ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট কী, জানেন কিভাবে সূর্যের গা ঘেঁষে মহাকাশযান পার্কিং হয় ? আদিত্যর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ

।। প্রথম কলকাতা ।।

মহাকাশযানের পার্কিং স্পট আদিত্য’র ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট? সূর্যের অতীত-বর্তমান- ভবিষ্যৎ থেকে মহাকাশের আবহাওয়া, আসবে সব হাতের মুঠোয়। ভারতের মিশন সৌরযানে ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টই শেষ কথা। এই ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টের লোকেশন জানেন? বড় রিস্ক নিয়ে নিল আদিত্য এল ১, জানেন এখানে পৌঁছানো কতটা চ্যালেঞ্জিং? কার হাতে তৈরি মহাকাশযানের এই পার্কিং স্পট? ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট এল ১-ই ইসরোর টার্গেট। ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টেই দূরবীন সেট করবে ভারতের আদিত্য এল ১? চাঁদের পর ভারত সূর্যের নাড়ি নক্ষত্র জানবে। মিশন সৌরযান নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড়। ইসরোর নয়নের মণি আদিত্য এল ১। কিন্তু ভারতের এই সৌরযানের গন্তব্য কোথায়? আদেও কি সূর্যে পৌঁছবে ভারতের আদিত্য এল ১? পৌঁছলেও সূর্যের কতটা কাছে ঘেঁষবে?

ইসরোর টার্গেট ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট মানে মহাকাশযানের পার্কিং স্পট। হ্যাঁ, ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টেই অবস্থান করবে ভারতের সৌরযান। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ যেখানে শেষ হয় সেখান থেকেই শুরু সূর্যের অভিকর্ষের প্রভাব। মহাশূন্যে সূর্য এবং পৃথিবীর পারস্পরিক আকর্ষণ ও বিকর্ষণের ফলে যে স্থিতিশীল অঞ্চল গড়ে ওঠে, তাকেই বলা হচ্ছে ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট। কিন্তু কেন এটাকে মহাকাশযানের পার্কিং স্পটও বলা হয়? কারণ সেখানে কম জ্বালানি খরচ করে, মহাজাগতিক কর্মকাণ্ডের উপর নির্বিঘ্নে নজরদরি চালানো যায়। ঠিক এই কাজটাই ডেডিকেটেডলি করবে ভারতের আদিত্য এল ১। আসলে সূর্যের উপর নজরদারি চালানোর জন্যই, গণিত বিশারদ জোসেফ লুইস ল্যাগ্রেঞ্জ এই ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট L1- আবিষ্কার করেছিলেন। যেখান থেকে কোনও রকম বাধা-বিঘ্ন ছাড়াই সূর্যকে দেখা বা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। সূর্যের বায়ুমণ্ডলে ঠিক কী ঘটছে, মহাকাশের সার্বিক আবহাওয়ায় তার কী প্রভাব পড়ছে, ইন্সট্যান্ট সব ইনফো হাতে পাওয়া সম্ভব।

হাতে সময় ১২৫ দিন। এরমধ্যেই আদিত্য-এল১ কে হ্যালো অরবিটে প্রবেশ করানো হবে। এই এল১ পয়েন্টটি সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে অবস্থিত। জানিয়ে রাখি, সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্বের তুলনায় এই দূরত্ব মাত্র ১ শতাংশ। তবে এই অবস্থানে পৌঁছনো বেশ চ্যালেঞ্জিং। তারপরেও রিস্ক নিয়েছে ইসরো। কারণ, আদিত্য-এল১ কে ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টে মোতায়েন করলেই সূর্যের বায়ুমণ্ডলের বাইরের আবরণের উপর নজরদারি চালাতে পারবে নির্বিঘ্নে। সূর্যের অতীত, বর্তমান-ভবিষ্যৎ উঠে আসবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের হাতে। আপাতত সেই আশাতেই বুক বাঁধছে ভারত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version