বর্ডারে মাটির নীচে কোন ফেসিলিটি? ইন্ডিয়ান আর্মির টেকনিকে বদল! চীন ছোঁয়ার প্ল্যান

।। প্রথম কলকাতা ।।

বর্ডারে কী ফিট করে দিল ভারত? থরথর করে কাঁপছে চীন। টেকনিক বদলাচ্ছে ইন্ডিয়ান আর্মি। শুধুই কী বাঙ্কার-গোপন সুড়ঙ্গ? মাটির নীচে আলাদাই ফেসিলিটি। গুপ্ত শহর ভারতের ট্রাম্পকার্ড? ৪ টে বছরে চীন ছোঁবে ভারত। চীনের প্ল্যানে জল ঢালতে আদাজল খেয়ে নামলো ভারত।আগামী ৪ বছরে বদলে যাবে বর্ডার। চীনকে রীতিমতো টেক্কা দেবে ভারত। বর্ডারে রাস্তা, রেললাইন, টানেল, এয়ারফিল্ড, ব্রিজ তৈরি করে ফেলেছে ভারত। পাহাড় ফাটিয়ে তৈরি হচ্ছে গুচ্ছেক সুড়ঙ্গ। কোটি কোটি টাকা ইনভেস্টে গত ৩ বছরে ৩০০ টা প্রজেক্ট শেষ হয়েছে। আরও ২০৫ টা প্রজেক্ট চালু হয়ে গেছে। বানিয়েছে ভাইব্রেন্ট ভিলেজ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ভারত চীন সীমান্তে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করাই কী ভারতের মেইন টার্গেট? নাকি যুদ্ধাস্ত্র মজুদ করাই মূল ফোকাস?

২০২২ এর শেষে শোনা যায়, সীমান্তের রাজ্যগুলোতে ভারত এমন সুড়ঙ্গ তৈরির প্ল্যান করছে, যেখানে ইন্ডিয়ান আর্মি শর্ট রেঞ্জ ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সমেত বিভিন্ন অস্ত্র মজুদ করতে পারে আন্দাজ করতে পারছেন, বর্ডারে কড়া নজরদারি বাড়াতে ভারত কোন স্ট্র্যাটেজিতে এগোচ্ছে? আর চীন কী চুপচাপ বসে দেখছে? নয়া এয়ারবেস, মিসাইল সাইট, অত্যাধুনিক বাঙ্কার, মাটির নীচে দুর্ধর্ষ ফেসিলিটি বানাচ্ছে চীন। আর ভারত চীনের মুখের উপর জবাব দেওয়ার জন্য কোমর বেঁধে তৈরি। ইঙ্গিত মিলেছিল চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন BRO- প্রধান লেফট্যানেন্ট জেনারেল রাজীব চৌধুরী বলেছিলেন দ্রুত অর্থ বরাদ্দ, প্রযুক্তির ব্যবহার ও কৌশলগত উন্নতির ফলে বর্ডারে ভারতের ভোলবদল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। একটা বিষয় কিন্তু পরিষ্কার, বর্ডারে কার্যত পরিকাঠামো তৈরির রেস চলছে। চীনকে রীতিমতো চোখে আঙুল দিয়ে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ভারত। এবছরের শেষের মধ্যে আরও ৬০টি প্রজেক্ট শেষ হয়ে যাবে। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ টু লেন টানেল অরুণাচলের সেলায়, যেটা ১৩ হাজার ফুটে তাওয়াংয়ে জলদি অস্ত্র পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।

এলএসি ধরে ৫৯টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও তৈরি হয়েছে গত তিন বছরে। চলতি বছরেই ৯৩৪ কিমি রাস্তা তৈরি হচ্ছে। গড়ে ৩৬৫২ মিটার ব্রিজ তৈরি হয়েছে গত তিন বছরে, যা দশ বছর আগের থেকে প্রায় তিন গুণ বেশি। হিসেবটা বুঝুন। বর্তমানে বিআরও র বার্ষিক খরচ ১২৩৪০ কোটি। গত বছর ছিল ৯৩৭৫ কোটি। গালওয়ান সংঘর্ষের আগে ২০১৯-২০তে ছিল ৭৭৩৭ কোটি। তার আগের দশ বছরে সর্বোচ্চ বছরে ৪৬৭০ কোটি টাকা পেয়েছিল এই সংস্থা। মোদ্দা কথা, সরকার টাকা মঞ্জুর করাতেই প্রযুক্তিগত যে সব সমস্যা ছিল, সেগুলিকে কাটিয়ে দ্রুত গতিতে পরিকাঠামো তৈরি করা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরও প্রধান। সবমিলিয়ে বর্ডারে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। কিন্তু চীনের মতিগতি ঠিক না লাগলে ভারত যেন পাল্টা দিতে পারে, তারজন্য কোনও চেষ্টার কমতি রাখছে না বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version