।। প্রথম কলকাতা ।।
WBPCB: তিলোত্তমার বাতাস ক্রমশ বিষে পরিণত হচ্ছে। কারণ বাতাসে বাড়ছে দূষণের পরিমাণ। সব সময় ভেসে বেড়াচ্ছে দূষিত বিভিন্ন উপাদান। তাই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফ থেকে নয়া উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শহরকে ধূলিকণা মুক্ত করার চেষ্টায় কাজে লাগানো হবে ওয়াটার স্প্রিঙ্কলারকে। এই ধূলিকণাই বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শনিবার প্রায় ২৬ টি ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার উদ্বোধন করেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতার রাস্তায় প্রতিদিন যে পরিমাণে গাড়ি চলাচল করে তাতে ধুলোর পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া একেবারেই স্বাভাবিক। গাড়ি চলাচলে রাশ টানা সম্ভব নয়। তাই রাস্তাঘাটে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক কণার পরিমাণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার গুলি কলকাতা পুরসভাকে ব্যবহার করতে দিয়েছে। এবার কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে প্রতিদিন ওই ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার গুলির মাধ্যমে জল স্প্রে করার কাজ চালানো হবে।
মূলত জল স্প্রে করে বাতাসে যে ধূলিকণা এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক কণাগুলি ভেসে বেড়াচ্ছে তাদেরকে মাটিতে নামিয়ে আনা হবে সম্ভব। তাতে বায়ু দূষণের মাত্রা বেশ খানিকটা কমবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কলকাতা পুরসভা সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এবার থেকে প্রতিদিন দুবার করে এই জল স্প্রে করার কাজ চলবে। টালা থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত প্রতিদিন জল স্প্রে করা হবে স্প্রিঙ্কলারের মাধ্যমে।
শনিবার এই ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার গুলির উদ্বোধন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষাদের সদস্যরা। শহর কলকাতায় একদিকে যেমন গাড়ির দৌরাত্ম্য বেড়েছে ঠিক তেমনি বহুতল তৈরির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে নির্মীয়মান বাড়িগুলির ধূলিকণাও এসে মিশছে বাতাসে। যদিও পুরসভার তরফ থেকে বর্তমানে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে যে, যে কোন বাড়ি কিংবা বহুতল তৈরি করতে গেলে সেগুলিকে বাইরে থেকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখতে হবে। যাতে ধূলিকণা সেই ভাবে বাতাসে না মিশতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম