাদা করে মনোযোগী হতে হয়।

শীতকালে এলেই ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়ে ওঠে অত্যন্ত জরুরি। বাড়িতে কোনো নবজাতক শিশু, অল্প বয়সি বাচ্চা থাকলে তাদের ক্ষেত্রে এটি অবশ্য পালনীয় কর্তব্য হয়ে ওঠে। শীতের আগমন কাল থেকেই বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবর্তন করা উচিত। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বাচ্চাদের ত্বক অধিক সংবেদনশীল যার ফলে তারা খুব শীঘ্র আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। শিশুর তোক ৩০ শতাংশ পাতলা ও কম হাইড্রেট হয়। বড়দের তুলনায় শিশুদের ত্বকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারও কম। তাই শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা এলার্জি জ্বালা করা সাধারণ হয়ে যায় এবং এক্ষেত্রে অভিভাবকদের অধিক যত্নবান হতে হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বাচ্চাদের ত্বক আরো বেশি সংবেদনশীল হয়। তাই শীতকালে তাদের ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়ে ওঠে অধিক জরুরী। এর জন্য তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে জীবন যাপন প্রণালী নানান ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা উচিত।

শীতকালে কিভাবে শিশুদের ত্বকের যত্ন নেবেন-

শীতকালে সদ্যোজাত শিশু বাচ্চাদের যতটা সম্ভব কম স্নান করানো উচিত। সদ্যজাতক শিশুদের দু-তিন দিনে একবার স্নান করান। কারণ অধিক স্নান করানোর ফলে শিশুদের শরীরের প্রাকৃতিক তেল ও আদ্রতা হারিয়ে যায়। স্নান করানোর আগে তেল লাগিয়ে অবশ্যই মালিশ করবেন। সদ্যজাতকের স্নান করানোর জন্য হালকা গরম জল ব্যবহার করুন। শিশুদের স্নান করানোর জন্য হারবাল সাবান ব্যবহার করা উচিত। স্নানের পর রোগড়ে গা মোছানোর পরিবর্তে হালকা হাতে থপথপিয়ে শিশুদের গা মোছান। এর ফলে ত্বক লাল হবে না।

শীতে অনেকেই হিটারের সাহায্যে ঘর গরম রাখেন। তবে বাড়িতে ছোট বাচ্চা বিশেষত এক বছর বা তার চেয়ে কমবেশি বাচ্চা থাকলে ঘর অধিক গরম করবেন না। কারণ অধিক উষ্ণতার ফলে শরীর তার আদ্রতা হারিয়ে ফেলে। শীতে নোংরা পোশাক পড়ালে শিশুদের ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।তাই শিশুদের ত্বকের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে শীতকালে শিশুদের পরিষ্কার ধোয়া কাপড় পরাতে হবে।

রোজ অন্তত দিনে দুবার ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত। বেশি বাচ্চাদের জন্য সব সময় প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। কিছু কেনার আগে এক্সপায়ারি ডেট ও সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদানগুলি অবশ্যই দেখে নেবেন।

শিশুরা নিজের মুখে হাত দিতে খুব ভালোবাসে, তাই ঠিকমতো হাত পরিষ্কার না থাকলে বা নখে ময়লা থাকলে শিশুদের শরীরে একাধিক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে। শীতকালে সর্দির হাত থেকে বাঁচাতে আমরা শিশুদের অধিক গরম জামাকাপড় পরিয়ে রাখি। কিন্তু এর ফলে শিশুদের ত্বক নিজের কোমলতা হারিয়ে ফেলে। এর পাশাপাশি জামাকাপড় বেশি পড়ালে এলার্জি হতে পারে। এর ফলে চুলকানি, ত্বকে লাল ছোপ দেখা দিতে পারে‌।

বর্তমানে বাড়িতে তৈরি কাপড়ের ন‍্যাপির পরিবর্তে অধিকাংশ ডাইপার পড়াতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। তবে অনেক দেরি পর্যন্ত ডায়াপার পরিয়ে রাখলে এলার্জি হতে পারে। সদ্যজাত শিশুদের জন্য তেলের মালিশ জরুরি। শুধু সদ্যজাত নয় এক বছরের বেশি বয়সের বাচ্চাদেরও তেলের মালিশ করা উচিত। দিনে অন্তত দুবার বাচ্চাদের মালিশ করা উচিত। মালিশ করার ফলে শিশুদের হার মজবুত হয়। সদ‍্যজাত শিশুর শরীর হাইট্রেড রাখার জন্য স্তন দুগ্ধ পান করানো উচিত। আবার শিশু ৬ মাসের বড় হলে তাদের দুধের পাশাপাশি জল ও ফলের রস পান করাতে পারেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version